১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনা এড়াতে মেয়রের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থা শহরের ঘাটগুলিতে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
  • / 65

পুবের কলম প্রতিবেদক: কালীপুজোর বিসর্জন উপলক্ষ্যে শহরের প্রতিটি ঘাটে থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুধবার শহরের একাধিক ঘাটে চলে প্রতিমা নিরঞ্জন। বৃহস্পতিবারও একাধিক ঘাটে রয়েছে বিসর্জন।

সেই উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় ঘাট পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিসর্জন চলাকালীন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আধিকারিকদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

প্রতিটা ঘাটে যাতে সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন সম্পন্ন হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুরসভার তরফে।  একইসঙ্গে পুরকর্মীদের টিম হিসেবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ঘাটে। কলকাতা পুলিশ, নেভি ও কেএমডিএ-র সঙ্গে একযোগে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর, গঙ্গা দূষণ রুখতে কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘাটে রাখা হয়েছে ক্রেন। যাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা যায়।

আরও পড়ুন: অভিষেকের মামলা ফেরত এলো বিচারপতি ঘোষের এজলাসে,  বহাল আইনি রক্ষাকবচ

পুরসভার ২৫ জন কর্মী পালা করে নদীর জল পরিষ্কার করছে। প্রতিমা মূর্তিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক রঙে, যাতে গঙ্গাদূষণ না হয়, সেকথা মাথায় রেখেই বিসর্জনের মুহূর্তেই তা ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: তীব্র গরম, সোমবার থেকে স্কুল-কলেজ ছুটির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এবছর প্রতিমার সঙ্গে আনা ফুল, ঘট, মালা ইত্যাদি উপকরণ নদীতে ফেলায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেগুলো ফেলার জন্য, নদীর ঘাটেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঘাটের সমস্ত আবর্জনা, পুরসভার গাড়ি এসে সরিয়ে ফেলছে মুহূর্তের মধ্যেই।

এই সমস্ত ব্যবস্থাপনায় রয়েছে নিকাশি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং উদ্যান বিভাগ। এছাড়া যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে, বিশেষ সর্তকতা জারি করেছে জল পুলিশ। প্রত্যেকটি ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে অসংখ্য পুলিশ।

প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা যাত্রীদের জন্য, ঘাটে নামার নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে সমস্ত ঘাট জুড়ে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুর্ঘটনা এড়াতে মেয়রের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থা শহরের ঘাটগুলিতে

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কালীপুজোর বিসর্জন উপলক্ষ্যে শহরের প্রতিটি ঘাটে থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বুধবার শহরের একাধিক ঘাটে চলে প্রতিমা নিরঞ্জন। বৃহস্পতিবারও একাধিক ঘাটে রয়েছে বিসর্জন।

সেই উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় ঘাট পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিসর্জন চলাকালীন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য আধিকারিকদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

প্রতিটা ঘাটে যাতে সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন সম্পন্ন হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুরসভার তরফে।  একইসঙ্গে পুরকর্মীদের টিম হিসেবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ঘাটে। কলকাতা পুলিশ, নেভি ও কেএমডিএ-র সঙ্গে একযোগে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর, গঙ্গা দূষণ রুখতে কলকাতা পুরসভার তরফে একাধিক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ঘাটে রাখা হয়েছে ক্রেন। যাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা যায়।

আরও পড়ুন: অভিষেকের মামলা ফেরত এলো বিচারপতি ঘোষের এজলাসে,  বহাল আইনি রক্ষাকবচ

পুরসভার ২৫ জন কর্মী পালা করে নদীর জল পরিষ্কার করছে। প্রতিমা মূর্তিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক রঙে, যাতে গঙ্গাদূষণ না হয়, সেকথা মাথায় রেখেই বিসর্জনের মুহূর্তেই তা ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্রেকিং: তীব্র গরম, সোমবার থেকে স্কুল-কলেজ ছুটির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এবছর প্রতিমার সঙ্গে আনা ফুল, ঘট, মালা ইত্যাদি উপকরণ নদীতে ফেলায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সেগুলো ফেলার জন্য, নদীর ঘাটেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঘাটের সমস্ত আবর্জনা, পুরসভার গাড়ি এসে সরিয়ে ফেলছে মুহূর্তের মধ্যেই।

এই সমস্ত ব্যবস্থাপনায় রয়েছে নিকাশি, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং উদ্যান বিভাগ। এছাড়া যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে, বিশেষ সর্তকতা জারি করেছে জল পুলিশ। প্রত্যেকটি ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে অসংখ্য পুলিশ।

প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা যাত্রীদের জন্য, ঘাটে নামার নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে সমস্ত ঘাট জুড়ে।