২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের কোন কোন এলাকা এখন রুশ সেনার দখলে?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 45

প্রতীকী ছবি

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে বা দখল করার পথে রয়েছে। এই শহরগুলি হল, কিয়েভ, খারকিভ, খারসন, বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোল। এই পাঁচ শহরে রাশিয়ার সেনা আধিপত্য বিস্তার করেছে।

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। এরপর দোনবাস অঞ্চল নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত চলে বহুদিন। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষীদের ওপর ইউক্রেনীয় সেনার অত্যাচার দেখে নীরব থাকতে পারেননি প্রেসিডেন্ট পুতিন। শেষপর্যন্ত ওই দুই এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন এবং এখন তাঁর নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

এর উদ্দেশ্য, ইউক্রেনকে তিন শর্তে রাজি করানো অথবা গোটা ইউক্রেন কব্জা করে নেওয়া। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ৮ দিন ধরে চলছে। এরই মধ্য রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে বা দখল করার পথে রয়েছে। এই শহরগুলি হল, কিয়েভ, খারকিভ, খারসন, বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোল। এই পাঁচ শহরে রাশিয়ার সেনা আধিপত্য বিস্তার করেছে।

আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় হিংসা কেন? উত্তরবঙ্গে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

 

এর মধ্যে খারসনের পূর্ণাঙ্গ দখল নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, খারকিভও রাশিয়ার হামলার মুখে বেশি সময় টিকতে পারবে না। শহরটিতে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যুদ্ধ। আর কিয়েভের দিকে তো এগিয়ে চলেছে রাশিয়ার ৪০ মাইল লম্বা সেনার বহর। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভে রুশ বাহিনী ঢুকে গেলে ইউক্রেনীয় সেনার প্রতিরোধ দূর্বল হয়ে যাবে। ফলে পতন হবে রাজধানীর। এদিকে, দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপোল ও বারদিয়ানস্কেও রুশ সেনা অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। এই শহরগুলির পতন এখন সময়ের অপেক্ষা।

 

খারসন শহর কব্জা করার আগে অবশ্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। খারসনে আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাস। শহরটির মেয়র কেন্দ্রীয় সরকার ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন। খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার এবং আহত ব্যক্তিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

এদিকে ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ঝিতোমিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, হামলায় চারজন নিহত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কিছু আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেনের কোন কোন এলাকা এখন রুশ সেনার দখলে?

আপডেট : ২ মার্চ ২০২২, বুধবার

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে বা দখল করার পথে রয়েছে। এই শহরগুলি হল, কিয়েভ, খারকিভ, খারসন, বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোল। এই পাঁচ শহরে রাশিয়ার সেনা আধিপত্য বিস্তার করেছে।

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। এরপর দোনবাস অঞ্চল নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত চলে বহুদিন। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষীদের ওপর ইউক্রেনীয় সেনার অত্যাচার দেখে নীরব থাকতে পারেননি প্রেসিডেন্ট পুতিন। শেষপর্যন্ত ওই দুই এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন এবং এখন তাঁর নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

এর উদ্দেশ্য, ইউক্রেনকে তিন শর্তে রাজি করানো অথবা গোটা ইউক্রেন কব্জা করে নেওয়া। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ৮ দিন ধরে চলছে। এরই মধ্য রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে বা দখল করার পথে রয়েছে। এই শহরগুলি হল, কিয়েভ, খারকিভ, খারসন, বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোল। এই পাঁচ শহরে রাশিয়ার সেনা আধিপত্য বিস্তার করেছে।

আরও পড়ুন: সীমান্ত এলাকায় হিংসা কেন? উত্তরবঙ্গে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

 

এর মধ্যে খারসনের পূর্ণাঙ্গ দখল নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, খারকিভও রাশিয়ার হামলার মুখে বেশি সময় টিকতে পারবে না। শহরটিতে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে যুদ্ধ। আর কিয়েভের দিকে তো এগিয়ে চলেছে রাশিয়ার ৪০ মাইল লম্বা সেনার বহর। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভে রুশ বাহিনী ঢুকে গেলে ইউক্রেনীয় সেনার প্রতিরোধ দূর্বল হয়ে যাবে। ফলে পতন হবে রাজধানীর। এদিকে, দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনের মারিউপোল ও বারদিয়ানস্কেও রুশ সেনা অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর। এই শহরগুলির পতন এখন সময়ের অপেক্ষা।

 

খারসন শহর কব্জা করার আগে অবশ্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। খারসনে আড়াই লক্ষ মানুষের বসবাস। শহরটির মেয়র কেন্দ্রীয় সরকার ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন। খাদ্য, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার এবং আহত ব্যক্তিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

এদিকে ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ঝিতোমিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, হামলায় চারজন নিহত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কিছু আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনের জরুরি বিভাগের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।