২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

   বিহার  মন্ত্রিসভায় ৫ মুসলিম, ৫ দলিত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মাথাতেই বিহার  মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার দফতর বণ্টনের কাজও শেষ করে ফেলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র দফতর নীতীশ রেখেছেন নিজের হাতেই। বিহারে নতুন মহাজোট সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই আরজেডি এবং জেডিইউ দু’পক্ষের নজর ছিল স্বরাষ্ট্র দফতরে। তেজস্বী যাদব রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের রাশ নিজের হাতে নিতে চাইছিলেন। কিন্তু নীতীশ তা চাইছিলেন না। তিনি চাইছিলেন, যেভাবেই হোক স্বরাষ্ট্রদফতর তাঁর হাতেই থাকুক। হলও তেমনই। কিন্তু তাঁর বদলে অন্যভাবে তেজস্বীকে খুশি করে দিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ভারতের জেলে বন্দি রয়েছেন ৫ মুসলিম সহ ৪ কাশ্মীরি সাংবাদিক, রিপোর্ট পেশ করল সিপিজে

নীতীশ কুমার নিজে যেমন স্বরাষ্ট্র দফতর রাখলেন, তেমনই তেজস্বীকে  দিলেন স্বাস্থ্য, সড়ক নির্মাণ, নগরোন্নয়ন, আবাসন এবং গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রক। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র বাদে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দফতরই পেলেন লালুপুত্র। মঙ্গলবার লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ-সহ ৩১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরজেডির ১৬, জেডিইউ এর ১১, কংগ্রেসের ২, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (হাম) ১ এবং ১ নির্দল রয়েছেন।

 

তারা যে এনডিএর থেকে আলাদা এদিনের মন্ত্রীসভাতে সে বার্তা দেওয়ারও চেষ্টা নজর কেড়েছে। ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন মোট ৫ জন মুসলিম। এরা হলেন জেডিইউ-এর জামান খান আরজেডির ইজরাইল মনসুরি ,শামীম আহমেদ,শাহনওয়াজ আলম এবং কংগ্রেসের আফাক আলম। জাতের বিচারে দেখা হলে, সেখানে এনডিএ জামানার থেকে ফারাকটা চোখে পড়েছে। এনডিএ জমানায় মোট ২ জন যাদবকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এদিনের বিহারের মন্ত্রীসভায় মোট ৮ জন যাদব জায়গা পেয়েছেন। এনডিএ জমানায় সেই সংখ্যা ছিল মাত্র ২। মহাগঠবন্ধনে মোট ৫ জন দলিত এবং ৫ জন মুসলিম জায়গা পেয়েছেন।

 

উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, আবাসন এবং সড়ক নির্মাণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তেজপ্রতাপ হয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী। আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিংহের ছেলে সুধাকরকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। নীতীশ-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন স্পিকার বিজয় চৌধুরী বিহারের নয়া অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। পরিষদীয় দফতরও রয়েছে তাঁর হাতে। জেডিইউ-র বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের ভার।

 

ইতিমধ্যেই বিহারে বিজেপি শিবিরে ভাঙনের জল্পনা শুরু হয়েছে। বিহারের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিজেপির কর গ্রূপ । বিকেল সাড়ে ৪টায় দলের সদর দফতরে বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ তাবড় নেতারা। নীতীশ কুমার এনডিএ ছাড়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আজকের বৈঠকে। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিহার বিজেপির ২০ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় নেতা।

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

   বিহার  মন্ত্রিসভায় ৫ মুসলিম, ৫ দলিত

আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মাথাতেই বিহার  মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার দফতর বণ্টনের কাজও শেষ করে ফেলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র দফতর নীতীশ রেখেছেন নিজের হাতেই। বিহারে নতুন মহাজোট সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই আরজেডি এবং জেডিইউ দু’পক্ষের নজর ছিল স্বরাষ্ট্র দফতরে। তেজস্বী যাদব রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের রাশ নিজের হাতে নিতে চাইছিলেন। কিন্তু নীতীশ তা চাইছিলেন না। তিনি চাইছিলেন, যেভাবেই হোক স্বরাষ্ট্রদফতর তাঁর হাতেই থাকুক। হলও তেমনই। কিন্তু তাঁর বদলে অন্যভাবে তেজস্বীকে খুশি করে দিলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ভারতের জেলে বন্দি রয়েছেন ৫ মুসলিম সহ ৪ কাশ্মীরি সাংবাদিক, রিপোর্ট পেশ করল সিপিজে

নীতীশ কুমার নিজে যেমন স্বরাষ্ট্র দফতর রাখলেন, তেমনই তেজস্বীকে  দিলেন স্বাস্থ্য, সড়ক নির্মাণ, নগরোন্নয়ন, আবাসন এবং গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রক। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র বাদে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দফতরই পেলেন লালুপুত্র। মঙ্গলবার লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ-সহ ৩১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরজেডির ১৬, জেডিইউ এর ১১, কংগ্রেসের ২, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (হাম) ১ এবং ১ নির্দল রয়েছেন।

 

তারা যে এনডিএর থেকে আলাদা এদিনের মন্ত্রীসভাতে সে বার্তা দেওয়ারও চেষ্টা নজর কেড়েছে। ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন মোট ৫ জন মুসলিম। এরা হলেন জেডিইউ-এর জামান খান আরজেডির ইজরাইল মনসুরি ,শামীম আহমেদ,শাহনওয়াজ আলম এবং কংগ্রেসের আফাক আলম। জাতের বিচারে দেখা হলে, সেখানে এনডিএ জামানার থেকে ফারাকটা চোখে পড়েছে। এনডিএ জমানায় মোট ২ জন যাদবকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এদিনের বিহারের মন্ত্রীসভায় মোট ৮ জন যাদব জায়গা পেয়েছেন। এনডিএ জমানায় সেই সংখ্যা ছিল মাত্র ২। মহাগঠবন্ধনে মোট ৫ জন দলিত এবং ৫ জন মুসলিম জায়গা পেয়েছেন।

 

উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, আবাসন এবং সড়ক নির্মাণ দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তেজপ্রতাপ হয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী। আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিংহের ছেলে সুধাকরকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। নীতীশ-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন স্পিকার বিজয় চৌধুরী বিহারের নয়া অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। পরিষদীয় দফতরও রয়েছে তাঁর হাতে। জেডিইউ-র বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের ভার।

 

ইতিমধ্যেই বিহারে বিজেপি শিবিরে ভাঙনের জল্পনা শুরু হয়েছে। বিহারের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিজেপির কর গ্রূপ । বিকেল সাড়ে ৪টায় দলের সদর দফতরে বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ তাবড় নেতারা। নীতীশ কুমার এনডিএ ছাড়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আজকের বৈঠকে। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বিহার বিজেপির ২০ জনেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় নেতা।