১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনিনে সেনা বিদ্রোহে অভ্যুত্থানের দাবি, সরকার বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে নিজেদের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সরকার জানাচ্ছে—পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর বড় অংশ সরকারের প্রতি অনুগত।

বিদ্রোহী সেনারা টেলিভিশনে ঘোষণা দেয় যে, কর্নেল টিগ্রি পাস্কালের নেতৃত্বে একটি দল ক্ষমতা দখল করেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করেছে, সংবিধান স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে এবং দেশের আকাশপথ, স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রবন্দর বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।

তাদের দাবি—এই পরিবর্তন বেনিনবাসীকে “ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও কাজের মূল্যবোধ” প্রতিষ্ঠার নতুন যুগের আশা দেখাবে।

অন্যদিকে বেনিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলুশেগুন আজাদি বাকারি জানান, সেনাবাহিনীর একটি অংশ বিদ্রোহ করলেও পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিদ্রোহীরা কেবল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করতে পেরেছে, অন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো সরকারের অধীনেই রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারের প্রতি অনুগত এবং বিদ্রোহ দমনে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত মাসেই গিনি-বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এর আগে ২০২০ সাল থেকে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা মিলিয়ে মোট আটটি অভ্যুত্থান দেখা গেছে। বেনিনের এই ঘটনা সেই ধারাবাহিকতার নবম সামরিক বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

২০২৫ সাল বিশ্বে দ্বিতীয় বা তৃতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর হতে পারে: কোপার্নিকাসের পূর্বাভাস

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেনিনে সেনা বিদ্রোহে অভ্যুত্থানের দাবি, সরকার বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার

 

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে নিজেদের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সরকার জানাচ্ছে—পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর বড় অংশ সরকারের প্রতি অনুগত।

বিদ্রোহী সেনারা টেলিভিশনে ঘোষণা দেয় যে, কর্নেল টিগ্রি পাস্কালের নেতৃত্বে একটি দল ক্ষমতা দখল করেছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত করেছে, সংবিধান স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে এবং দেশের আকাশপথ, স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রবন্দর বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।

তাদের দাবি—এই পরিবর্তন বেনিনবাসীকে “ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও কাজের মূল্যবোধ” প্রতিষ্ঠার নতুন যুগের আশা দেখাবে।

অন্যদিকে বেনিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলুশেগুন আজাদি বাকারি জানান, সেনাবাহিনীর একটি অংশ বিদ্রোহ করলেও পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিদ্রোহীরা কেবল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দখল করতে পেরেছে, অন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠান এখনো সরকারের অধীনেই রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারের প্রতি অনুগত এবং বিদ্রোহ দমনে কাজ করছে।

উল্লেখ্য, গত মাসেই গিনি-বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এর আগে ২০২০ সাল থেকে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা মিলিয়ে মোট আটটি অভ্যুত্থান দেখা গেছে। বেনিনের এই ঘটনা সেই ধারাবাহিকতার নবম সামরিক বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।