অনিল আম্বানির প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
- আপডেট : ৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার
 - / 153
 
পুবের কলম, মুম্বাই: রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অর্থ পাচারের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঋণ সংক্রান্ত জালিয়াতি মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন শিল্পপতি অনিল আম্বানি।
সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনিল আম্বানি গোষ্ঠীর ৪০টি সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যার সম্মিলিত মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। অনিল আম্বানির গোষ্ঠীর বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মুম্বইয়ে অবস্থিত আম্বানি পরিবারের পালি হিল রেসিডেন্স এবং দিল্লিতে অবস্থিত রিলায়েন্স সেন্টার প্রপার্টি। এছাড়াও দিল্লি, নয়ডা, গাজ়িয়াবাদ, মুম্বই, পুনে, ঠানে, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, ইস্ট গোদাবরীতে অবস্থির অনিল আম্বানি গ্রুপের একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে ইডি এই পদক্ষেপ করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ইডি যে সমস্ত রিকোভারি করেছে, তা সাধারণ মানুষের উপকারে লাগবে।’ যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ওই বিজ়নেস গ্রুপের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আর্থিক তছরুপ ও অর্থ পাচারের মামলায় অভিযোগ উঠে রিলায়েন্স গ্রুপের দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থা থেকে সাধারণ মানুষের অর্থ তছরুপ ও পাচার করা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯, এর মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক এই দুই সংস্থায় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করে। আর সেই বিনিয়োগগুলোই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট বা খেলাপি ঋণে পরিণত হয়। ইডি’র দাবি, আম্বানির একাধিক কোম্পানি, যার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছে, সম্মিলিতভাবে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণের ‘ডাইভারশন’ করেছে। অনিল আম্বানির সংস্থা আগেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। অনিলের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। কার্যত গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে আর কমের প্রাক্তন কর্ণধার। সম্পত্তি বেচে পাওনাদারদের দেনা মেটানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও সমস্যা কমছে না অনিলের। একাধিক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে আর কম কর্তার বিরুদ্ধে।
																			
																		
















































