২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনুব্রত কাণ্ডে তুমুল তরজায় বোলপুর হাসপাতালের সুপার ও চিকিৎসক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২২, শনিবার
  • / 48

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে এই সময়ে খবরের শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে সিবিআই তাকে হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা নিয়ে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু ও চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর মধ্যে তরজা তুঙ্গে উঠেছে। গতকালের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক বক্তব্য তুলে ধরলেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলছেন সুপার। আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল অনুব্রত অসুস্থ। তার বাড়ি যেতে হবে। চন্দ্রনাথ বলেন, তখন আমি বলি তদন্ত চলছে এখন কি যাওয়া উচিত। কিন্তু আমাকে যেতে বলা হয়।  উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ আমার কাছে নির্দেশ। তাই আমি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি যাই।

চন্দ্রনাথ বলেন, আমি চাই না, আমার জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। সিবিআই যদি আমাকে ডাকে আমি যাব।

আরও পড়ুন: BREAKING: কোভিডে আক্রান্ত অনুব্রত মণ্ডল

চন্দ্রনাথ এদিন আরও বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের অনুরোধেই আমি সাদা কাগজে বেড রেস্ট কথাটা লিখি। কারণ অনুব্রত মণ্ডলের কথা আমি ফেলতে পারিনি। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী এদিন প্রশ্ন তোলেন, মেডিক্যাল টিম যখন গঠন করা হয়েছে আমাকে বলা হল, তখন কেন সব প্রোটোকল মেনে হল না?

আরও পড়ুন: অনুব্রতর গরু পাচার মামলা গেল দিল্লিতে, আইনী অস্বস্তিতে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা

এদিন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী আরও বলেন, সুপারকে কে নির্দেশ দিয়েছিল আমার কিছু জানা নেই। ওঁনাকে কোনও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিতেই পারেন।

আরও পড়ুন: আসানসোল সিবিআই এজলাসে জামিনের আবেদন খারিজ অনুব্রতের

 

আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এবার মুখ খুললেন বোলপুরের সেই চিকিৎসক

 

এদিন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে ডাঃ অধিকারী বলেন, আগে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা এত উন্নত ছিল না। তবে রাজ্য সরকারের আমলে পরিষেবার অনেক উন্নত হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার করা এখন বোলপুর হাসপাতালে সম্ভব। তবে কিছু নিচুস্তরের রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের জন্য অনেক কিছু পরিষেবা আটকে যাচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনুব্রত কাণ্ডে তুমুল তরজায় বোলপুর হাসপাতালের সুপার ও চিকিৎসক

আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজ্য রাজনীতিতে এই সময়ে খবরের শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে সিবিআই তাকে হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা নিয়ে বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু ও চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর মধ্যে তরজা তুঙ্গে উঠেছে। গতকালের পর আজ সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক বক্তব্য তুলে ধরলেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা বলছেন সুপার। আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল অনুব্রত অসুস্থ। তার বাড়ি যেতে হবে। চন্দ্রনাথ বলেন, তখন আমি বলি তদন্ত চলছে এখন কি যাওয়া উচিত। কিন্তু আমাকে যেতে বলা হয়।  উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুরোধ আমার কাছে নির্দেশ। তাই আমি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি যাই।

চন্দ্রনাথ বলেন, আমি চাই না, আমার জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। সিবিআই যদি আমাকে ডাকে আমি যাব।

আরও পড়ুন: BREAKING: কোভিডে আক্রান্ত অনুব্রত মণ্ডল

চন্দ্রনাথ এদিন আরও বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের অনুরোধেই আমি সাদা কাগজে বেড রেস্ট কথাটা লিখি। কারণ অনুব্রত মণ্ডলের কথা আমি ফেলতে পারিনি। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী এদিন প্রশ্ন তোলেন, মেডিক্যাল টিম যখন গঠন করা হয়েছে আমাকে বলা হল, তখন কেন সব প্রোটোকল মেনে হল না?

আরও পড়ুন: অনুব্রতর গরু পাচার মামলা গেল দিল্লিতে, আইনী অস্বস্তিতে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা

এদিন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী আরও বলেন, সুপারকে কে নির্দেশ দিয়েছিল আমার কিছু জানা নেই। ওঁনাকে কোনও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিতেই পারেন।

আরও পড়ুন: আসানসোল সিবিআই এজলাসে জামিনের আবেদন খারিজ অনুব্রতের

 

আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর এবার মুখ খুললেন বোলপুরের সেই চিকিৎসক

 

এদিন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে ডাঃ অধিকারী বলেন, আগে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা এত উন্নত ছিল না। তবে রাজ্য সরকারের আমলে পরিষেবার অনেক উন্নত হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার করা এখন বোলপুর হাসপাতালে সম্ভব। তবে কিছু নিচুস্তরের রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের জন্য অনেক কিছু পরিষেবা আটকে যাচ্ছে।