২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ বছরের বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন, জ্বালানো হল দেহ, নেপথ্যে পুরোহিত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্ভয়া কাণ্ডের পর পার হয়েছে বেশ কিছু বছর। ধর্ষকদের ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছে আদালত। কিন্তু ফের সেই নৃশংসতার সাক্ষী থাকল দিল্লি। ৯ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল দেহ।

আরও পড়ুন: বীরভূমে নিজের দুই কাকার হাতেই গণধর্ষিতা আদিবাসী কিশোরী,  গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত

শ্মশানের কুলার থেকে জল আনতে গিয়েছিল নির্যাতিতা। ঠিক সেই সময় তার সঙ্গে এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে। এমনকী প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একজন পুরোহিত। যার পুজো পাঠ নিয়ে থাকার কথা, কিভাবে সমাজের একজন ধারক বাহক হয়ে একজন পুরোহিত এই কাজ করতে পারল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে  নাবালিকাকে গণধর্ষণ ৩ জওয়ানের মধ্যে ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হাওড়া জেলা পকসো আদালতে

অভিযোগের ভিত্তিতে শ্মশানের ওই পুরোহিত ও তার তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নৃশংস ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দোষীদের যথাযথ শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চস্তর থেকে। দিল্লির নাঙ্গোলি গ্রামের ঘটনা।

আরও পড়ুন: টানা ১২ দিন লড়াইয়ের পর উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষিতা অগ্নিদগ্ধ দলিত নাবালিকার মৃত্যু

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচ’টা নাগাদ মা-কে বলে শ্মশানের কুলার থেকে ঠান্ডা জল আনতে গিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পর মেয়ের নিথর দেহ ফেরে বাড়িতে। আর সেই দেহ নিয়ে আসে, শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম, এবং আরও দু-তিনজন। তারা শিশুটির মা-কে জানান,  কুলার থেকে জল ভরার সময় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এমনকী তারা পরিবারকে বোঝায় পাশাপাশি, পুলিশ-কে খবর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশ এলেই ময়নাতদন্ত হবে, তাতে মেয়ের শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বের করে নেওয়া হবে।

ফলে কাউকে কিছু না জানিয়ে দাহ করে দেওয়াই ভালো। নির্যাতিতার পরিবারের কিছু ভাবার সময় না দিয়েই তারা ৯ বছরের নাবালিকার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার আঁচ পড়তেই রাগে উন্মত্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসী ও  পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় পুরোহিত রাধেশ্যাম-সহ কুলদীপ, লক্ষ্মী, নারায়ণ এবং সেলিম নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আপাতত তারা সকলেই জেল হেফাজতে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিকের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৯ বছরের বালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন, জ্বালানো হল দেহ, নেপথ্যে পুরোহিত

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নির্ভয়া কাণ্ডের পর পার হয়েছে বেশ কিছু বছর। ধর্ষকদের ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছে আদালত। কিন্তু ফের সেই নৃশংসতার সাক্ষী থাকল দিল্লি। ৯ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল দেহ।

আরও পড়ুন: বীরভূমে নিজের দুই কাকার হাতেই গণধর্ষিতা আদিবাসী কিশোরী,  গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত

শ্মশানের কুলার থেকে জল আনতে গিয়েছিল নির্যাতিতা। ঠিক সেই সময় তার সঙ্গে এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে। এমনকী প্রমাণ লোপাটের জন্য নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে হয়। এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একজন পুরোহিত। যার পুজো পাঠ নিয়ে থাকার কথা, কিভাবে সমাজের একজন ধারক বাহক হয়ে একজন পুরোহিত এই কাজ করতে পারল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে  নাবালিকাকে গণধর্ষণ ৩ জওয়ানের মধ্যে ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হাওড়া জেলা পকসো আদালতে

অভিযোগের ভিত্তিতে শ্মশানের ওই পুরোহিত ও তার তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নৃশংস ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দোষীদের যথাযথ শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চস্তর থেকে। দিল্লির নাঙ্গোলি গ্রামের ঘটনা।

আরও পড়ুন: টানা ১২ দিন লড়াইয়ের পর উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষিতা অগ্নিদগ্ধ দলিত নাবালিকার মৃত্যু

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচ’টা নাগাদ মা-কে বলে শ্মশানের কুলার থেকে ঠান্ডা জল আনতে গিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পর মেয়ের নিথর দেহ ফেরে বাড়িতে। আর সেই দেহ নিয়ে আসে, শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম, এবং আরও দু-তিনজন। তারা শিশুটির মা-কে জানান,  কুলার থেকে জল ভরার সময় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এমনকী তারা পরিবারকে বোঝায় পাশাপাশি, পুলিশ-কে খবর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশ এলেই ময়নাতদন্ত হবে, তাতে মেয়ের শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বের করে নেওয়া হবে।

ফলে কাউকে কিছু না জানিয়ে দাহ করে দেওয়াই ভালো। নির্যাতিতার পরিবারের কিছু ভাবার সময় না দিয়েই তারা ৯ বছরের নাবালিকার দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার আঁচ পড়তেই রাগে উন্মত্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসী ও  পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় পুরোহিত রাধেশ্যাম-সহ কুলদীপ, লক্ষ্মী, নারায়ণ এবং সেলিম নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আপাতত তারা সকলেই জেল হেফাজতে। ইতিমধ্যেই ফরেনসিকের ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।