১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ার নাইট ক্লাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে মৃত অন্তত ২৫, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

 

গোয়ায় এক নৈশক্লাবে পার্টি চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। উত্তর গোয়ার আরপোরায় বাগা সৈকতের কাছে অবস্থিত জনপ্রিয় ক্লাব ‘বির্চ’-এ শনিবার গভীর রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর আগুন। ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ৫০ জন। মৃতদের মধ্যে ক্লাবের কর্মী, পর্যটকসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।

রাত প্রায় একটার সময় আকস্মিক বিস্ফোরণের পর চারদিকে হাহাকার শুরু হলে খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। আগুনের তীব্রতার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে দীর্ঘক্ষণ; রবিবার ভোর নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন ক্লাবের কর্মী, ৪ জন পর্যটক এবং ৭ জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। সকলের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান—ক্লাবের রান্নাঘরেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। তবে তদন্ত চলছে, ক্লাবে পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং কোনও দোষীকে রেয়াত করা হবে না। কেন্দ্র মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

২০২৫ সাল বিশ্বে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর হতে পারে: কোপার্নিকাসের পূর্বাভাস

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গোয়ার নাইট ক্লাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে মৃত অন্তত ২৫, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, রবিবার

 

গোয়ায় এক নৈশক্লাবে পার্টি চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। উত্তর গোয়ার আরপোরায় বাগা সৈকতের কাছে অবস্থিত জনপ্রিয় ক্লাব ‘বির্চ’-এ শনিবার গভীর রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর আগুন। ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ৫০ জন। মৃতদের মধ্যে ক্লাবের কর্মী, পর্যটকসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।

রাত প্রায় একটার সময় আকস্মিক বিস্ফোরণের পর চারদিকে হাহাকার শুরু হলে খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। আগুনের তীব্রতার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে দীর্ঘক্ষণ; রবিবার ভোর নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন ক্লাবের কর্মী, ৪ জন পর্যটক এবং ৭ জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। সকলের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান—ক্লাবের রান্নাঘরেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। তবে তদন্ত চলছে, ক্লাবে পর্যাপ্ত অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং কোনও দোষীকে রেয়াত করা হবে না। কেন্দ্র মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে।