২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার
  • / 22

এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: জাওয়াদের ঝাপটায় জলের তলায় ভাসছে বাংলার ‘শস্যগোলা’ বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষি জমি। বর্ধমান ২ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে জোরকদমে শুরু হয়েছিল ধান কাটা ঝাড়ার কাজ। যদিও এবছর প্রথম থেকেই ধানের ফলন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন না কৃষকেরা। কারণ শোষক পোকা শেষ করে দিয়েছিল ধানের ফলন। এই ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ঘাটশিলা,  সুহারী, পুতুণ্ড, পলশা,  ভৈটা,  পালসিট,  খাড়গ্রাম, সোড্ডা, সিংপাড়া, আটাঘর, তাজপুর,শক্তিগড় সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

 

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

জানা গেছে,  এবছর পাকা ধানে ভাইরাস ও পোকার দাপট থেকে বাঁচতে হারভেস্টারের ভরসা না করে অধিকাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে ফেলেছিল।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

 

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

এদিকে মাঠ শুকানো না থাকায় জমিতে ট্রাক্টর যাওয়ার মতো রাস্তা তৈরি ছিল না। তার ফলে ধান গোটাতে বেশ দেরি হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  অনেকেই ধার-দেনা করে চাষ করেছেন। পোকার কারণে ধানের ফলন এবার এমনিতেই কম হওয়ার আশংকা ছিল। তার উপরে এই  জাওয়াদের দাঁত খিঁচুনি। শেষ করে দিয়েছে তাদের সোনার ফসল। এখন তাদের সারা বছর সংসার চালানো দুরূহ।

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

উল্লেখ্য,  জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলু, সর্ষে ও রবি ফসলেরও। বর্ধমান ২ ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা সৌমেন ঘোষ জানান, কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তো বটেই। আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করে শীঘ্রই জেলা কৃষি অধিকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব।

 

বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পরমেশ্বর কোনার জানান, আমরা এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি,  মাঠ তথা কৃষকের অবস্থা খুবই খারাপ। কৃষকদের এই দুরাবস্থা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তাছাড়া,  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সর্বতোভাবে কৃষকের পাশে আছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২১, সোমবার

এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: জাওয়াদের ঝাপটায় জলের তলায় ভাসছে বাংলার ‘শস্যগোলা’ বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকের কৃষি জমি। বর্ধমান ২ ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলে জোরকদমে শুরু হয়েছিল ধান কাটা ঝাড়ার কাজ। যদিও এবছর প্রথম থেকেই ধানের ফলন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন না কৃষকেরা। কারণ শোষক পোকা শেষ করে দিয়েছিল ধানের ফলন। এই ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা ঘাটশিলা,  সুহারী, পুতুণ্ড, পলশা,  ভৈটা,  পালসিট,  খাড়গ্রাম, সোড্ডা, সিংপাড়া, আটাঘর, তাজপুর,শক্তিগড় সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

 

আরও পড়ুন: ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি! ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ফসল নষ্ট করছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা

জানা গেছে,  এবছর পাকা ধানে ভাইরাস ও পোকার দাপট থেকে বাঁচতে হারভেস্টারের ভরসা না করে অধিকাংশ কৃষক হাতে ধান কেটে ফেলেছিল।

আরও পড়ুন: টমেটোর দর ১ টাকা কেজি, উৎপাদন খরচও উঠছে না কৃষকদের

 

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

এদিকে মাঠ শুকানো না থাকায় জমিতে ট্রাক্টর যাওয়ার মতো রাস্তা তৈরি ছিল না। তার ফলে ধান গোটাতে বেশ দেরি হয়েছে। এলাকার বিভিন্ন চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  অনেকেই ধার-দেনা করে চাষ করেছেন। পোকার কারণে ধানের ফলন এবার এমনিতেই কম হওয়ার আশংকা ছিল। তার উপরে এই  জাওয়াদের দাঁত খিঁচুনি। শেষ করে দিয়েছে তাদের সোনার ফসল। এখন তাদের সারা বছর সংসার চালানো দুরূহ।

জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে মাথায় হাত সর্বস্বান্ত কৃষকদের

উল্লেখ্য,  জাওয়াদের চোখ রাঙানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলু, সর্ষে ও রবি ফসলেরও। বর্ধমান ২ ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা সৌমেন ঘোষ জানান, কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তো বটেই। আমরা বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করে শীঘ্রই জেলা কৃষি অধিকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব।

 

বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পরমেশ্বর কোনার জানান, আমরা এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি,  মাঠ তথা কৃষকের অবস্থা খুবই খারাপ। কৃষকদের এই দুরাবস্থা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। তাছাড়া,  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সর্বতোভাবে কৃষকের পাশে আছেন।