২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিক্যাল পরীক্ষার করা হলেও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না: স্বাস্থ্য দফতর

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 30

Representative image

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শরীর পরীক্ষা করাতে এলে প্রকাশ্যে আনা যাবে না নির্যাতিতার নাম। বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে ধর্ষিতার নাম। তার মধ্যে কয়েকজন আবার নাবালিকা। এর প্রেক্ষিতে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হল– কোনও অবস্থাতেই প্রকাশ্যে আনা যাবে না নির্যাতিতার নাম। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– নির্যাতিতার নাম যাতে কোনওভাবেই সামনে না আসে– তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী– ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির পরে নির্যাতিতা শারীরিক পরীক্ষা করাতে এলে তাঁর নাম লেখা চলবে না। আগেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায় যাতে কঠোরভাবে কার্যকর করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণে স্বাস্থ্যভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ– জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং মেডিক্যাল সুপারদের এ-কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– রিপোর্টে নির্যাতিতার নামের বদলে লিখতে হবে কেসের রেফারেন্স নম্বর। একইসঙ্গে– নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে কনসেন্ট লেটার বা সম্মতিপত্র নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে– সম্মতিপত্রে নির্যাতিতার নাম লিখতেই হয়। তবে তাও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে না আসে।

আরও পড়ুন: ‘অনুব্রতকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো অবধি নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের’ : আসানসোল আদালত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মেডিক্যাল পরীক্ষার করা হলেও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না: স্বাস্থ্য দফতর

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শরীর পরীক্ষা করাতে এলে প্রকাশ্যে আনা যাবে না নির্যাতিতার নাম। বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে ধর্ষিতার নাম। তার মধ্যে কয়েকজন আবার নাবালিকা। এর প্রেক্ষিতে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। জানানো হল– কোনও অবস্থাতেই প্রকাশ্যে আনা যাবে না নির্যাতিতার নাম। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– নির্যাতিতার নাম যাতে কোনওভাবেই সামনে না আসে– তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী– ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির পরে নির্যাতিতা শারীরিক পরীক্ষা করাতে এলে তাঁর নাম লেখা চলবে না। আগেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায় যাতে কঠোরভাবে কার্যকর করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণে স্বাস্থ্যভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ– জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং মেডিক্যাল সুপারদের এ-কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে– রিপোর্টে নির্যাতিতার নামের বদলে লিখতে হবে কেসের রেফারেন্স নম্বর। একইসঙ্গে– নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হলে কনসেন্ট লেটার বা সম্মতিপত্র নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে– সম্মতিপত্রে নির্যাতিতার নাম লিখতেই হয়। তবে তাও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। যাতে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে না আসে।

আরও পড়ুন: ‘অনুব্রতকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো অবধি নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের’ : আসানসোল আদালত