০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখা যাবে কুরআন তেলাওয়াত………

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 69

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এপ্রিল­ শ্রবণে অক্ষম ব্যক্তি বা বধিরদের পবিত্র হজ পালনের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করল সউদি আরব। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খুতবা বোঝার সুবিধার্থে সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার করা হবে। মক্কা এবং মদিনা শরিফে বিশেষ কক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। এই সাংকেতিক ভাষা হল হাত দিয়ে তৈরি করা চিহ্ন, মুখভঙ্গি কিংবা অঙ্গভঙ্গির সাহায্যে দর্শন-ইন্দ্রিয় নির্ভর যোগাযোগের এক বিশেষ পদ্ধতি। এটি সউদির বধির সম্প্রদায়ের মাধ্যমে বিকশিত এবং সমৃদ্ধ হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সাংকেতিক ভাষায় পবিত্র কুরআন মুখস্ত করতে এবং তেলাওয়াত করা শিখতে পারবেন। সউদি আরবের প্রতিবন্ধী পরিষেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবায় বরাদ্দ করা হয়েছে একটি বিশেষ কক্ষ। ১০০ জন ধারণ ক্ষমতার কক্ষটিতে প্রশিক্ষিত কর্মীরা সাংকেতিক ভাষায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শুক্রবারের খুতবা এবং বত্তৃ«তা ব্যাখ্যা করবেন। মসজিদে নববীর সাংকেতিক ভাষা অনুবাদক ডক্টর খালিদ বিন সুলাইমান আল-থুকাইর বলেন, মসজিদে নববীর ছাদে একটি বিশেষ কক্ষের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব থেকে আগত বধির মানুষের জন্য খুতবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংকেতিক খুতবাটি সারা বিশ্বের বধির মুসলমানদের জন্য সম্প্রচারও করা হবে। আল-থুকাইর আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি বধির মুসলমান সাংকেতিক খুতবা থেকে উপকৃত হবে। আগে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা শুধুমাত্র জুমার নামায থেকে উপকৃত হত।’ আল-থুকাইর দাবি করেন, অনুবাদকরা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ বিষয়বস্তু বধিরদের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হন। সাংকেতিক ভাষা বিশেষজ্ঞ মারাম আল-জুয়েদ বলেন, ‘সাংকেতিক ভাষা কেবল হাত দিয়ে এলোমেলো নড়াচড়া নয়, বরং একটি ভাষাগত ব্যবস্থা যা প্রতীকগুলির সমন্বয়ে গঠিত শব্দ, ধারণা বা ভাষার ধারণাগুলির প্রতিনিধিত্ব করে।’

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শেখা যাবে কুরআন তেলাওয়াত………

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এপ্রিল­ শ্রবণে অক্ষম ব্যক্তি বা বধিরদের পবিত্র হজ পালনের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করল সউদি আরব। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খুতবা বোঝার সুবিধার্থে সাংকেতিক ভাষার ব্যবহার করা হবে। মক্কা এবং মদিনা শরিফে বিশেষ কক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। এই সাংকেতিক ভাষা হল হাত দিয়ে তৈরি করা চিহ্ন, মুখভঙ্গি কিংবা অঙ্গভঙ্গির সাহায্যে দর্শন-ইন্দ্রিয় নির্ভর যোগাযোগের এক বিশেষ পদ্ধতি। এটি সউদির বধির সম্প্রদায়ের মাধ্যমে বিকশিত এবং সমৃদ্ধ হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সাংকেতিক ভাষায় পবিত্র কুরআন মুখস্ত করতে এবং তেলাওয়াত করা শিখতে পারবেন। সউদি আরবের প্রতিবন্ধী পরিষেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবায় বরাদ্দ করা হয়েছে একটি বিশেষ কক্ষ। ১০০ জন ধারণ ক্ষমতার কক্ষটিতে প্রশিক্ষিত কর্মীরা সাংকেতিক ভাষায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শুক্রবারের খুতবা এবং বত্তৃ«তা ব্যাখ্যা করবেন। মসজিদে নববীর সাংকেতিক ভাষা অনুবাদক ডক্টর খালিদ বিন সুলাইমান আল-থুকাইর বলেন, মসজিদে নববীর ছাদে একটি বিশেষ কক্ষের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব থেকে আগত বধির মানুষের জন্য খুতবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংকেতিক খুতবাটি সারা বিশ্বের বধির মুসলমানদের জন্য সম্প্রচারও করা হবে। আল-থুকাইর আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি বধির মুসলমান সাংকেতিক খুতবা থেকে উপকৃত হবে। আগে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা শুধুমাত্র জুমার নামায থেকে উপকৃত হত।’ আল-থুকাইর দাবি করেন, অনুবাদকরা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ বিষয়বস্তু বধিরদের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হন। সাংকেতিক ভাষা বিশেষজ্ঞ মারাম আল-জুয়েদ বলেন, ‘সাংকেতিক ভাষা কেবল হাত দিয়ে এলোমেলো নড়াচড়া নয়, বরং একটি ভাষাগত ব্যবস্থা যা প্রতীকগুলির সমন্বয়ে গঠিত শব্দ, ধারণা বা ভাষার ধারণাগুলির প্রতিনিধিত্ব করে।’

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!