০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রসূতির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
  • / 20

পুবের কলম প্রতিবেদক: উৎসবের মরসুমে অব্যাহত শহরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক গর্ভবতী মহিলার।  বছর ২২ এর যুবতী মৃত গুড়িয়া রজক ভবানীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই তরুণী।

রবিবার ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চলতি মাসেই সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিকে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা জরুরিভিত্তিতে সিজারের সিদ্ধান্ত নেন। ডেঙ্গু পজিটিভ অবস্থাতেই সিজার হয় তাঁর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। মৃত গুড়িয়া রজকের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপ কাটতেই পারদ চড়ছে দক্ষিণে, ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল শহরবাসী

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় গুড়িয়া রজকের। জানা গিয়েছে, গর্ভাবস্থাতে বাঁশদ্রানীতে নিজের বাপের বাড়িতে ছিলেন গুড়িয়া। সেখানেই তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। জ্বর নিয়ে গত শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মূল মঞ্চে বসতে পারবেন ৫০০জন, শহর জুড়ে জায়েন্ট স্ক্রিন

শুক্রবার রাতেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় রবিবার সিজার করা হয়। সেদিনই রাত থেকে তাঁর প্লেটলেট কমতে থাকে। শেষ ৩০ হাজারে নেমে যায় প্লেটলেট। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এই নিয়ে শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫।

আরও পড়ুন: ডিসেলটিং এর কাজ খতিয়ে দেখতে শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে পরিদর্শন হাওড়া পুর আধিকারিকদের

উল্লেখ্য,  ডেঙ্গু আক্রান্তের নিরিখে ২০১৯-কেও ছাপিয়ে গেছে ২০২২। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  গত ৬ বছরের মধ্যে চলতি বছরে সংক্রমণ সর্বাধিক। উৎসবের মরশুমে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে আসছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১০টি জেলার ১২টি ব্লককে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। সংক্রমণ বাড়ায় সতর্ক করা হয়েছে ৯ টি জেলার ১২টি পুরসভাকেও। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, দক্ষিণ দমদম, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া, উত্তরপাড়া।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রসূতির

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: উৎসবের মরসুমে অব্যাহত শহরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক গর্ভবতী মহিলার।  বছর ২২ এর যুবতী মৃত গুড়িয়া রজক ভবানীপুরের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই তরুণী।

রবিবার ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চলতি মাসেই সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিকে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা জরুরিভিত্তিতে সিজারের সিদ্ধান্ত নেন। ডেঙ্গু পজিটিভ অবস্থাতেই সিজার হয় তাঁর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। মৃত গুড়িয়া রজকের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপ কাটতেই পারদ চড়ছে দক্ষিণে, ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল শহরবাসী

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় গুড়িয়া রজকের। জানা গিয়েছে, গর্ভাবস্থাতে বাঁশদ্রানীতে নিজের বাপের বাড়িতে ছিলেন গুড়িয়া। সেখানেই তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। জ্বর নিয়ে গত শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মূল মঞ্চে বসতে পারবেন ৫০০জন, শহর জুড়ে জায়েন্ট স্ক্রিন

শুক্রবার রাতেই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় রবিবার সিজার করা হয়। সেদিনই রাত থেকে তাঁর প্লেটলেট কমতে থাকে। শেষ ৩০ হাজারে নেমে যায় প্লেটলেট। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। এরপর মঙ্গলবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এই নিয়ে শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫।

আরও পড়ুন: ডিসেলটিং এর কাজ খতিয়ে দেখতে শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে পরিদর্শন হাওড়া পুর আধিকারিকদের

উল্লেখ্য,  ডেঙ্গু আক্রান্তের নিরিখে ২০১৯-কেও ছাপিয়ে গেছে ২০২২। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী,  গত ৬ বছরের মধ্যে চলতি বছরে সংক্রমণ সর্বাধিক। উৎসবের মরশুমে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও জায়গা থেকে আসছে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১০টি জেলার ১২টি ব্লককে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। সংক্রমণ বাড়ায় সতর্ক করা হয়েছে ৯ টি জেলার ১২টি পুরসভাকেও। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, দক্ষিণ দমদম, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া, উত্তরপাড়া।