২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শব্দবাজি নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি নজরদারি চালাবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা, ডিভিশন বেঞ্চ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
  • / 55

পুবের কলম প্রতিবেদক: শব্দবাজি নিয়ে কঠোর কলকাতা হাইকোর্ট। আসন্ন কালীপুজোতে মূল আকর্ষণ হল আলোর রোশনাই আর বাজির খেলা।

তবে শব্দবাজি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শোনা যায়। বাজি ফাটানোর ফলে পরিবেশ দূষণও হয়। তাই আসন্ন কালীপুজোর প্রাক্কালেই শব্দ বাজি নিয়ে আরও কড়া হল কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা, ৪৩ টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা ডেঙ্গু রোধে কড়া পুরসভা

এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পরিবেশবান্ধব বা সবুজ বাজিই যে ব্যবহার ও বিক্রি হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ মঙ্গলবার শব্দবাজি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বাজি বাজারে ‘সবুজ’ বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা? তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

আরও পড়ুন: পার্কিং ফি নিয়ে কারচুপি রুখতে কড়া কলকাতা পুরসভা

সেই জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা ন্যাশনাল এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (নিরি) এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন (পেসো) নজরদারি চালাবে’।

আরও পড়ুন: কড়া পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশ সরকারের, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করল অভিযুক্ত কাশির সিরাপ সংস্থা

এর পাশাপাশি, ছুটির পর আদালত খোলার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। এ দিন আদেশনামায় বলা হয়েছে, দীপাবলি রাতে যে বাজিগুলো পোড়ানো হবে তা কতটা পরিবেশবান্ধব? কিংবা বাজি ব্যবসায়ীরা যে বাজি বিক্রি করবেন, সেটাও কতটা পরিবেশবান্ধব তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার শুধুমাত্র রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই করবে না। তাদের সঙ্গে করবে কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা’।

প্রসঙ্গত, গতবছর পরিবেশ রক্ষার্থে বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘এখানে সবুজ বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই।’ গতবছর তাই বাজি বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এ বছর শব্দবাজি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শব্দবাজি নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি নজরদারি চালাবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা, ডিভিশন বেঞ্চ

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: শব্দবাজি নিয়ে কঠোর কলকাতা হাইকোর্ট। আসন্ন কালীপুজোতে মূল আকর্ষণ হল আলোর রোশনাই আর বাজির খেলা।

তবে শব্দবাজি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শোনা যায়। বাজি ফাটানোর ফলে পরিবেশ দূষণও হয়। তাই আসন্ন কালীপুজোর প্রাক্কালেই শব্দ বাজি নিয়ে আরও কড়া হল কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা, ৪৩ টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা ডেঙ্গু রোধে কড়া পুরসভা

এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পরিবেশবান্ধব বা সবুজ বাজিই যে ব্যবহার ও বিক্রি হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ মঙ্গলবার শব্দবাজি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বাজি বাজারে ‘সবুজ’ বাজি বিক্রি হচ্ছে কিনা? তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

আরও পড়ুন: পার্কিং ফি নিয়ে কারচুপি রুখতে কড়া কলকাতা পুরসভা

সেই জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা ন্যাশনাল এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট (নিরি) এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন (পেসো) নজরদারি চালাবে’।

আরও পড়ুন: কড়া পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশ সরকারের, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করল অভিযুক্ত কাশির সিরাপ সংস্থা

এর পাশাপাশি, ছুটির পর আদালত খোলার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতের কাছে। এ দিন আদেশনামায় বলা হয়েছে, দীপাবলি রাতে যে বাজিগুলো পোড়ানো হবে তা কতটা পরিবেশবান্ধব? কিংবা বাজি ব্যবসায়ীরা যে বাজি বিক্রি করবেন, সেটাও কতটা পরিবেশবান্ধব তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার শুধুমাত্র রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই করবে না। তাদের সঙ্গে করবে কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা’।

প্রসঙ্গত, গতবছর পরিবেশ রক্ষার্থে বাজি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘এখানে সবুজ বাজি তৈরির পরিকাঠামো নেই।’ গতবছর তাই বাজি বিক্রি ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এ বছর শব্দবাজি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।