পুবের কলম, পাটনা: ভরা মঞ্চে তরুণী চিকিৎসকের হিজাব টেনে নামিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর এই আচরণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বাঁধে রাজনৈতিক মহলে। অনেকে তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটেছে বলে কটাক্ষ করেন। এবার সেই তরুণী চিকিৎসক যোগ দিলেন না চাকরিতে। সূত্রের খবর, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজে যোগদান করেননি মহিলা চিকিৎসক নুসরাত পারভীন। কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগদান করেননি তরুণী চিকিৎসক বলে নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। জানা গিয়েছে, পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল পারভীনের।
এদিকে নুসরাত পারভীনকে মাসিক ৩ লাখ টাকা বেতনে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি বলেন, বিহারে মহিলা চিকিৎসক ডা. নুসরাত পারভীনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিক ও লজ্জাজনক ঘটনা পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছে। হিজাব টেনে নামানো শুধু একজন নারীকে অপমান নয়, এটি সংবিধান ও মানবতাকেও অপমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, ঝাড়খণ্ডে আমরা মহিলা ও চিকিৎসকদের সম্মানের প্রশ্নে কোনো আপস করি না। আমরা তাকে পছন্দের পোস্টিং, পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ দিতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় রীতি মেনে হিজাব পরে বিহারের এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিতে যান মুসলিম মহিলা চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পরই মুসলিম মহিলার মুখে থাকা হিজাব টেনে খুলে দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে উপস্থিত মন্ত্রী-আমলাদের হাঁসির রোল দেখা যায়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপে কার্যত বিব্রত হন ওই মহিলা চিকিৎসক। মহিলার হিজাব খুলে দেওয়ার পর তিনি অস্বস্তিবোধ করছেন। মঞ্চজুড়ে হাঁসিঠাট্টা দেখে নিজেকে অপমানিতবোধ করছেন মহিলা। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে।





























