০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 শীত আসতেই রোজগারের আশায় বুক বাঁধছেন পঞ্চানন্দপুরের মাঝিরা

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 79

রেজাউল করিম, মোথাবাড়ি: শীত পড়তেই রোজগারের আশায় বুক বাঁধছেন পঞ্চানন্দপুরের মাঝিরা। আর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হবে পিকনিক। পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গাবক্ষ জেলায় অন্যতম পিকনিক স্পট হিসেবে সম্প্রতি পরিচিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পিকনিকের সময় ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।

নৌকা ভাড়া করে চলছে নৌকা বিহার। কিংবা গঙ্গার বুকে জেগে ওঠা কোনও চরে অথবা নৌকায় ঘুরতে ঘুরতেই নৌকার মধ্যে পিকনিকের রান্নাবান্না। অন্যসময় বড় বড় নৌকাগুলি প্রায়ই বসেই থাকে। পিকনিকের সময় তাদের ডাক পড়ে। কয়েক বছর ধরে পঞ্চানন্তপুরের গঙ্গাবক্ষ নতুন করে পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।

কালিয়াচক-‌২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর-‌১ এবং পঞ্চানন্দপুর-‌২ গ্রাম পঞ্চায়েতজুড়ে বেশ কিছু পিকনিকের জায়গা গঙ্গাচরে দেখা দিয়েছে। চরে সাধারণত এলাকাবাসীরা সর্ষে, ভুট্টা, কলাই চাষ করে থাকেন। শীতের সময় এইসব চর আরও মনোরম হয়ে ওঠে। পরিযায়ী পাখির দল চরগুলিতে ভিড় জমিয়ে থাকে। দিনের শেষে গঙ্গাবঙ্গে সূর্যাস্ত যেন আলাদা মাত্রা এনে দেয়।

সাধারণত পঞ্চানন্দপুরের পাগলা ঘাটে নৌকাগুলি নোঙর করা থাকে। একেকটি নৌকায় ৫০-‌৭০ জন উঠতে পারে। এখানকার নৌকা করে নৌকাবিহার করে থাকেন পর্যটকরা। কোনও কোনও দল নৌকা করে ফরাক্কা, আবার সেখান থেকে মানিচক হয়ে ঝাড়খন্ডের রাজমহলে গিয়ে থাকে। আবার সেখান থেকে পাগলা ঘাটে এসে নৌকা ভ্রমণ করে থাকেন। তখন নৌকার মধ্যে চলে রান্না, খাওয়া-‌দাওয়া। আবার গঙ্গাবঙ্গে জেগে ওঠা ১৫-‌২০টি চরে গিয়ে পিকনিক করে থাকেন অনেকে।

এমনকি এই সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়ারাও এসে ভিড় জমিয়ে থাকেন। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দেখে সংশ্লিষ্ট মোথাবাড়ি থানা এখন তৎপর। পাগলা ঘাটে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। সেখানে পিকনিক পার্টিকে তাদের বিস্তারিত ভ্রমণের ব্যাপারে খবর দিতে হয়।

মাঝিদের মধ্যে রায়েশ আলি, ভরত মণ্ডল, ইউনিস আলিরা বলেন, ‘‌বছরভর আমাদের বড় বড় নৌকার তেমন কোনও কাজ থেকে না। কিন্তু শীত এলে কিছু রোজগার হচ্ছে ইদানিং। আর কিছুদিন পর থেকে পিকনিক শুরু হবে। তখন গড়ে ৪০০-‌৫০০ মানুষ এখানে পিকনিকের জন্য ভিড় জমিয়ে থাকেন। আবার বিশেষ বিশেষ দিনে দেড় হাজারের ওপর মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকেন। এবারও আশায় আছি। বেশি বেশি মানুষ এলে আমাদের উপার্জন আরও বেড়ে যাবে।’‌

সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আমিনুর আলম বলেন, ‘‌পঞ্চানন্দপুর নতুন করে জেলায় পিকনিক স্পট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরাও আরও প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। পুলিশ প্রশাসনেরও নজরদারি রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

