২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের সরকার বিরোধী স্লোগানে অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, বিক্ষোভ দমনে কারফিউ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ জুলাই ২০২২, শনিবার
  • / 56

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিক্ষোভ দমনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ছাত্ররা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এই বিক্ষোভ দমনেই শ্রীলঙ্কার পুলিশ কারফিউ জারি করে। কালো পোশাক ও কালোপতাকাধারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ‘যথেষ্ট হয়েছে- এবার বিদায় নাও’ সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দায়ী। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রামাসিংহেকেও দায়ী করেন সকলে। এদিকে কারফিউ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনীতিবিদ ও শ্রীলঙ্কার বার অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন: সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইসরাইল

কারফিউ জারিকে ‘পুরোপুরি অবৈধ এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী’হিসেবে অভিহিত করে তারা। বিরোধী দলীয় নেতা সাজিত প্রেমাদাসাও কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি পথে নেমে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ করুন, রাজপথে নেমে আসুন।’

আরও পড়ুন: মণিপুরে অস্ত্র সমর্পণ, ৫ জেলায় উঠল কারফিউ

দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধুঁকছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে অন্য দেশ থেকে কিছুই আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিক দিকে থেকে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশটি। জ্বালানি সংকট ও খাদ্য সংকট চরমে উঠেছে। চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বলেন, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকার শীঘ্রই প্রয়োজনীয় সরবরাহ বিতরণ করতে শুরু করবে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং:মণিপুরে ফের ছড়াল হিংসা, জারি কারফিউ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের সরকার বিরোধী স্লোগানে অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, বিক্ষোভ দমনে কারফিউ

আপডেট : ৯ জুলাই ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিক্ষোভ দমনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ছাত্ররা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এই বিক্ষোভ দমনেই শ্রীলঙ্কার পুলিশ কারফিউ জারি করে। কালো পোশাক ও কালোপতাকাধারী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ‘যথেষ্ট হয়েছে- এবার বিদায় নাও’ সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দায়ী। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রামাসিংহেকেও দায়ী করেন সকলে। এদিকে কারফিউ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনীতিবিদ ও শ্রীলঙ্কার বার অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন: সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইসরাইল

কারফিউ জারিকে ‘পুরোপুরি অবৈধ এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী’হিসেবে অভিহিত করে তারা। বিরোধী দলীয় নেতা সাজিত প্রেমাদাসাও কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি পথে নেমে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ করুন, রাজপথে নেমে আসুন।’

আরও পড়ুন: মণিপুরে অস্ত্র সমর্পণ, ৫ জেলায় উঠল কারফিউ

দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ধুঁকছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে অন্য দেশ থেকে কিছুই আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিক দিকে থেকে পঙ্গু হয়ে গেছে দেশটি। জ্বালানি সংকট ও খাদ্য সংকট চরমে উঠেছে। চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বলেন, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকার শীঘ্রই প্রয়োজনীয় সরবরাহ বিতরণ করতে শুরু করবে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং:মণিপুরে ফের ছড়াল হিংসা, জারি কারফিউ