২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পথ দুর্ঘটনা রুখতে খড়গপুর আইআইটির হাত ধরে অভিন্ন গতি নীতি আনতে রাজ্যে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 44

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ খড়গপুর আইআইটির হাত ধরে পথ দুর্ঘটনা রুখতে রাজ্যে এবার অভিন্ন গতি নীতি আনতে চলেছে রাজ্য। এবিষয়ে শীঘ্রই মন্ত্রীসভায় এই অনুমোদন পেশ হতে চলেছে। রাজ্যের পূর্ত, পরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুলিশ দফতরের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে তৈরি করেছে খড়গপুর আইআইটি । পরিবহন দফতর সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে এই রিপোর্ট। কোন এলাকায় কত গতি হবে, কোন সময় কত গতি হবে, হাইওয়ে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কি হবে, সবটাই উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে।

গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে যুক্ত হবে । দুর্ঘটনা রোধে এই ব্যবস্থা আনা হবে। ইতিমধ্যেই খড়গপুর আইআইটি এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের পরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পূর্ত দফতর-সহ একাধিক বিভাগের সাথে কথা। কোন রাস্তায় কত গতি, কোন এলাকায় কত গতি তা নির্দিষ্ট করা হবে। এর ফলে দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে বলে মত গণ পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটিতে আগুন, পুড়ে ছাই কমন রুম

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০১৫৮টি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫০০ জনের। কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের আগে পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায।

আরও পড়ুন: বাজি নিয়ে ঠিক হয়েছে পলিসি, রাজ্যবাসী সামনে তুলে ধরবে সরকার: পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী

রাজ্যে পথচারীদের মধ্যে দুর্ঘটনার হার ৫২ শতাংশ বাইকে দুর্ঘটনার হার ১৯শতাংশ লরিতে দুর্ঘটনার হার ১২শতাংশ সাইকেলে দুর্ঘটনার হার ৭শতাংশ ক্যাবে দুর্ঘটনার হার ৫শতাংশ বাসে দুর্ঘটনার হার ৩শতাংশ অটোতে দূর্ঘটনার হার ১শতাংশ পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধুমাত্র চালকদের দোষ দেখলেই হবে না। এখন অনেক জায়গাতেই চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এনডিটিভির সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করব না : আদানি

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘‘এ রাজ্যে কখনও জমি সমস্যা। কখনও অন্যান্য কারণে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে নানা বাধা দেওয়া হয়। যেমন এই রাজ্যে বহু জায়গায় হাইওয়ে আছে যা বাজারের মধ্যে দিয়ে। বহু জায়গায় রাস্তা সংকীর্ণ। সেই সব জায়গায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রিত করা দরকার। কিন্তু কোথাও যথাযথ নজরদারি না থাকার কারণে গতি নিয়ন্ত্রিত হয় না।

 

আর সেই সুযোগেই দুর্ঘটনা ঘটলে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। খড়গপুর আই আই টি-র এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যদি নিয়ম মেনে চলা যায়। রাস্তাঘাটে অনেকেই এই নিয়ম মানতে চান না তাই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। রাজ্যের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে পুরোপুরি নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যায় এই সমস্যার সমাধান হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পথ দুর্ঘটনা রুখতে খড়গপুর আইআইটির হাত ধরে অভিন্ন গতি নীতি আনতে রাজ্যে

আপডেট : ৭ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ খড়গপুর আইআইটির হাত ধরে পথ দুর্ঘটনা রুখতে রাজ্যে এবার অভিন্ন গতি নীতি আনতে চলেছে রাজ্য। এবিষয়ে শীঘ্রই মন্ত্রীসভায় এই অনুমোদন পেশ হতে চলেছে। রাজ্যের পূর্ত, পরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুলিশ দফতরের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে তৈরি করেছে খড়গপুর আইআইটি । পরিবহন দফতর সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে এই রিপোর্ট। কোন এলাকায় কত গতি হবে, কোন সময় কত গতি হবে, হাইওয়ে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কি হবে, সবটাই উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে।

গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ প্রকল্পে যুক্ত হবে । দুর্ঘটনা রোধে এই ব্যবস্থা আনা হবে। ইতিমধ্যেই খড়গপুর আইআইটি এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের পরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পূর্ত দফতর-সহ একাধিক বিভাগের সাথে কথা। কোন রাস্তায় কত গতি, কোন এলাকায় কত গতি তা নির্দিষ্ট করা হবে। এর ফলে দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে বলে মত গণ পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটিতে আগুন, পুড়ে ছাই কমন রুম

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০১৫৮টি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫০০ জনের। কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের আগে পর্যন্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায।

আরও পড়ুন: বাজি নিয়ে ঠিক হয়েছে পলিসি, রাজ্যবাসী সামনে তুলে ধরবে সরকার: পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী

রাজ্যে পথচারীদের মধ্যে দুর্ঘটনার হার ৫২ শতাংশ বাইকে দুর্ঘটনার হার ১৯শতাংশ লরিতে দুর্ঘটনার হার ১২শতাংশ সাইকেলে দুর্ঘটনার হার ৭শতাংশ ক্যাবে দুর্ঘটনার হার ৫শতাংশ বাসে দুর্ঘটনার হার ৩শতাংশ অটোতে দূর্ঘটনার হার ১শতাংশ পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধুমাত্র চালকদের দোষ দেখলেই হবে না। এখন অনেক জায়গাতেই চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এনডিটিভির সম্পাদকীয় নীতিতে হস্তক্ষেপ করব না : আদানি

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘‘এ রাজ্যে কখনও জমি সমস্যা। কখনও অন্যান্য কারণে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে নানা বাধা দেওয়া হয়। যেমন এই রাজ্যে বহু জায়গায় হাইওয়ে আছে যা বাজারের মধ্যে দিয়ে। বহু জায়গায় রাস্তা সংকীর্ণ। সেই সব জায়গায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রিত করা দরকার। কিন্তু কোথাও যথাযথ নজরদারি না থাকার কারণে গতি নিয়ন্ত্রিত হয় না।

 

আর সেই সুযোগেই দুর্ঘটনা ঘটলে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। খড়গপুর আই আই টি-র এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যদি নিয়ম মেনে চলা যায়। রাস্তাঘাটে অনেকেই এই নিয়ম মানতে চান না তাই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। রাজ্যের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে পুরোপুরি নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যায় এই সমস্যার সমাধান হবে।