SIR এর ইনিউমারেশন পর্ব শেষ। এখন নজর ১৬ ডিসেম্বরের দিকে, সেদিনই প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। তার পরপরই শুরু হবে শুনানি পর্ব। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ভোটারকে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের শুনানি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে জেলা স্তরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
ইনিউমারেশন পর্ব শেষে ডিজিটাইজ হওয়া ফর্মগুলির বিশদ বিশ্লেষণে একাধিক গরমিল ধরা পড়েছে। কমিশনের হিসেব বলছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও ‘আত্মীয়ের’ নাম দেখিয়ে ফর্ম পূরণ করেছেন ৩ কোটি ৮৩ লক্ষের বেশি ভোটার। তাঁদের মধ্যে ১ কোটি ৬৭ লক্ষেরও বেশি ভোটারকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের শুনানিতে হাজির হতে হবে।
এ ছাড়া ‘নো-ম্যাপড’ অর্থাৎ ফর্মের নির্দিষ্ট অংশ পূরণ না করা ভোটারের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ৫৬ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে এই দুই শ্রেণির ভোটারকেই শুনানিতে ডাকা হতে পারে। কমিশনের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে—
• ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে ত্রুটি,
• বহু ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক,
• একই পিতার ছয়ের বেশি সন্তান ভোটার,
• ১৫ বছরের কম বয়সে বাবা-মা হওয়া,
• ৪০ বছরের কম বয়সে ঠাকুরদা-ঠাকুমা হওয়ার মতো অসঙ্গতি।
শুনানির জন্য প্রতিটি জেলায় জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের দপ্তর, বিডিও অফিস-সহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ক্যামেরা নজরদারি, প্রবীণ ও বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে, যাঁদের মধ্যে মৃত, স্থানান্তরিত ও নিখোঁজ ভোটাররা রয়েছেন। এত স্বল্প সময়ে প্রায় ২ কোটি ভোটারের শুনানি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।





























