০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্বেষ ভাষণের জন্য নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে কূ মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার নরসিংহানন্দ

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৬ জানুয়ারী ২০২২, রবিবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গ্রেফতার হলেন গেরুয়াধারী বিদ্বেষী নরসিংহানন্দ। তবে হরিদ্বারের বিদ্বেষভাষণের জন্য নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি বিদ্বেষী নরসিংহানন্দকে হরিদ্বারের বিদ্বেষভাষণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংহ ত্যাগী।গতমাসে হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিশানা করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ধর্ম সংসদের অন্যতম আয়োজন যাতি নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এই নিয়ে হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ২। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীকে।

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হরিদ্বারে নরসিংহানন্দের ধর্নাস্থলে পৌঁছায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সেখান থেকেই তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ হরিদ্বার শহরের এসপি স্বতন্ত্র কুমার নিশ্চিত করে জানান যে নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২-৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

হরিদ্বার ঘৃণা-ভাষণ মামলায় দায়ের হওয়া এফআইআরে ১০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নাম রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নরসিংহানন্দ, জিতেন্দ্র ত্যাগী, অন্নপূর্ণা প্রমুখ। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরই নড়েচড়ে বসে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। তারই ফলশ্রুতি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি গ্রেফতারির ঘটনা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

গত বছর ডিসেম্বরের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত হরিদ্বারে চলা তথাকথিত ধর্ম সংসদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নেওয়া এবং ওই ধর্ম সম্প্রদায়ভুক্তদের প্রকাশ্যে হত্যা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশ ও সাংবাদিক কুরবান আলি। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিদ্বেষ ভাষণের জন্য নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে কূ মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার নরসিংহানন্দ

আপডেট : ১৬ জানুয়ারী ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : গ্রেফতার হলেন গেরুয়াধারী বিদ্বেষী নরসিংহানন্দ। তবে হরিদ্বারের বিদ্বেষভাষণের জন্য নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি বিদ্বেষী নরসিংহানন্দকে হরিদ্বারের বিদ্বেষভাষণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংহ ত্যাগী।গতমাসে হরিদ্বারে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিশানা করে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ধর্ম সংসদের অন্যতম আয়োজন যাতি নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এই নিয়ে হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ২। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীকে।

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হরিদ্বারে নরসিংহানন্দের ধর্নাস্থলে পৌঁছায় উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সেখান থেকেই তাঁকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷ হরিদ্বার শহরের এসপি স্বতন্ত্র কুমার নিশ্চিত করে জানান যে নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ২-৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

হরিদ্বার ঘৃণা-ভাষণ মামলায় দায়ের হওয়া এফআইআরে ১০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নাম রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নরসিংহানন্দ, জিতেন্দ্র ত্যাগী, অন্নপূর্ণা প্রমুখ। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরই নড়েচড়ে বসে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। তারই ফলশ্রুতি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি গ্রেফতারির ঘটনা।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

গত বছর ডিসেম্বরের ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত হরিদ্বারে চলা তথাকথিত ধর্ম সংসদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নেওয়া এবং ওই ধর্ম সম্প্রদায়ভুক্তদের প্রকাশ্যে হত্যা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশ ও সাংবাদিক কুরবান আলি। সুপ্রিম কোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠায়।