রামনমবীতে দেশ জুড়ে হিংসাত্বক কার্যকলাপ, মোদি কেন চুপ ? প্রশ্ন তুলল বামফ্রন্ট্র
- আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
- / 22
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃরামনবমীর দিন ১০ এপ্রিল দেশজুড়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে
হিংসাত্বক কার্যকলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন মুখে কুলুপ এটেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামপন্থী দলগুলি।দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের তীব্র বিরোধীতার পাশাপাশি শাস্তির দাবিও করা হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচারের মাধ্যম হিসেবে আরএসএসের ধর্মীয় উৎসবগুলিকে বেছে নেওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেছেন বাম নেতারা।
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাম নবমী উপলক্ষে মিছিলের সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মধ্যপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি – রাজ্যে যেভাবে মাথা চাড়া দিয়েছে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
বিহারে অত্যন্ত আপত্তিকর ঘটনা ঘটেছে যেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি মসজিদে গেরুয়া পতাকা লাগানো হয়েছে। দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে, রাম নবমীর নামে সংঘ পরিবার অনুমোদিত এবিভিপি একটি হোস্টেল ক্যান্টিনে মেস কর্মীদের উপর আক্রমণ করে।তাদের আমিষ খাবার পরিবেশন করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করা হয়। এখানেই শেষ নয় তারপর তাদের উদ্ধারে আসা ছাত্রদের আক্রমণও করা হয়।
মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং বিহার সরকারকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে মিছিল করার অনুমতি দেওয়ার জন্যও তীব্র সমালোচনা করেছে বামফ্রন্ট।
“মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং বিহারে প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কারণ তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই সংখ্যালঘু অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য এই ধরনের মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও, মধ্যপ্রদেশেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সকলেই “দাঙ্গাকারী” এই ধরনের লেভেল সেঁটে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠে আসছে এখানেই এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরেও কেন নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশজুড়ে এইভাবে বিদ্বেষ, ঘৃণা ধর্মান্ধতাকে উস্কে দেওয়ার একটাই অর্থ ভারতের সংবিধান এবং রাজনীতির ওপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেওয়া। এমনটাই বলছেন বাম নেতৃত্ব।
দলটি শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং ধর্মের নামে যারা মানুষকে বিভাজিত করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করার জন্য সকল স্তরের জনগণের কাছে আবেদন জানায়। দেশ জুড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বানও জানায় .