১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাজ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরেই তামিলনাড়ুতে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ মে ২০২২, শুক্রবার
  • / 25

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাদ্রাজ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরেই ফের তামিলনাড়ুতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক। মাদ্রাজ হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদ্বয়ের ডিভিশন বলেন, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ধর্মান্তকরণ রোধে নির্দেশিকা চালু করতে সরকারের অসুবিধা কি আছে? মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ের পরেই তামিলনাড়ুতে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতি আর. মহাদেবন এবং বিচারপতি এস. অনন্তির অবসরকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট বি জগন্নাথনের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এই রায় দেন। আবেদনকারী আদালতে রাজ্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে এবং সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জে. রবীন্দ্রন আদালতে জানান, আবেদনকারী দুটি ছোট ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি বড় সমস্যা তৈরি করছেন। সরকারি স্কুল বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হয় তামিলনাড়ুতে ১১ বছরের কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে। তার অভিযোগ ছিল যে তাকে তার স্কুলের একজন ওয়ার্ডেন ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করেন। সুইসাইড নোটে ওই কিশোরী লেখে ধর্মান্তকরণে আপত্তি জানানোয় তাকে দিয়ে পরিচারকের কাজ করানো হয়। এর ফলে তার মানসিক চাপ তৈরি হয়। যেটি তার পড়াশোনা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি কন্যাকুমারী জেলার ছাত্ররা একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে যে, তিনি তাদের বাইবেল পড়তে বাধ্য করছেন এবং শিব সহ হিন্দু দেবতাদের অবজ্ঞা করেছেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই 

মাদুরাইয়ের সোশিও-ইকোনমিক ডেভলপ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ড.আর পদ্মনাভন বলেন, মাদ্রাজ হাইকোর্ট জোর করে ধর্মান্তকরণ নিয়ে একটি আলোচনা শুরু করেছে। এটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে আলোচনা করতে হবে। আমাদের দেশে যে কোনও ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু এটি কোনও ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করার বা জোর করে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অধিকার দেয় না।

আরও পড়ুন: হিন্দি ভাষা চাপানো নিয়ে তপ্ত হচ্ছে তামিলনাড়ু

আরও পড়ুন: স্ট্যালিনকে চিনা ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিজেপির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাদ্রাজ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরেই তামিলনাড়ুতে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক

আপডেট : ৬ মে ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাদ্রাজ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পরেই ফের তামিলনাড়ুতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক। মাদ্রাজ হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদ্বয়ের ডিভিশন বলেন, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ধর্মান্তকরণ রোধে নির্দেশিকা চালু করতে সরকারের অসুবিধা কি আছে? মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়ের পরেই তামিলনাড়ুতে ধর্মান্তকরণ বিতর্ক তুঙ্গে। বিচারপতি আর. মহাদেবন এবং বিচারপতি এস. অনন্তির অবসরকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার অ্যাডভোকেট বি জগন্নাথনের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এই রায় দেন। আবেদনকারী আদালতে রাজ্য সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে এবং সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জে. রবীন্দ্রন আদালতে জানান, আবেদনকারী দুটি ছোট ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি বড় সমস্যা তৈরি করছেন। সরকারি স্কুল বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত হয় তামিলনাড়ুতে ১১ বছরের কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে। তার অভিযোগ ছিল যে তাকে তার স্কুলের একজন ওয়ার্ডেন ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করেন। সুইসাইড নোটে ওই কিশোরী লেখে ধর্মান্তকরণে আপত্তি জানানোয় তাকে দিয়ে পরিচারকের কাজ করানো হয়। এর ফলে তার মানসিক চাপ তৈরি হয়। যেটি তার পড়াশোনা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি কন্যাকুমারী জেলার ছাত্ররা একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে যে, তিনি তাদের বাইবেল পড়তে বাধ্য করছেন এবং শিব সহ হিন্দু দেবতাদের অবজ্ঞা করেছেন।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই 

মাদুরাইয়ের সোশিও-ইকোনমিক ডেভলপ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ড.আর পদ্মনাভন বলেন, মাদ্রাজ হাইকোর্ট জোর করে ধর্মান্তকরণ নিয়ে একটি আলোচনা শুরু করেছে। এটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে আলোচনা করতে হবে। আমাদের দেশে যে কোনও ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু এটি কোনও ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করার বা জোর করে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অধিকার দেয় না।

আরও পড়ুন: হিন্দি ভাষা চাপানো নিয়ে তপ্ত হচ্ছে তামিলনাড়ু

আরও পড়ুন: স্ট্যালিনকে চিনা ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিজেপির