গোপন নথি ফাঁস: গাজা যুদ্ধ–পরবর্তী নেতৃত্ব নিতে চায় সউদি আরব, হামাসকে প্রান্তিক করে পিএকে শক্তিশালী করবে রিয়াদ
- আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
- / 204
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মিডল ইস্ট আই-র কাছে পাওয়া সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি গোপন নথি অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধ শেষে ভূমিকা নিতে চায় সৌদি আরব। নথিতে বলা হয়েছে, হামাসকে ধাপে ধাপে নিরস্ত্র ও প্রান্তিক করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) অর্থ ও লজিস্টিক সমর্থন দিয়ে গাজার প্রশাসনিক দায়িত্বে ফেরানো হোক; এরপরই দীর্ঘমেয়াদে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে এগোনো সম্ভব হবে।
দলিলের মূল বিষয়গুলো
সউদি পরিকল্পনায় গাজায় একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগকে সমর্থন করার কথা রয়েছে; এতে আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও আলোচনা করা হয়েছে।
নথিতে আরো বলা হয়েছে, হামাসকে ধীরে ধীরে প্রান্তিক করা হবে—এটি “আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি”গুলোর মাধ্যমে করা হবে, যাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকে বলে দলিলে উল্লেখ।
প্রশাসনটা ধীরে ধীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তর করে, দুর্নীতি রোধ, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় সংলাপ ও ব্যাপক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মিসর, জর্ডান ও পিএ-র সঙ্গে পরামর্শ ও সমন্বয় করা হবে; নির্দেশনা দিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানাল বিনতে হাসান রাদওয়ান।
দলিলে ইসরায়েলের নাম অনুচ্চারিত; হামাস সংলাপে জড়ানো হবে কি না—সেটাও স্পষ্ট নয়। আর কত টাকা সহায়তা দেওয়া হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট নথিটি ২৯ সেপ্টেম্বরের; ঠিক আগের দিন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ চেয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। গ্রীষ্মে সৌদি ও ফ্রান্স যৌথ প্রস্তাব করলে তা পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি রূপকারের পরিকল্পনায়ও প্রতিফলিত হয়। তবে শান্তির প্রস্তাব ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনীতিগত স্বার্থ জড়িত হওয়ায় সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষ বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছে।
ইসরায়েলি নীতিনির্ধারকরা ইতিমধ্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ মন্তব্য করেছেন, সৌদি যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শর্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়, তাহলে তারা তা মেনে নেবে না। অন্যদিকে অঞ্চলীয় বৈঠকগুলোর ভবিষ্যৎ ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর গঠন, এসব নিয়ে কূটনৈতিক রণনৈতিকতা এখনও চলমান।

























