২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুলতলির গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ! আতঙ্কে রাত জাগল গ্রামবাসীরা

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 111

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবারও বাঘের ভয়ে রাত জাগল সুন্দরবনের মানুষ। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি ব্লকের লোকালয়ে বারংবার বাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। সুন্দরবনের আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ নদী সাঁতরে ঢুকে পড়ায় এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কুলতলির গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাতলা গ্রামে।

সোমবার সন্ধ্যার দিক থেকেই বাঘের পায়ের ছাপ নজরে আসে গ্রামবাসীদের। ছাপটি দেখে অনুমান ওটি একটি স্ত্রী বাঘ। যেহেতু নদী লাগোয়া মনসাতলা গ্রাম হওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষই এখানে কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী। ফলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা মাত্রই গোটা গ্রাম জুড়েই কার্যত বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে সেই বাঘের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসে রায়দিঘি রেঞ্জের বন কর্মীরা। গ্রামবাসীদেরকে নিয়েই তাঁরা রাতভর গ্রাম লাগোয়া নদীর বাঁধ বরাবর এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে রাত পাহারা দেয়। সেইসাথে বাজি-পটকাও ফাটানো হয়, যাতে বাঘটি রাতের অন্ধকারে গ্রামে হামলা চালাতে না পারে।

এদিকে মঙ্গলবার বেলা হলেও বাঘের সঠিক অবস্থান জানা যায়নি, যেহেতু নদীতে জোয়ার ছিল।ফলে নদীতে ভাটা নামার সাথে সাথেই সেখানে বাঘের অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্যই তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে। এদিকে এলাকায় বাঘ ঢোকায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার গ্রামবাসীরা। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে বাঘটিকে ধরে আবার ফেরত নিয়ে যাক বনদফতর। আর বারংবার বাঘ কেন লোকালয়ে চলে আসছে তা নিয়েই ভীত সুন্দরবনের মানুষজন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাড়ল মাছরাঙার সংখ্যা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কুলতলির গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ! আতঙ্কে রাত জাগল গ্রামবাসীরা

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: আবারও বাঘের ভয়ে রাত জাগল সুন্দরবনের মানুষ। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি ব্লকের লোকালয়ে বারংবার বাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। সুন্দরবনের আজমলমারি ১ নম্বর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ নদী সাঁতরে ঢুকে পড়ায় এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে কুলতলির গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাতলা গ্রামে।

সোমবার সন্ধ্যার দিক থেকেই বাঘের পায়ের ছাপ নজরে আসে গ্রামবাসীদের। ছাপটি দেখে অনুমান ওটি একটি স্ত্রী বাঘ। যেহেতু নদী লাগোয়া মনসাতলা গ্রাম হওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষই এখানে কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী। ফলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা মাত্রই গোটা গ্রাম জুড়েই কার্যত বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে সেই বাঘের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসে রায়দিঘি রেঞ্জের বন কর্মীরা। গ্রামবাসীদেরকে নিয়েই তাঁরা রাতভর গ্রাম লাগোয়া নদীর বাঁধ বরাবর এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে রাত পাহারা দেয়। সেইসাথে বাজি-পটকাও ফাটানো হয়, যাতে বাঘটি রাতের অন্ধকারে গ্রামে হামলা চালাতে না পারে।

এদিকে মঙ্গলবার বেলা হলেও বাঘের সঠিক অবস্থান জানা যায়নি, যেহেতু নদীতে জোয়ার ছিল।ফলে নদীতে ভাটা নামার সাথে সাথেই সেখানে বাঘের অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্যই তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে। এদিকে এলাকায় বাঘ ঢোকায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার গ্রামবাসীরা। তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে বাঘটিকে ধরে আবার ফেরত নিয়ে যাক বনদফতর। আর বারংবার বাঘ কেন লোকালয়ে চলে আসছে তা নিয়েই ভীত সুন্দরবনের মানুষজন।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাড়ল মাছরাঙার সংখ্যা