০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শারদ উৎসবে গানের টাকায় দান শিশু সঙ্গীতশিল্পী দেবাঙ্কিতার 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 69

ইনামুল হক, গোবরডাঙ্গা: সারাবছর রাত জেগে অর্কেষ্ট্রাতে গান করে যে টাকা উপার্জন করে সেই সব টাকা দিয়েই  অনাথ শিশু  আর অসহায় মানুষদের হাতে উৎসবের শুরু থেকেই নতুন বস্ত্র তুলে দেয় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গার নয় বছরের শিশু সঙ্গীত শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাঙ্কিতা বেসরকারী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।  পেশায় সঙ্গীত শিল্পী। সারা বছরই রাত জেগে অর্কেষ্ট্রাতে প্রোগ্রাম করে যা উপার্জন করে সব টাকাই সে তুলে দেয় দুঃস্থ অসহায় মানুষের কল্যানে। সে দুঃস্থ মেয়ের বিয়ে হোক কিংবা দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রের পড়াশুনার জন্য কিংবা কারোর কোন অসুখ বিসুখ হোক। খবর পেলেই সে সাহায্য করতে সটান চলে যায় তার বাড়ি। পাশাপাশি দূর্গাপূজা হোক কিংবা ঈদ হোক উৎসবের সময় সকলের মুখে হাসি ফোটাতে গত পাঁচ বছর ধরে অসহায় শিশুদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেয় সে। শুধু এটুকুই নয়, অসহায় গরীব মহিলা পুরুষ সকলকেই  উৎসবের সময় নতুন বস্ত্র তুলে দিচ্ছে সে।ছোট্ট দেবাঙ্কিতায় কথায়,”সারা বছর ধরে যা রোজগার করি সব টাকা দিয়েই এসব কাজ করি আমি। খুব ভালো লাগে আমার এসব কাজ করতে। বাবাকে বলেছি আমার জন্মদিনের দিন এলাকার যত গরীব দুখী মানুষ আছে সবাইকেই পেটপুরে দুপুরে খাওয়াবো। সামনের ৯ আগষ্ট আমার জন্মদিন। ওইদিন কমপক্ষে তিনহাজার দুঃস্থ মানুষকে নিয়ে দুপুরে খাওয়ানোর প্রস্তুতিনিচ্ছি। দরকার হয় রাত জেগে আরও প্রোগ্রাম করবো।” দেবাঙ্কিতার মা পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” আমি সরকারী চাকরি করি। ওর বাবা বেসরকারী কাজ করে। আমাদের দুজনের ইনকামে সংসার চালাই। আর মেয়ের সারা বছরের ইনকাম এক জায়গায় করে মেয়ের ইচ্ছায় এসব কাজ করে থাকি। মেয়ে সমাজের বুকে ভালো কাজ করছে। তাই মেয়ের এই ভালো কাজের ইচ্ছায় বাধা দিই না”।

আরও পড়ুন: টাকার পাহাড় নিয়ে প্রকাশ্যে ভিডিয়ো, ‘ফাঁসানো হচ্ছে’ দাবি বিচারপতির

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শারদ উৎসবে গানের টাকায় দান শিশু সঙ্গীতশিল্পী দেবাঙ্কিতার 

আপডেট : ১ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

ইনামুল হক, গোবরডাঙ্গা: সারাবছর রাত জেগে অর্কেষ্ট্রাতে গান করে যে টাকা উপার্জন করে সেই সব টাকা দিয়েই  অনাথ শিশু  আর অসহায় মানুষদের হাতে উৎসবের শুরু থেকেই নতুন বস্ত্র তুলে দেয় উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গার নয় বছরের শিশু সঙ্গীত শিল্পী দেবাঙ্কিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাঙ্কিতা বেসরকারী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী।  পেশায় সঙ্গীত শিল্পী। সারা বছরই রাত জেগে অর্কেষ্ট্রাতে প্রোগ্রাম করে যা উপার্জন করে সব টাকাই সে তুলে দেয় দুঃস্থ অসহায় মানুষের কল্যানে। সে দুঃস্থ মেয়ের বিয়ে হোক কিংবা দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রের পড়াশুনার জন্য কিংবা কারোর কোন অসুখ বিসুখ হোক। খবর পেলেই সে সাহায্য করতে সটান চলে যায় তার বাড়ি। পাশাপাশি দূর্গাপূজা হোক কিংবা ঈদ হোক উৎসবের সময় সকলের মুখে হাসি ফোটাতে গত পাঁচ বছর ধরে অসহায় শিশুদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেয় সে। শুধু এটুকুই নয়, অসহায় গরীব মহিলা পুরুষ সকলকেই  উৎসবের সময় নতুন বস্ত্র তুলে দিচ্ছে সে।ছোট্ট দেবাঙ্কিতায় কথায়,”সারা বছর ধরে যা রোজগার করি সব টাকা দিয়েই এসব কাজ করি আমি। খুব ভালো লাগে আমার এসব কাজ করতে। বাবাকে বলেছি আমার জন্মদিনের দিন এলাকার যত গরীব দুখী মানুষ আছে সবাইকেই পেটপুরে দুপুরে খাওয়াবো। সামনের ৯ আগষ্ট আমার জন্মদিন। ওইদিন কমপক্ষে তিনহাজার দুঃস্থ মানুষকে নিয়ে দুপুরে খাওয়ানোর প্রস্তুতিনিচ্ছি। দরকার হয় রাত জেগে আরও প্রোগ্রাম করবো।” দেবাঙ্কিতার মা পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” আমি সরকারী চাকরি করি। ওর বাবা বেসরকারী কাজ করে। আমাদের দুজনের ইনকামে সংসার চালাই। আর মেয়ের সারা বছরের ইনকাম এক জায়গায় করে মেয়ের ইচ্ছায় এসব কাজ করে থাকি। মেয়ে সমাজের বুকে ভালো কাজ করছে। তাই মেয়ের এই ভালো কাজের ইচ্ছায় বাধা দিই না”।

আরও পড়ুন: টাকার পাহাড় নিয়ে প্রকাশ্যে ভিডিয়ো, ‘ফাঁসানো হচ্ছে’ দাবি বিচারপতির