১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিউড়ির রেলের ওভার ব্রীজ নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে ফের উদ্যোগী হলেন সাংসদ শতাব্দি রায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ মে ২০২২, বুধবার
  • / 50

কৌশিক সালুই বীরভূম 10:- দোষারোপ আর পাল্টা দোষারোপে আটকে রয়েছে সিউড়ির রেলের ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ। সেই জট কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ফের উদ্যোগী হলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার সিউড়িতে এ বিষয়ে তিনি রেল কর্তৃপক্ষ নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা p.w.d. আধিকারিক ,জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

সিউড়ির রেলের ওভার ব্রীজ নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে ফের উদ্যোগী হলেন সাংসদ শতাব্দি রায়। আগেই তিনি গত ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বীরভূম জেলায় নির্মীয়মান রেলের বিভিন্ন ওভারব্রিজ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার পরেই সিউড়ি-বোলপুর রাজ্য সড়কের হাটজন বাজারে রেলের ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ গতি পায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ফের সেই নির্মাণকাজ শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এবার সেই জট ছাড়াতে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিভাগের সঙ্গে উচ্চস্থানীয় বৈঠক করলেন সাংসদ শতাব্দি রায়। আগামী কুড়ি তারিখের মধ্যে সেই কাজের গতি আনতে ঠিকাদার সংস্থা লোকবল বাড়িয়ে দ্রুত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: দুরন্ত এক্সপ্রেসের থেকেও দ্রুত উমরান

প্রায় চার বছর আগে সাঁইথিয়া অন্ডাল রেল শাখার বোলপুর সিউরি রাজ্য সড়কের হাটজন বাজারে রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমদিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ঠিকঠাক কাজ চললেও বর্তমানে তা থেমে আছে। শতাব্দি রায় এ বিষয়ে বারবার সরব হয়েছেন। তিনি বলেন,”আমি বীরভূম জেলার কয়েকটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সিউড়িতে কাজ চলছে। কিন্তু সেই নির্মাণ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। এলাকায় যানজট বাড়ছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার দাবি ওভারব্রীজের ডিজাইন পাস করতে রেল প্রায় দু বছরের বেশি সময় লাগিয়েছে। তারপরে যেটুকু কাজ হয়েছে রেল দপ্তরে কাছ থেকে ঠিকমতো টাকা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে রেলের পাল্টা দাবি যেমন নির্মাণ কাজ হবে সেইভাবেই তাদেরকে পেমেন্ট করা হবে। এই দুপক্ষের দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপ শুরু হয়েছে। একদম জগাখিচুড়ি অবস্থা। যাহোক সেই জট ছাড়ানোর জন্য সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে এবং সাধারন মানুষদের সমস্যায় আছেন তা থেকে সমাধান পাবেন”।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিউড়ির রেলের ওভার ব্রীজ নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে ফের উদ্যোগী হলেন সাংসদ শতাব্দি রায়

আপডেট : ১১ মে ২০২২, বুধবার

কৌশিক সালুই বীরভূম 10:- দোষারোপ আর পাল্টা দোষারোপে আটকে রয়েছে সিউড়ির রেলের ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ। সেই জট কাটিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ফের উদ্যোগী হলেন বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার সিউড়িতে এ বিষয়ে তিনি রেল কর্তৃপক্ষ নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা p.w.d. আধিকারিক ,জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

সিউড়ির রেলের ওভার ব্রীজ নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে ফের উদ্যোগী হলেন সাংসদ শতাব্দি রায়। আগেই তিনি গত ডিসেম্বর মাসে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বীরভূম জেলায় নির্মীয়মান রেলের বিভিন্ন ওভারব্রিজ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার পরেই সিউড়ি-বোলপুর রাজ্য সড়কের হাটজন বাজারে রেলের ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ গতি পায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ফের সেই নির্মাণকাজ শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এবার সেই জট ছাড়াতে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বিভাগের সঙ্গে উচ্চস্থানীয় বৈঠক করলেন সাংসদ শতাব্দি রায়। আগামী কুড়ি তারিখের মধ্যে সেই কাজের গতি আনতে ঠিকাদার সংস্থা লোকবল বাড়িয়ে দ্রুত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: দুরন্ত এক্সপ্রেসের থেকেও দ্রুত উমরান

প্রায় চার বছর আগে সাঁইথিয়া অন্ডাল রেল শাখার বোলপুর সিউরি রাজ্য সড়কের হাটজন বাজারে রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমদিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ঠিকঠাক কাজ চললেও বর্তমানে তা থেমে আছে। শতাব্দি রায় এ বিষয়ে বারবার সরব হয়েছেন। তিনি বলেন,”আমি বীরভূম জেলার কয়েকটি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সিউড়িতে কাজ চলছে। কিন্তু সেই নির্মাণ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। এলাকায় যানজট বাড়ছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার দাবি ওভারব্রীজের ডিজাইন পাস করতে রেল প্রায় দু বছরের বেশি সময় লাগিয়েছে। তারপরে যেটুকু কাজ হয়েছে রেল দপ্তরে কাছ থেকে ঠিকমতো টাকা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে রেলের পাল্টা দাবি যেমন নির্মাণ কাজ হবে সেইভাবেই তাদেরকে পেমেন্ট করা হবে। এই দুপক্ষের দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপ শুরু হয়েছে। একদম জগাখিচুড়ি অবস্থা। যাহোক সেই জট ছাড়ানোর জন্য সবাইকে নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে এবং সাধারন মানুষদের সমস্যায় আছেন তা থেকে সমাধান পাবেন”।