০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশবন্তকে অপদস্ত করছে তৃণমূল, দিলীপের এই অভিযোগ খারিজ ঘাসফুল শিবিরের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 13

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ যশবন্তকে অপদস্ত করছে তৃণমূল বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতির এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন। এ দিন বাইপাসের ধারে এক বিলাসবহুল হোটেলে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এই বৈঠকেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, যশবন্ত সিনহাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করলেও তাকে এ রাজ্যে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালেও নিজেই আবার বলছেন দ্রৌপদী মুর্মু নিয়ে আগে তার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতেন। আর এই অবস্থাতে তৃণমূলের অভ্যন্তরে বাড়ছে এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এসব কথা বলছেন। যশবন্ত সিনহা একজন আপাদ মস্তক রাজনৈতিক নেতা। তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় দলে থাকলেও, মোদিজির সময় বিজেপি ত্যাগ করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আলাদা। বিজেপির স্বরূপ সম্পর্কে তাকে আলাদা করে অবহিত করার কিছু নেই। তিনি এও জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন মানুষ। তিনি ভালোভাবেই জানেন, মমতা ও তাঁর দলের ১০০ শতাংশের সমর্থন তিনি পাবেন। তাই আলাদা করে বাংলায় এসে প্রচারের প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে শান্তনু সেন অভিযোগ করেছেন, বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে আদিবাসী আবেগের কথা বলছেন। অথচ এই দলটা কতটা আদিবাসীদের কথা ভাবে তা তাদের কাজ থেকেই পরিষ্কার। আমরা দেখেছি উনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তাঁর বাড়ির সামনে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি। কাজেই স্পষ্ট, কোন দল আদিবাসীদের কথা বেশি ভাবে।

শুধু শান্তনু সেন নয়, এই বিষয় নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, তৃণমূলের কে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন সে ভাবনা না ভেবে বিজেপি সাংসদ বিধায়কদের কতজনের সমর্থন এনডিএ প্রার্থী পাবেন তা নিয়ে চিন্তা করুক বিজেপি নেতারা। নিজেদের ঘর নিয়ে চিন্তা করুক তাঁরা। তাদের মুখে এসব বড় বড় কথা মানায় না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যশবন্তকে অপদস্ত করছে তৃণমূল, দিলীপের এই অভিযোগ খারিজ ঘাসফুল শিবিরের

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ যশবন্তকে অপদস্ত করছে তৃণমূল বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতির এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন। এ দিন বাইপাসের ধারে এক বিলাসবহুল হোটেলে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। এই বৈঠকেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, যশবন্ত সিনহাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করলেও তাকে এ রাজ্যে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালেও নিজেই আবার বলছেন দ্রৌপদী মুর্মু নিয়ে আগে তার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতেন। আর এই অবস্থাতে তৃণমূলের অভ্যন্তরে বাড়ছে এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর পক্ষে সমর্থন।

মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এসব কথা বলছেন। যশবন্ত সিনহা একজন আপাদ মস্তক রাজনৈতিক নেতা। তিনি অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় দলে থাকলেও, মোদিজির সময় বিজেপি ত্যাগ করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আলাদা। বিজেপির স্বরূপ সম্পর্কে তাকে আলাদা করে অবহিত করার কিছু নেই। তিনি এও জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন মানুষ। তিনি ভালোভাবেই জানেন, মমতা ও তাঁর দলের ১০০ শতাংশের সমর্থন তিনি পাবেন। তাই আলাদা করে বাংলায় এসে প্রচারের প্রয়োজন নেই। একইসঙ্গে শান্তনু সেন অভিযোগ করেছেন, বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে আদিবাসী আবেগের কথা বলছেন। অথচ এই দলটা কতটা আদিবাসীদের কথা ভাবে তা তাদের কাজ থেকেই পরিষ্কার। আমরা দেখেছি উনি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তাঁর বাড়ির সামনে বসছে বিদ্যুতের খুঁটি। কাজেই স্পষ্ট, কোন দল আদিবাসীদের কথা বেশি ভাবে।

শুধু শান্তনু সেন নয়, এই বিষয় নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, তৃণমূলের কে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেবেন সে ভাবনা না ভেবে বিজেপি সাংসদ বিধায়কদের কতজনের সমর্থন এনডিএ প্রার্থী পাবেন তা নিয়ে চিন্তা করুক বিজেপি নেতারা। নিজেদের ঘর নিয়ে চিন্তা করুক তাঁরা। তাদের মুখে এসব বড় বড় কথা মানায় না।