০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের আবাসন নীতি বর্ণবাদী: রাষ্ট্রসংঘ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 127

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ­  পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলের আবাসন নীতি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্যবাদী নীতির প্রতিফলন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘ বিষেজ্ঞদের একটি দল এই মন্তব্য করেছে। বিশেষজ্ঞরা মূলত ইসরাইলের আবাসন নীতির অঞ্চল বিভাজন ও বৈষম্যমূলক পরিকল্পনা নিয়ে কিছু রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই মন্তব্য করেছেন। এ কথা সকলেরই জানা যে, ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ করে রাখতে তাদের থেকে বাসস্থান, পরিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছিনিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের বিবৃতি, পূর্ব জেরুসালেমে এই বিভাজনমূলক ক্ষেত্রবিন্যাস ও পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে ইহুদিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের আবাসন সক্ষমতা কমে গেছে। বোঝাই যায়, এটি গায়ের রং, জাতীয়তা ও বর্ণ দেখে করা বৈষম্য। বর্ণবাদী ইহুদি বসতিগুলি ফিলিস্তিনিদের জীবনের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’ ইসরাইলের এই বর্ণবাদী নীতির সমালোচনা করে ওয়েস্টব্যাঙ্ক ও জেরুসালেম অঞ্চলে ফিলিস্তিনি এবং বেদুইনদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এর আগে মার্চ মাসে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ প্রকাশিত রিপার্টে ইসরাইলকে ‍‌‌‌‌‌‌’বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ইসরাইলি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরাইলের বাধ্যবাধকতা কতটা তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইসরাইলকে বরখাস্তের দাবি তুলল তুরস্ক

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসরাইলের আবাসন নীতি বর্ণবাদী: রাষ্ট্রসংঘ

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ­  পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলের আবাসন নীতি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্যবাদী নীতির প্রতিফলন। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘ বিষেজ্ঞদের একটি দল এই মন্তব্য করেছে। বিশেষজ্ঞরা মূলত ইসরাইলের আবাসন নীতির অঞ্চল বিভাজন ও বৈষম্যমূলক পরিকল্পনা নিয়ে কিছু রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই মন্তব্য করেছেন। এ কথা সকলেরই জানা যে, ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ করে রাখতে তাদের থেকে বাসস্থান, পরিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুবিধা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছিনিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের বিবৃতি, পূর্ব জেরুসালেমে এই বিভাজনমূলক ক্ষেত্রবিন্যাস ও পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে ইহুদিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের আবাসন সক্ষমতা কমে গেছে। বোঝাই যায়, এটি গায়ের রং, জাতীয়তা ও বর্ণ দেখে করা বৈষম্য। বর্ণবাদী ইহুদি বসতিগুলি ফিলিস্তিনিদের জীবনের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’ ইসরাইলের এই বর্ণবাদী নীতির সমালোচনা করে ওয়েস্টব্যাঙ্ক ও জেরুসালেম অঞ্চলে ফিলিস্তিনি এবং বেদুইনদের রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এর আগে মার্চ মাসে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ প্রকাশিত রিপার্টে ইসরাইলকে ‍‌‌‌‌‌‌’বর্ণবাদী রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ইসরাইলি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইসরাইলের বাধ্যবাধকতা কতটা তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ থেকে ইসরাইলকে বরখাস্তের দাবি তুলল তুরস্ক