২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কম নম্বর পেয়েও মেয়ের চাকরি কিভাবে? পরেশ অধিকারীকে প্রশ্ন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ মে ২০২২, শুক্রবার
  • / 81

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ে কড়া নজরে বন্দী শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল প্রায় তিনঘন্টা ধরে জেরা করা হয় পরেশ অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। রাত সাড়ে  ১০টা নাগাদ দফতর থেকে বের হন তিনি।   এরপর সোজা এমএলএ হস্টেলে চলে যান তিনি।

নিজাম প্যালেসে তদন্তকারী অফিসারের কড়া প্রশ্নের সামনে পড়েন তিনি। তদন্তকারী অফিসার প্রশ্ন করেন, মেয়ের চাকরির জন্য কিভাবে প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি? কম নম্বর পেয়েও কিভাবে চাকরি পেলেন অঙ্কিতা?মেয়ের চাকরির ব্যাপারে তিনি কি জানেন?

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

কার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন?  শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়। তবে উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের তাকে ডেকে পাঠানো হয়। আজ নির্দিষ্ট সময়ে আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি। সূত্রের খবর, সিবিআই ডাকতে পারে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে।

আরও পড়ুন: পার্থের জামিন মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জানাতে ‘সময়’ নিল সিবিআই

উল্লেখ্য, আদালত আবমাননার মামলায় মন্ত্রীকে শেষ সুযোগ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ ছিল বিকেল ৩টে’র মধ্যে তাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পার করে যান তিনি। এরপর CBI-কে ইমেল করেন পরেশ অধিকারী। হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চান তিনি। চিঠিতে জানান, ‘কোচবিহারে রয়েছি। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা পৌঁছব’।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

এর পরে সিবিআই পরেশ অধিকারী ও তার মেয়ের নামে এফআইআর করেন।

উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষাদফতর প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কম নম্বর পেয়েও মেয়ের চাকরি কিভাবে? পরেশ অধিকারীকে প্রশ্ন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারের

আপডেট : ২০ মে ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ে কড়া নজরে বন্দী শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গতকাল প্রায় তিনঘন্টা ধরে জেরা করা হয় পরেশ অধিকারীকে। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। রাত সাড়ে  ১০টা নাগাদ দফতর থেকে বের হন তিনি।   এরপর সোজা এমএলএ হস্টেলে চলে যান তিনি।

নিজাম প্যালেসে তদন্তকারী অফিসারের কড়া প্রশ্নের সামনে পড়েন তিনি। তদন্তকারী অফিসার প্রশ্ন করেন, মেয়ের চাকরির জন্য কিভাবে প্রভাব খাটিয়েছিলেন তিনি? কম নম্বর পেয়েও কিভাবে চাকরি পেলেন অঙ্কিতা?মেয়ের চাকরির ব্যাপারে তিনি কি জানেন?

আরও পড়ুন: SBI fraud case: ED-র পরে এ বার CBI-এর নজরে অনিল আম্বানি

কার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন?  শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করা হয়। তবে উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের তাকে ডেকে পাঠানো হয়। আজ নির্দিষ্ট সময়ে আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি। সূত্রের খবর, সিবিআই ডাকতে পারে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে।

আরও পড়ুন: পার্থের জামিন মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট জানাতে ‘সময়’ নিল সিবিআই

উল্লেখ্য, আদালত আবমাননার মামলায় মন্ত্রীকে শেষ সুযোগ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ ছিল বিকেল ৩টে’র মধ্যে তাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় পার করে যান তিনি। এরপর CBI-কে ইমেল করেন পরেশ অধিকারী। হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চান তিনি। চিঠিতে জানান, ‘কোচবিহারে রয়েছি। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা পৌঁছব’।

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

এর পরে সিবিআই পরেশ অধিকারী ও তার মেয়ের নামে এফআইআর করেন।

উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষাদফতর প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। এনিয়ে ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী।