১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংক্রমণের চেন ভাঙতে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন, মানতে হবে এই বিধিনিষেধগুলি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 39

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা সংক্রমণের দ্রুততার কথা মাথায় রেখে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে ঢাকায়। এমনটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কঠোর লকডাউনের কারণে মেনে চলতে হবে করোনা বিধিনিষেধ। তবে লকডাউন নিয়ে কোনও গুজবে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার ঈদের আগে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কুরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন।আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ থাকবে।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকায় বসছে সর্বদলীয় বৈঠক

সংক্রমণের চেন ভাঙতে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন, মানতে হবে এই বিধিনিষেধগুলি

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

আরও পড়ুন: আজ ঢাকা সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব


এই বিধিনিষেধের আওতায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়া শিল্প-কলকারখানা, গণ পরিবহণও বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, আভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল,সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে। অফিসের কাজ চলবে ভার্চুয়ালি।
এ ছাড়া শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, শিল্পকারখানা, সব পর্যটনকেন্দ্র, রির্সট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। তবে ছাড় থাকছে জরুরি পরিষেবায়।
তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন, কৃষিপণ্য-উপকরণ, খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন বা বিক্রি, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারি ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করা যাবে।

আরও পড়ুন: Eid ul-Fitr উদযাপনে ঢাকা ছাড়লেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, সংক্রমণের চেন ভাঙতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা রাখি। আগামী ১৪ দিন সবাইকে এই কঠোর বিধিনিষেধ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংক্রমণের চেন ভাঙতে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন, মানতে হবে এই বিধিনিষেধগুলি

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা সংক্রমণের দ্রুততার কথা মাথায় রেখে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে ঢাকায়। এমনটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, কঠোর লকডাউনের কারণে মেনে চলতে হবে করোনা বিধিনিষেধ। তবে লকডাউন নিয়ে কোনও গুজবে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার ঈদের আগে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কুরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন।আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ থাকবে।

আরও পড়ুন: আজ ঢাকায় বসছে সর্বদলীয় বৈঠক

সংক্রমণের চেন ভাঙতে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন, মানতে হবে এই বিধিনিষেধগুলি

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

আরও পড়ুন: আজ ঢাকা সফরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব


এই বিধিনিষেধের আওতায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়া শিল্প-কলকারখানা, গণ পরিবহণও বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন, আভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল,সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে। অফিসের কাজ চলবে ভার্চুয়ালি।
এ ছাড়া শপিং মল, মার্কেটসহ সব দোকানপাট, শিল্পকারখানা, সব পর্যটনকেন্দ্র, রির্সট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। তবে ছাড় থাকছে জরুরি পরিষেবায়।
তবে আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন, কৃষিপণ্য-উপকরণ, খাদ্যশস্য-খাদ্যদ্রব্য পরিবহন বা বিক্রি, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারি ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করা যাবে।

আরও পড়ুন: Eid ul-Fitr উদযাপনে ঢাকা ছাড়লেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, সংক্রমণের চেন ভাঙতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা রাখি। আগামী ১৪ দিন সবাইকে এই কঠোর বিধিনিষেধ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।