০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 16

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিধাননগর: ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন। শুক্রবারে দুপুরে উপনগরী শহরের একাধিক ব্লকের জল যন্ত্রণার ছবি ধরা পড়ে। কোথাও হাঁটু সমান। আবার কোথাও ব্লকের রাস্তার উপরে দীর্ঘক্ষন জল জমে থাকার দৃশ্য। ফলস্বরূপ ভোগান্তিতে পড়তে হয় উপনগরীর বাসিন্দা ও পথচারীদের। ক্ষুব্ধ একাংশ বাসিন্দারাও।

কলকাতার স্যাটেলাইট শহরের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নাগরিক গ্রুপ রয়েছে নিউ টাউনে। ‘নিউ টাউন ফোরাম এন্ড নিউজ’ নামাঙ্কিত সেই গ্রুপে উপনগরীর আবাসিকরা জমা জলের সেই ছবি পোস্ট করে, তাদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। জল দাঁড়িয়ে পড়ার একই দৃশ্য ধরা পড়ে অ্যাকশন এরিয়া-১ বিডি ব্লক, ১৬৫, ১৭৪ নম্বর স্ট্রিটের উপরেও।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

সেই জলমগ্নের ছবি আবার অনেকেই অট্টালিকার ব্যালকনি থেকে মুঠোফোনে লেন্স বন্দী করে সামাজিক গ্রুপে পোস্ট করে মশকরা করেছেন। তেমনই একজন অদিতি মুন্সি রায়। জমা জলের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এ অবস্থা! লন্ডন না হলেও নিউটাউনকে ভেনিস বলা যেতে পারে’। নিউ টাউন কর্তৃপক্ষ এনকেডিএ সূত্রের খবর, নিকাশি ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে নিউটাউনের একাধিক স্থানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

পুরোপুরি বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই পাম্প গুলি চালু করা যাবে।অল্প সময়ের বৃষ্টিতে জমা জলের যন্ত্রণার ছবি শুধু নিউ টাউনেই নয়। একই দৃশ্য ধরা পড়ে উপনগরী শহর লাগোয়া বিধাননগর পুরনিগম এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে। পুরনিগমের রাজারহাট অংশের কেষ্টপুর ২৩, ২৫, ১৯, ১৫- সহ বিস্তীর্ণ কিছু ওয়ার্ডে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষ। যদিও তা মানতে নারাজ পুর কর্তা-ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে কেষ্টপুর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান মনীষ মুখার্জির সাফাই, কিছু সময় রাস্তায় জল জমেছে ঠিকই। কিন্তু আগেকার মতো তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা সচল থাকার দরুন রাস্তার জমা জল দ্রুত নেমে গেছে। সেই সুবাদে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছেন নাগরিকরা। এমনটা জানান মনীষবাবু। যদিও পুরসভাকে দায়ী করে বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জেরে জল জমার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে, বৃহত্তর ক্ষেত্রে দুই রাজারহাটে বর্ষার জমা জল ঠেকাতে কেষ্টপুর বাগজোলা খাল সংস্কার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্প কাজে হাত লাগাতে ইতিমধ্যে কেষ্টপুর খাল পরিদর্শন করেছেন সেচ দফতর ও বিধাননগরের পুর কর্তারা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিধাননগর: ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন। শুক্রবারে দুপুরে উপনগরী শহরের একাধিক ব্লকের জল যন্ত্রণার ছবি ধরা পড়ে। কোথাও হাঁটু সমান। আবার কোথাও ব্লকের রাস্তার উপরে দীর্ঘক্ষন জল জমে থাকার দৃশ্য। ফলস্বরূপ ভোগান্তিতে পড়তে হয় উপনগরীর বাসিন্দা ও পথচারীদের। ক্ষুব্ধ একাংশ বাসিন্দারাও।

কলকাতার স্যাটেলাইট শহরের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নাগরিক গ্রুপ রয়েছে নিউ টাউনে। ‘নিউ টাউন ফোরাম এন্ড নিউজ’ নামাঙ্কিত সেই গ্রুপে উপনগরীর আবাসিকরা জমা জলের সেই ছবি পোস্ট করে, তাদের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। জল দাঁড়িয়ে পড়ার একই দৃশ্য ধরা পড়ে অ্যাকশন এরিয়া-১ বিডি ব্লক, ১৬৫, ১৭৪ নম্বর স্ট্রিটের উপরেও।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

সেই জলমগ্নের ছবি আবার অনেকেই অট্টালিকার ব্যালকনি থেকে মুঠোফোনে লেন্স বন্দী করে সামাজিক গ্রুপে পোস্ট করে মশকরা করেছেন। তেমনই একজন অদিতি মুন্সি রায়। জমা জলের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এ অবস্থা! লন্ডন না হলেও নিউটাউনকে ভেনিস বলা যেতে পারে’। নিউ টাউন কর্তৃপক্ষ এনকেডিএ সূত্রের খবর, নিকাশি ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে নিউটাউনের একাধিক স্থানে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

পুরোপুরি বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই পাম্প গুলি চালু করা যাবে।অল্প সময়ের বৃষ্টিতে জমা জলের যন্ত্রণার ছবি শুধু নিউ টাউনেই নয়। একই দৃশ্য ধরা পড়ে উপনগরী শহর লাগোয়া বিধাননগর পুরনিগম এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে। পুরনিগমের রাজারহাট অংশের কেষ্টপুর ২৩, ২৫, ১৯, ১৫- সহ বিস্তীর্ণ কিছু ওয়ার্ডে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষ। যদিও তা মানতে নারাজ পুর কর্তা-ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে কেষ্টপুর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান মনীষ মুখার্জির সাফাই, কিছু সময় রাস্তায় জল জমেছে ঠিকই। কিন্তু আগেকার মতো তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন নিউ টাউন ও বিধাননগর উপনগরীর একাংশ

ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা সচল থাকার দরুন রাস্তার জমা জল দ্রুত নেমে গেছে। সেই সুবাদে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর ফোনে মেসেজ পাঠিয়েছেন নাগরিকরা। এমনটা জানান মনীষবাবু। যদিও পুরসভাকে দায়ী করে বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জেরে জল জমার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে, বৃহত্তর ক্ষেত্রে দুই রাজারহাটে বর্ষার জমা জল ঠেকাতে কেষ্টপুর বাগজোলা খাল সংস্কার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্প কাজে হাত লাগাতে ইতিমধ্যে কেষ্টপুর খাল পরিদর্শন করেছেন সেচ দফতর ও বিধাননগরের পুর কর্তারা।