৩০ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোস্টেলের কাছেই ভারী বুটের শব্দ, জানি না আর বাড়ি ফেরা হবে কিনা ! করুণ আর্তি ইউক্রেনে আটক ডাক্তারি পড়ুয়ার  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার
  • / 47

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সামনেই মৃত্যুর হাতছানি। কোনদিন এই দিন দেখতে হবে ভাবেনি ইউক্রেনে পড়তে আসা পড়ুয়ারা। জমি বিক্রি করে, আবার গয়না বিক্রি করে ছেলে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়েন বাবা-মা। এই রকমই এক সন্তানের মা দিন গুণছেন মেয়ের ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায়। কর্নাটকের পরিবারের চোখে এখন শুধুই উৎকন্ঠা।

বাড়ির ফেরার প্রায় সমস্ত রাস্তাই বন্ধ বলে মনে করছেন চোখে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে ইউক্রেনে আসা কর্নাটকের ইয়ারাগুপ্পি গ্রামের মেয়ে চৈত্র শামসির। এখানে পড়ার সূত্রে আসা। তার পর এখানের জীবন যাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ যে কি হল, তা বুঝতে পারছেন গ্রামের এই মেয়েটি। আদৌ বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা, তাও যেন অনিশ্চয়তার মুখে।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট

কর্নাটকের ধারওয়াদ জেলার ইয়ারাগুপ্পি গ্রামের মেয়ে চৈত্ত্রা শামসি। কারকিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়  বর্ষের এমবিএস ছাত্রী। ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ বাড়ি ফেরার জন্য বিমানের টিকিট কাটাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সমস্ত বিমান বাতিল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি সৈনিক বাবা, দেশে ফেরাতে মুর্মু-মোদিকে আবেদন ছেলের

চৈত্রা জানিয়েছেন, তিনি ভারাসিটির এক হোস্টেলে থাকেন। রুশ সেনারা আমাদের হোস্টেলের কয়েক হাত দূরেই রয়েছে। বুটের শব্দ পাচ্ছি। খুব ভয় পাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে, দরজার সামনে আমি মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি। খাবার নেই। কি হবে জানি না। হোস্টেলের কর্মীরা আশ্বস্থ করছেন। হোস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বাঙ্কারে রাখা হবে। জানি না কি হবে।’

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প  বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে  দেশে ফিরল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি

চৈত্রার মা সুনন্দা জানিয়েছেন, মেয়ে বাড়ি না ফেরা না পর্যন্ত আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারব না। আমি খুব আতঙ্কে আছি। আমি মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। জানি না কি হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হোস্টেলের কাছেই ভারী বুটের শব্দ, জানি না আর বাড়ি ফেরা হবে কিনা ! করুণ আর্তি ইউক্রেনে আটক ডাক্তারি পড়ুয়ার  

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সামনেই মৃত্যুর হাতছানি। কোনদিন এই দিন দেখতে হবে ভাবেনি ইউক্রেনে পড়তে আসা পড়ুয়ারা। জমি বিক্রি করে, আবার গয়না বিক্রি করে ছেলে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়েন বাবা-মা। এই রকমই এক সন্তানের মা দিন গুণছেন মেয়ের ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায়। কর্নাটকের পরিবারের চোখে এখন শুধুই উৎকন্ঠা।

বাড়ির ফেরার প্রায় সমস্ত রাস্তাই বন্ধ বলে মনে করছেন চোখে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে ইউক্রেনে আসা কর্নাটকের ইয়ারাগুপ্পি গ্রামের মেয়ে চৈত্র শামসির। এখানে পড়ার সূত্রে আসা। তার পর এখানের জীবন যাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ যে কি হল, তা বুঝতে পারছেন গ্রামের এই মেয়েটি। আদৌ বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা, তাও যেন অনিশ্চয়তার মুখে।

আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র তলব করলো হাইকোর্ট

কর্নাটকের ধারওয়াদ জেলার ইয়ারাগুপ্পি গ্রামের মেয়ে চৈত্ত্রা শামসি। কারকিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়  বর্ষের এমবিএস ছাত্রী। ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ বাড়ি ফেরার জন্য বিমানের টিকিট কাটাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সমস্ত বিমান বাতিল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি সৈনিক বাবা, দেশে ফেরাতে মুর্মু-মোদিকে আবেদন ছেলের

চৈত্রা জানিয়েছেন, তিনি ভারাসিটির এক হোস্টেলে থাকেন। রুশ সেনারা আমাদের হোস্টেলের কয়েক হাত দূরেই রয়েছে। বুটের শব্দ পাচ্ছি। খুব ভয় পাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে, দরজার সামনে আমি মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছি। খাবার নেই। কি হবে জানি না। হোস্টেলের কর্মীরা আশ্বস্থ করছেন। হোস্টেলের ছাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে বাঙ্কারে রাখা হবে। জানি না কি হবে।’

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প  বিধ্বস্ত তুরস্ক থেকে  দেশে ফিরল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ র‍্যাম্বো ও হানি

চৈত্রার মা সুনন্দা জানিয়েছেন, মেয়ে বাড়ি না ফেরা না পর্যন্ত আমি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারব না। আমি খুব আতঙ্কে আছি। আমি মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। জানি না কি হবে।