০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩১ জুলাই পয়লা মুহাররম, শুরু ১৪৪৪ হিজরি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, শনিবার
  • / 79

আবদুল ওদুদ: ৩১ জুলাই অর্থাৎ রবিবার পবিত্র মুহাররম মাস। আরবি হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই মাস হল বছরের প্রথম মাস। আর আজ থেকেই শুরু হল ১৪৪৪ হিজরি। মুহাররম ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। হিজরি হচ্ছে চান্দ্র মাস। মুহাররম মাসের প্রথম দিন হিসেবে আজ আরবি বা হিজরি নববর্ষের শুরু। ইসলামি বর্ষপঞ্জির চারটি পবিত্রতম মাসের মধ্যে মুহাররম মাস একটি। মুহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। এই ১০ মুহাররমকে আরবীতে আশুরা বলা হয়। বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই মাসটি।

পবিত্র কুরআনে সূরা তওবার ৩৬নং আয়াতে বর্ণিত যে, চারটি মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে মুহাররম অন্যতম। শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এই মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমযানের পরে সর্বোত্তম সাওম হল মুহাররম মাসের সাওম বা রোযা।’
মুহাররম মাসের দশম দিন ইসলামে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন একটি দিন। প্রচলিত আছে যে, এই দিনে ইসলামের ইতিহাসে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এই দিনে প্রথম মানব আদি পিতা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন মহান আল্লাহ্। হযরত আদম-কে এ দিনেই জান্নাতে স্থান দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ্ তাঁকে প্রতিনিধি মনোনীত করেন।

নূহ আ.-এর সময়কালে এই দিনে মহাপ্লাবন হয়। এই আশুরার দিন জন্ম নেন ইব্রাহিম (আ.)। মূসা (আ.) ও তাঁর সাথীরা ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার পানও এই দিনে। মুহাররম মাসে মূসা (আ.)-র সময় জালিম বাদশাহ ফেরাউন ও তাঁর সৈন্যদেরকে আল্লাহ্ এই দিনে সাগরের পানিতে ডুবিয়ে মারেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই দিনে। নবী আইয়ূব (আ.) রোগ মুক্তি পান এই দিনে। ঈসা (আ.) এই দিনে জন্ম নেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে সশরীরে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয় এই দিনেই।

আর আশুরার দিন নবী মুহাম্মদ সা.-র দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রা. ১০ মুহাররম কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শাহাদত বরণ করেন। হযরত ইমাম হুসেইন রা. অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর এই অসামান্য কুরবানি এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুধু মুসলিম জাহান নয়, সমগ্র মানবতার জন্য এক অনুপম আদর্শ হয়ে রয়েছে।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩১ জুলাই পয়লা মুহাররম, শুরু ১৪৪৪ হিজরি

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, শনিবার

আবদুল ওদুদ: ৩১ জুলাই অর্থাৎ রবিবার পবিত্র মুহাররম মাস। আরবি হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই মাস হল বছরের প্রথম মাস। আর আজ থেকেই শুরু হল ১৪৪৪ হিজরি। মুহাররম ইসলামি বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস। হিজরি হচ্ছে চান্দ্র মাস। মুহাররম মাসের প্রথম দিন হিসেবে আজ আরবি বা হিজরি নববর্ষের শুরু। ইসলামি বর্ষপঞ্জির চারটি পবিত্রতম মাসের মধ্যে মুহাররম মাস একটি। মুহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। এই ১০ মুহাররমকে আরবীতে আশুরা বলা হয়। বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই মাসটি।

পবিত্র কুরআনে সূরা তওবার ৩৬নং আয়াতে বর্ণিত যে, চারটি মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে মুহাররম অন্যতম। শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এই মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমযানের পরে সর্বোত্তম সাওম হল মুহাররম মাসের সাওম বা রোযা।’
মুহাররম মাসের দশম দিন ইসলামে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন একটি দিন। প্রচলিত আছে যে, এই দিনে ইসলামের ইতিহাসে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এই দিনে প্রথম মানব আদি পিতা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন মহান আল্লাহ্। হযরত আদম-কে এ দিনেই জান্নাতে স্থান দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে এই দিনেই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ্ তাঁকে প্রতিনিধি মনোনীত করেন।

নূহ আ.-এর সময়কালে এই দিনে মহাপ্লাবন হয়। এই আশুরার দিন জন্ম নেন ইব্রাহিম (আ.)। মূসা (আ.) ও তাঁর সাথীরা ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার পানও এই দিনে। মুহাররম মাসে মূসা (আ.)-র সময় জালিম বাদশাহ ফেরাউন ও তাঁর সৈন্যদেরকে আল্লাহ্ এই দিনে সাগরের পানিতে ডুবিয়ে মারেন। ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই দিনে। নবী আইয়ূব (আ.) রোগ মুক্তি পান এই দিনে। ঈসা (আ.) এই দিনে জন্ম নেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে সশরীরে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয় এই দিনেই।

আর আশুরার দিন নবী মুহাম্মদ সা.-র দৌহিত্র ইমাম হুসাইন রা. ১০ মুহাররম কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শাহাদত বরণ করেন। হযরত ইমাম হুসেইন রা. অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর এই অসামান্য কুরবানি এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুধু মুসলিম জাহান নয়, সমগ্র মানবতার জন্য এক অনুপম আদর্শ হয়ে রয়েছে।