 শীত আসতেই রোজগারের আশায় বুক বাঁধছেন পঞ্চানন্দপুরের মাঝিরা

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

রেজাউল করিম, মোথাবাড়ি: শীত পড়তেই রোজগারের আশায় বুক বাঁধছেন পঞ্চানন্দপুরের মাঝিরা। আর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হবে পিকনিক। পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গাবক্ষ জেলায় অন্যতম পিকনিক স্পট হিসেবে সম্প্রতি পরিচিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পিকনিকের সময় ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।

নৌকা ভাড়া করে চলছে নৌকা বিহার। কিংবা গঙ্গার বুকে জেগে ওঠা কোনও চরে অথবা নৌকায় ঘুরতে ঘুরতেই নৌকার মধ্যে পিকনিকের রান্নাবান্না। অন্যসময় বড় বড় নৌকাগুলি প্রায়ই বসেই থাকে। পিকনিকের সময় তাদের ডাক পড়ে। কয়েক বছর ধরে পঞ্চানন্তপুরের গঙ্গাবক্ষ নতুন করে পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।

কালিয়াচক-‌২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর-‌১ এবং পঞ্চানন্দপুর-‌২ গ্রাম পঞ্চায়েতজুড়ে বেশ কিছু পিকনিকের জায়গা গঙ্গাচরে দেখা দিয়েছে। চরে সাধারণত এলাকাবাসীরা সর্ষে, ভুট্টা, কলাই চাষ করে থাকেন। শীতের সময় এইসব চর আরও মনোরম হয়ে ওঠে। পরিযায়ী পাখির দল চরগুলিতে ভিড় জমিয়ে থাকে। দিনের শেষে গঙ্গাবঙ্গে সূর্যাস্ত যেন আলাদা মাত্রা এনে দেয়।

সাধারণত পঞ্চানন্দপুরের পাগলা ঘাটে নৌকাগুলি নোঙর করা থাকে। একেকটি নৌকায় ৫০-‌৭০ জন উঠতে পারে। এখানকার নৌকা করে নৌকাবিহার করে থাকেন পর্যটকরা। কোনও কোনও দল নৌকা করে ফরাক্কা, আবার সেখান থেকে মানিচক হয়ে ঝাড়খন্ডের রাজমহলে গিয়ে থাকে। আবার সেখান থেকে পাগলা ঘাটে এসে নৌকা ভ্রমণ করে থাকেন। তখন নৌকার মধ্যে চলে রান্না, খাওয়া-‌দাওয়া। আবার গঙ্গাবঙ্গে জেগে ওঠা ১৫-‌২০টি চরে গিয়ে পিকনিক করে থাকেন অনেকে।

এমনকি এই সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়ারাও এসে ভিড় জমিয়ে থাকেন। ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দেখে সংশ্লিষ্ট মোথাবাড়ি থানা এখন তৎপর। পাগলা ঘাটে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। সেখানে পিকনিক পার্টিকে তাদের বিস্তারিত ভ্রমণের ব্যাপারে খবর দিতে হয়।

মাঝিদের মধ্যে রায়েশ আলি, ভরত মণ্ডল, ইউনিস আলিরা বলেন, ‘‌বছরভর আমাদের বড় বড় নৌকার তেমন কোনও কাজ থেকে না। কিন্তু শীত এলে কিছু রোজগার হচ্ছে ইদানিং। আর কিছুদিন পর থেকে পিকনিক শুরু হবে। তখন গড়ে ৪০০-‌৫০০ মানুষ এখানে পিকনিকের জন্য ভিড় জমিয়ে থাকেন। আবার বিশেষ বিশেষ দিনে দেড় হাজারের ওপর মানুষ ভিড় জমিয়ে থাকেন। এবারও আশায় আছি। বেশি বেশি মানুষ এলে আমাদের উপার্জন আরও বেড়ে যাবে।’‌

সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আমিনুর আলম বলেন, ‘‌পঞ্চানন্দপুর নতুন করে জেলায় পিকনিক স্পট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরাও আরও প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। পুলিশ প্রশাসনেরও নজরদারি রয়েছে।