০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পথ দেখিয়েছে গুজরাত, রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব নিয়ে মন্তব্য স্ট্যালিনের

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার
  • / 60

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এবার চরমে উঠল সংঘাত। অবিজেপি বেশ কিছু রাজ্যে রাজ্যপাল এবং রাজ্যসরকারের  মধ্যে এই টানাপোড়েন উঠেছে চরমে।বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একাধিকবার দাবি করেছে কেন্দ্রের শাসকদল ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্বাচিত রাজ্যসরকারকে হেনস্থা করার জন্যই রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে। রাজ্যপাল পদটির প্রয়োজনীয়তা কোথায় এই নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

এবার রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে আক্ষরিক অর্থেই পদক্ষেপ শুরু করে দিল ডিএমকে নেতৃত্বাধীন  তামিলনাড়ুর   সরকার।সোমবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি বিল পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে উপাচার্য নিয়োগ করার যে ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে আছে তা কেড়ে নেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: এম কে স্ট্যালিনকে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির

এমন সময় তামিলনাড়ু বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হল যে সময় রাজ্যপাল আর এন রবি কেন্দ্রীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে উটিতে দুদিনের সন্মেলন করছেন।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

রাজ্যপালের এই ডানা ছাঁটার প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে এত সোচ্চার হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি শাসিত গুজরাতই এই রাস্তা প্রথম দেখিয়েছিল। সেখানে সার্চ কমিটির বেছে দেওয়া তিনটি নামের মধ্যে মাত্র এক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল উপাচার্য হিসেবে।

আরও পড়ুন: বহু ভাষাকে গিলে খেয়েছে হিন্দি, ‘ভাষাযুদ্ধে’র ডাক দিলেন স্ট্যালিন

স্ট্যালিন আরও বলেন প্রথা মেনে রাজ্যসরকারের পরামর্শে উপাচার্য নিয়োগ করার কথা  রাজ্যপালের। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপালরা এমন আচরণ করছেন যেন এটা তাঁদের   অধিকারের মধ্যে পড়ছে। স্ট্যালিন সাফ বলেছেন এটা আসলে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে অসম্মান করার জন্যই করা হচ্ছে। উদাহরণ স্বরুপ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও একই  পথ দেখিয়েছে। মহারাষ্ট্রের উদ্ধভ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারও একই  সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের কথায় আসলে বিজেপির গুজরাত মডেল এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। সময় যে পরিবর্তনশীল।

উল্লেখ্য একইভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারংবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের রাজ্যসরকারের কাজে হস্তক্ষেপ নিয়ে ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পথ দেখিয়েছে গুজরাত, রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব নিয়ে মন্তব্য স্ট্যালিনের

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ এবার চরমে উঠল সংঘাত। অবিজেপি বেশ কিছু রাজ্যে রাজ্যপাল এবং রাজ্যসরকারের  মধ্যে এই টানাপোড়েন উঠেছে চরমে।বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একাধিকবার দাবি করেছে কেন্দ্রের শাসকদল ইচ্ছাকৃত ভাবে নির্বাচিত রাজ্যসরকারকে হেনস্থা করার জন্যই রাজ্যপালকে ব্যবহার করছে। রাজ্যপাল পদটির প্রয়োজনীয়তা কোথায় এই নিয়েও ওঠে প্রশ্ন।

এবার রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে আক্ষরিক অর্থেই পদক্ষেপ শুরু করে দিল ডিএমকে নেতৃত্বাধীন  তামিলনাড়ুর   সরকার।সোমবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি বিল পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে উপাচার্য নিয়োগ করার যে ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে আছে তা কেড়ে নেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: এম কে স্ট্যালিনকে বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির

এমন সময় তামিলনাড়ু বিধানসভায় এই বিল পেশ করা হল যে সময় রাজ্যপাল আর এন রবি কেন্দ্রীয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে উটিতে দুদিনের সন্মেলন করছেন।

আরও পড়ুন: ঋতুমতী হওয়ার অপরাধ! প্রিন্সিপালের নির্দেশে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দলিত ছাত্রীর

রাজ্যপালের এই ডানা ছাঁটার প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে এত সোচ্চার হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি শাসিত গুজরাতই এই রাস্তা প্রথম দেখিয়েছিল। সেখানে সার্চ কমিটির বেছে দেওয়া তিনটি নামের মধ্যে মাত্র এক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল উপাচার্য হিসেবে।

আরও পড়ুন: বহু ভাষাকে গিলে খেয়েছে হিন্দি, ‘ভাষাযুদ্ধে’র ডাক দিলেন স্ট্যালিন

স্ট্যালিন আরও বলেন প্রথা মেনে রাজ্যসরকারের পরামর্শে উপাচার্য নিয়োগ করার কথা  রাজ্যপালের। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপালরা এমন আচরণ করছেন যেন এটা তাঁদের   অধিকারের মধ্যে পড়ছে। স্ট্যালিন সাফ বলেছেন এটা আসলে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে অসম্মান করার জন্যই করা হচ্ছে। উদাহরণ স্বরুপ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও একই  পথ দেখিয়েছে। মহারাষ্ট্রের উদ্ধভ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারও একই  সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের কথায় আসলে বিজেপির গুজরাত মডেল এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। সময় যে পরিবর্তনশীল।

উল্লেখ্য একইভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারংবার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের রাজ্যসরকারের কাজে হস্তক্ষেপ নিয়ে ।