২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাণ্ডুলিপি: খেজুর পাতায় লেখা পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতসমুহ উদ্ধার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ইসলামের আগমনভূমি আরব উপদ্বীপের প্রধান খাবারগুলোর একটি হল খেজুর। এমনকি পবিত্র ‘মসজিদে নববী’ প্রথমে খেজুরপাতা ও খেজুর গাছের খুঁটি দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। ইসলামী ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখতে পাওয়া যায় আরবভূমিতে খেজুর ও গাছের আলাদা গুরত্ব ছিল। আজও সে গুরুত্ব বহন করছে খেজুর। ইসলামে  খেজুরকে আলাদা করে মূল্যায়ন করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরিফে ২৬ বার খেজুরের কথা বলা হয়েছে। সূরা মরিয়মে এর উপকারিতা সম্পর্কেও  বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে খেজুরের বহুমুখী ব্যবহার দেখা যায়।

 

আরও পড়ুন: অসুস্থ বিশিষ্ট আলেম মুফতি লিয়াকত আলি, সুস্থতার জন্য দোওয়ার আহ্বান পরিবারের

যেমন খেজুর পাতায় কুরআনের আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়।খেজুর পাতায় লিপিবদ্ধ এমন একটি কুরআনের অনুলিপি নিয়েই নিম্নের আলোচনা।সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০০ বছর পুরানো একটি পাণ্ডুলিপি  পাওয়া গেছে।সেই পাণ্ডুলিপির বিশেষত্ব হল  এটি খেজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি।এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় কুরআন পাণ্ডুলিপি।যার মধ্যে কুরআনের আয়াতগুলি লোন্টারে লেখা আছে।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

পাণ্ডুলিপি: খেজুর পাতায় লেখা পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতসমুহ উদ্ধার

আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ায় বয়স্ক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

লোন্টার হল পালমাইরা প্রজাতির খেজুরপাতা। অন্য খেজুরপাতার তুলনায় এই পাতা অনেক টেকসই। যা ইন্দোনেশিয়ায় বহুল প্রচলিত। ঝুলন্ত পালমিরায় কোরআন লিপিবদ্ধ করা বিরল ঘটনা। সাধারণত ‘কাভি’ লিখন পদ্ধতিতে  কুরআন লিপিবদ্ধ করাই ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্য।খেজুর পাতায় লেখা কুরআনের অনুলিপিতে পবিত্র কুরআন শরীফের মোট সাতটি আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রাসূল সা.-এর কুৎসাকারী হয়ে গেলেন নবীজি’র রক্ষাকারী

উল্লেখ্য, এই সাতটি সুরা লিখতে মোট ৩৫ টি খেজুর পাতা ব্যবহার করা হয়েছে।এবং প্রতিটি পাতায় তিন লাইন করে লেখা হয়েছে।এই পাতা গুলির দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে ১০৫ সেমি ও প্রস্থ ৩৭ সেমি।পাতাগুলিকে মূলত মোটা সুতা দিয়ে জোড়া হয়েছে।এবং সেইগুলিকে একটি মেহগনি কাঠের বক্সের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মূল লেখাগুলো কালো কালি দিয়ে লেখা এবং বিরাম চিহ্নগুলো কিছুটা অন্য কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাণ্ডুলিপি: খেজুর পাতায় লেখা পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতসমুহ উদ্ধার

আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  ইসলামের আগমনভূমি আরব উপদ্বীপের প্রধান খাবারগুলোর একটি হল খেজুর। এমনকি পবিত্র ‘মসজিদে নববী’ প্রথমে খেজুরপাতা ও খেজুর গাছের খুঁটি দিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। ইসলামী ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখতে পাওয়া যায় আরবভূমিতে খেজুর ও গাছের আলাদা গুরত্ব ছিল। আজও সে গুরুত্ব বহন করছে খেজুর। ইসলামে  খেজুরকে আলাদা করে মূল্যায়ন করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরিফে ২৬ বার খেজুরের কথা বলা হয়েছে। সূরা মরিয়মে এর উপকারিতা সম্পর্কেও  বর্ণনা করা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে খেজুরের বহুমুখী ব্যবহার দেখা যায়।

 

আরও পড়ুন: অসুস্থ বিশিষ্ট আলেম মুফতি লিয়াকত আলি, সুস্থতার জন্য দোওয়ার আহ্বান পরিবারের

যেমন খেজুর পাতায় কুরআনের আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়।খেজুর পাতায় লিপিবদ্ধ এমন একটি কুরআনের অনুলিপি নিয়েই নিম্নের আলোচনা।সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২০০ বছর পুরানো একটি পাণ্ডুলিপি  পাওয়া গেছে।সেই পাণ্ডুলিপির বিশেষত্ব হল  এটি খেজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি।এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় কুরআন পাণ্ডুলিপি।যার মধ্যে কুরআনের আয়াতগুলি লোন্টারে লেখা আছে।

আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা, উৎস কি! মেলেনি সদুত্তর

পাণ্ডুলিপি: খেজুর পাতায় লেখা পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াতসমুহ উদ্ধার

আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ায় বয়স্ক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

লোন্টার হল পালমাইরা প্রজাতির খেজুরপাতা। অন্য খেজুরপাতার তুলনায় এই পাতা অনেক টেকসই। যা ইন্দোনেশিয়ায় বহুল প্রচলিত। ঝুলন্ত পালমিরায় কোরআন লিপিবদ্ধ করা বিরল ঘটনা। সাধারণত ‘কাভি’ লিখন পদ্ধতিতে  কুরআন লিপিবদ্ধ করাই ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্য।খেজুর পাতায় লেখা কুরআনের অনুলিপিতে পবিত্র কুরআন শরীফের মোট সাতটি আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ রাসূল সা.-এর কুৎসাকারী হয়ে গেলেন নবীজি’র রক্ষাকারী

উল্লেখ্য, এই সাতটি সুরা লিখতে মোট ৩৫ টি খেজুর পাতা ব্যবহার করা হয়েছে।এবং প্রতিটি পাতায় তিন লাইন করে লেখা হয়েছে।এই পাতা গুলির দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে ১০৫ সেমি ও প্রস্থ ৩৭ সেমি।পাতাগুলিকে মূলত মোটা সুতা দিয়ে জোড়া হয়েছে।এবং সেইগুলিকে একটি মেহগনি কাঠের বক্সের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মূল লেখাগুলো কালো কালি দিয়ে লেখা এবং বিরাম চিহ্নগুলো কিছুটা অন্য কালো কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।