২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় প্যারাসিটামল বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক নবান্নের, ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 32

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তার মধ্যে ৮ জন ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কটি জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এরপরেই শুক্রবার নবান্নে ডেঙ্গু নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু। সম্প্রতি ডেঙ্গু পরিস্থিতির এই অবনতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যদিও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, কিছু কিছু ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেলেও বর্তমানে শহরে ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

কলকাতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে বোরো ভিত্তিক বৈঠক শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন অতীন ঘোষও।

আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য, এই পর্যালোচনা বৈঠকে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় এতদিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল, সেখানে বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় প্যারাসিটামল বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি জেলাকে।

আরও পড়ুন: আগুনের উৎসস্থল খুঁজতে এবার ড্রোন নামাবে দমকল

পুজোর সময় পরিস্থিতি যাতে বেগতিক না হয় তার জন্য ড্রোন ড্রাইভের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘প্রাইভেসির’  কারণ দেখিয়ে ড্রোন চলানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অতীন ঘোষ। ড্রোনের মাধ্যমে বহুতল সহ শহরের আনাচে-কানাচের ছবি তোলা হবে। অস্বাস্থ্যকর জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে পুর কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে ছড়ানো হবে ওষুধ। এতে পুরসভার কাজ যেমন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে, তেমনই দ্রুত শহরের মশাবাহিত রোগকে অনেকটাই দমন করা যাবে বলে আশাবাদী পুর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: চক্রব্যূহের নজরদারিতে বন্দি ভারত! প্রযুক্তির জাঁতাকলে আটকে দেশের জনজীবন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় প্যারাসিটামল বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক নবান্নের, ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তার মধ্যে ৮ জন ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কটি জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এরপরেই শুক্রবার নবান্নে ডেঙ্গু নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু। সম্প্রতি ডেঙ্গু পরিস্থিতির এই অবনতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। যদিও কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, কিছু কিছু ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেলেও বর্তমানে শহরে ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

কলকাতায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে বোরো ভিত্তিক বৈঠক শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন অতীন ঘোষও।

আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য, এই পর্যালোচনা বৈঠকে দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় এতদিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল, সেখানে বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় প্যারাসিটামল বিক্রি নিয়ে বিক্রেতাদের তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি জেলাকে।

আরও পড়ুন: আগুনের উৎসস্থল খুঁজতে এবার ড্রোন নামাবে দমকল

পুজোর সময় পরিস্থিতি যাতে বেগতিক না হয় তার জন্য ড্রোন ড্রাইভের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘প্রাইভেসির’  কারণ দেখিয়ে ড্রোন চলানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অতীন ঘোষ। ড্রোনের মাধ্যমে বহুতল সহ শহরের আনাচে-কানাচের ছবি তোলা হবে। অস্বাস্থ্যকর জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে পুর কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে ড্রোনের মাধ্যমে ছড়ানো হবে ওষুধ। এতে পুরসভার কাজ যেমন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে, তেমনই দ্রুত শহরের মশাবাহিত রোগকে অনেকটাই দমন করা যাবে বলে আশাবাদী পুর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: চক্রব্যূহের নজরদারিতে বন্দি ভারত! প্রযুক্তির জাঁতাকলে আটকে দেশের জনজীবন