২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করুণাময়ীর ঘটনায় রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 39

পুবের কলম প্রতিবেদক: করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের হঠানো নিয়ে এবার সরব রাজ্য মহিলা কমিশন। অনশনরত মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের মাঝরাতে পুলিশ দিয়ে তোলা হল কেন?  সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবির ভিত্তিতে এই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

উল্লেখ্য,   চারদিন ধরে সল্টলেক করুণাময়ী চত্বরে আন্দোলন করছিলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু ২০ অক্টোবর গভীর রাতে পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে হঠিয়ে দেয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সূর্যাস্তের পর আইনত কোনও মহিলাকে আটক করা যায় না, তাহলে পুলিশ কীভাবে এই পদক্ষেপ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলগুলির অনেকে।

আরও পড়ুন: এবার চন্দ্রভাগার জল বন্ধ ভারতের, বেজায় চাপে পাক সরকার

রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে রাতে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটক করা হয়েছে। সেইরাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিধাননগর পুলিশের কমিশনারকে।

আরও পড়ুন: Closed Pak airspace বন্ধ পাক আকাশসীমা, বিপুল ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া।

উল্লেখ্য, করুণাময়ী চত্বরে রাস্তার উপরে আন্দোলনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সময় যত এগোয়, ততই ঝাঁঝ বাড়তে থাকে আন্দোলনের। ক্রমেই অবস্থান মঞ্চ রূপ নেয় অনশন মঞ্চের। আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ নট-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। এ দিকে পুলিশের তরফেও একাধিক বার মাইকিং করা হয়। বলা হয় উঠে যাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট

কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয় না। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ জোর করে তুলে দেয় অবস্থানকারীদের। ওই রাতে প্রথমে পুলিশ ঘোষণা করে, আন্দোলনকারীদের জমায়েত বেআইনি। ১৪৪ ধারা না মেনে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের খানিক সময় দেওয়া হয় উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও অবস্থান না ওঠার পুলিশ পদক্ষেপ করে। ওই রাতে মহিলা আন্দোলনকারীদেরও আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরাও। এবার রাজ্যের মহিলা কমিশন ওই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করুণাময়ীর ঘটনায় রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের হঠানো নিয়ে এবার সরব রাজ্য মহিলা কমিশন। অনশনরত মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের মাঝরাতে পুলিশ দিয়ে তোলা হল কেন?  সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবির ভিত্তিতে এই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

উল্লেখ্য,   চারদিন ধরে সল্টলেক করুণাময়ী চত্বরে আন্দোলন করছিলেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু ২০ অক্টোবর গভীর রাতে পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে হঠিয়ে দেয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সূর্যাস্তের পর আইনত কোনও মহিলাকে আটক করা যায় না, তাহলে পুলিশ কীভাবে এই পদক্ষেপ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলগুলির অনেকে।

আরও পড়ুন: এবার চন্দ্রভাগার জল বন্ধ ভারতের, বেজায় চাপে পাক সরকার

রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার পরের দিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে রাতে বেআইনিভাবে মহিলাদের আটক করা হয়েছে। সেইরাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিধাননগর পুলিশের কমিশনারকে।

আরও পড়ুন: Closed Pak airspace বন্ধ পাক আকাশসীমা, বিপুল ক্ষতির মুখে এয়ার ইন্ডিয়া।

উল্লেখ্য, করুণাময়ী চত্বরে রাস্তার উপরে আন্দোলনে বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সময় যত এগোয়, ততই ঝাঁঝ বাড়তে থাকে আন্দোলনের। ক্রমেই অবস্থান মঞ্চ রূপ নেয় অনশন মঞ্চের। আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ নট-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। এ দিকে পুলিশের তরফেও একাধিক বার মাইকিং করা হয়। বলা হয় উঠে যাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট

কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয় না। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ জোর করে তুলে দেয় অবস্থানকারীদের। ওই রাতে প্রথমে পুলিশ ঘোষণা করে, আন্দোলনকারীদের জমায়েত বেআইনি। ১৪৪ ধারা না মেনে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের খানিক সময় দেওয়া হয় উঠে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও অবস্থান না ওঠার পুলিশ পদক্ষেপ করে। ওই রাতে মহিলা আন্দোলনকারীদেরও আটক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরাও। এবার রাজ্যের মহিলা কমিশন ওই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল।