২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে ইউক্রেনের…

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, সোমবার
  • / 50

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদনেৎস্ক শহরকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে রুশ সেনাবাহিনী। পার্শ্ববর্তী শহরের সাথে যোগাযোগের তিনটি সেতুর দুটিই তারা ধ্বংস করেছে। বাকি একটি সেতু ধ্বংস করে দিলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে শহরটি। এ অবস্থায় অসামরিক লোকদের পালিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

ইউক্রেনের কর্মকর্তরা জানান, নদীর ওপারের অন্য একটি শহরের সাথে সংযোগকারী একটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। এর ফলে অসামরিক লোকদের পালানোর পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের পূর্ব দোনবাস অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে সেভেরোদনেৎস্ক।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

 

আরও পড়ুন: আখনুরে আইইডি বিস্ফোরণে মৃত ২ জওয়ান

রুশ বাহিনী শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য তীব্র লড়াই চালাচ্ছে। লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলছেন, লুহানস্কের রাস্তায় রাস্তায় ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। রাশিয়ান বাহিনী এই শহরের অধিকাংশ দখল করে নিলেও ইউক্রেনীয় সেনারা একটি শিল্প এলাকা এবং আজোট রাসায়নিক প্ল্যান্টের নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। এসব এলাকায় শত শত অসামরিক লোক আশ্রয় নিচ্ছে। সেতু ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইদাই আরও বলেন, সেতুটি সেভেরোদনেৎস্ককে লিসিচানস্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। সেভেরোদনেৎস্কের তিনটি সেতুর মধ্যে এখন একটি টিকে আছে।

 

যদি রাশিয়ানরা সে সেতুটিও ভেঙে দেয়, তাহলে শহরটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ফলে শহরটিতে যাওয়া আসার পথ থাকবে না। লুহানস্কের গভর্নর আরও জানান, সেভেরোদনেৎস্ক শহরের এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি জায়গা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাশিয়ার হাতে চলে গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র তাদেরকে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে দশগুণ সুবিধা দিয়েছে। তবে সবকিছুর পরও, আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি’। একদিন আগেই জানা গিয়েছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় পশ্চিমা বিশ্বের পাঠানো অস্ত্রের বিশাল চালান ধ্বংস হয়েছে। দেশের সব গোলা-বারুদ প্রায় শেষের পথে বলে স্বীকারও করেছে ইউক্রেন সরকার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে ইউক্রেনের…

আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদনেৎস্ক শহরকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে রুশ সেনাবাহিনী। পার্শ্ববর্তী শহরের সাথে যোগাযোগের তিনটি সেতুর দুটিই তারা ধ্বংস করেছে। বাকি একটি সেতু ধ্বংস করে দিলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে শহরটি। এ অবস্থায় অসামরিক লোকদের পালিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

ইউক্রেনের কর্মকর্তরা জানান, নদীর ওপারের অন্য একটি শহরের সাথে সংযোগকারী একটি সেতু উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনা। এর ফলে অসামরিক লোকদের পালানোর পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের পূর্ব দোনবাস অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে সেভেরোদনেৎস্ক।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

 

আরও পড়ুন: আখনুরে আইইডি বিস্ফোরণে মৃত ২ জওয়ান

রুশ বাহিনী শহরটি দখলে নেওয়ার জন্য তীব্র লড়াই চালাচ্ছে। লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলছেন, লুহানস্কের রাস্তায় রাস্তায় ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। রাশিয়ান বাহিনী এই শহরের অধিকাংশ দখল করে নিলেও ইউক্রেনীয় সেনারা একটি শিল্প এলাকা এবং আজোট রাসায়নিক প্ল্যান্টের নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। এসব এলাকায় শত শত অসামরিক লোক আশ্রয় নিচ্ছে। সেতু ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইদাই আরও বলেন, সেতুটি সেভেরোদনেৎস্ককে লিসিচানস্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। সেভেরোদনেৎস্কের তিনটি সেতুর মধ্যে এখন একটি টিকে আছে।

 

যদি রাশিয়ানরা সে সেতুটিও ভেঙে দেয়, তাহলে শহরটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ফলে শহরটিতে যাওয়া আসার পথ থাকবে না। লুহানস্কের গভর্নর আরও জানান, সেভেরোদনেৎস্ক শহরের এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশি জায়গা এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রাশিয়ার হাতে চলে গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র তাদেরকে ইউক্রেনীয়দের বিরুদ্ধে দশগুণ সুবিধা দিয়েছে। তবে সবকিছুর পরও, আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি’। একদিন আগেই জানা গিয়েছিল, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় পশ্চিমা বিশ্বের পাঠানো অস্ত্রের বিশাল চালান ধ্বংস হয়েছে। দেশের সব গোলা-বারুদ প্রায় শেষের পথে বলে স্বীকারও করেছে ইউক্রেন সরকার।