০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জার্মানিতে নব্য নাৎসিদের উত্থান; টার্গেট অভিবাসীরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 88

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জার্মানিতে অর্থনৈতিক মন্দা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে; ততই দেশটিতে নব্য নাৎসি ও উগ্র-ডানপন্থীদের উত্থান ঘটছে। বর্তমানে বিষয়টি আরও প্রকট হয়েছে। এখন শরণার্থীরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

 

আরও পড়ুন: ফের বাড়বে তাপমাত্রা, ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়; বার্লিনের ৭৫০ ইউরো জরিমানা না দেওয়ার জন্য এক সিরীয় শরণার্থীরা গ্রেফতার করছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তার সঙ্গে নির্মম আচর করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পানামায় দুর্ঘটনার কবলে অভিবাসন বোঝাই বাস, নিহত কমপক্ষে ৩৯, আহত ৩৬

 

আরও পড়ুন: বেতন বাড়ানোর দাবিতে ব্রিটিশ নার্সদের ধর্মঘট

লোকটির স্ত্রী পুলিশের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিবাদ করলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে লক্ষ্য করে জবাব দেয়; ‘এটা আমাদের ভূমি। আপনি এখানে অতিথি।’ পুলিশের ওই কথার সমর্থনে উগ্র-ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড (এএফডি) সমর্থিত একটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয় পত্রিকায়।

 

সেই বিজ্ঞাপনে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সমর্থন করে বলা হয়; ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’ বিজ্ঞাপনটি পুরো পাতা জুড়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জার্মানিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

 

বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পরের সপ্তাহে জার্মানিতে অতি-ডানপন্থীদের কার্যক্রম জোরালো হয়েছে। কিছু স্থানে সহিংসতা এবং কিছু ইউরোপীয় শরণার্থীর ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। নাৎসিপন্থী এএফডি বার্লিনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দেশের জ্বালানি ঘাটতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দাম বৃদ্ধির জন্য শরণার্থীর দায়ী করা হয়েছে।

তাদের বক্তব্য; ‘যখন জার্মানদের জন্যই পর্যাপ্ত নেই; তখন বাইরের লোকদের কেন দেওয়া হবে।’ এই দাবিতে তারা আরও সমাবেশ ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আরও উদ্বেগের বিষয়; জার্মানির শীর্ষ পোলিং এজেন্সি সম্প্রতি সারাদেশে রাজনৈতিক মতামতের সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে এএফডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির আভাস মিলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন; জার্মানদের অনুভূতি দিন-দিন বদলাচ্ছে। আর এর সবচেয়ে বড় কার হল দেশটির অর্থনৈতিক পতন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জার্মানিতে নব্য নাৎসিদের উত্থান; টার্গেট অভিবাসীরা

আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জার্মানিতে অর্থনৈতিক মন্দা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে; ততই দেশটিতে নব্য নাৎসি ও উগ্র-ডানপন্থীদের উত্থান ঘটছে। বর্তমানে বিষয়টি আরও প্রকট হয়েছে। এখন শরণার্থীরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

 

আরও পড়ুন: ফের বাড়বে তাপমাত্রা, ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ

সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়; বার্লিনের ৭৫০ ইউরো জরিমানা না দেওয়ার জন্য এক সিরীয় শরণার্থীরা গ্রেফতার করছে দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তার সঙ্গে নির্মম আচর করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পানামায় দুর্ঘটনার কবলে অভিবাসন বোঝাই বাস, নিহত কমপক্ষে ৩৯, আহত ৩৬

 

আরও পড়ুন: বেতন বাড়ানোর দাবিতে ব্রিটিশ নার্সদের ধর্মঘট

লোকটির স্ত্রী পুলিশের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিবাদ করলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে লক্ষ্য করে জবাব দেয়; ‘এটা আমাদের ভূমি। আপনি এখানে অতিথি।’ পুলিশের ওই কথার সমর্থনে উগ্র-ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড (এএফডি) সমর্থিত একটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয় পত্রিকায়।

 

সেই বিজ্ঞাপনে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সমর্থন করে বলা হয়; ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’ বিজ্ঞাপনটি পুরো পাতা জুড়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জার্মানিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

 

বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের পরের সপ্তাহে জার্মানিতে অতি-ডানপন্থীদের কার্যক্রম জোরালো হয়েছে। কিছু স্থানে সহিংসতা এবং কিছু ইউরোপীয় শরণার্থীর ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। নাৎসিপন্থী এএফডি বার্লিনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দেশের জ্বালানি ঘাটতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দাম বৃদ্ধির জন্য শরণার্থীর দায়ী করা হয়েছে।

তাদের বক্তব্য; ‘যখন জার্মানদের জন্যই পর্যাপ্ত নেই; তখন বাইরের লোকদের কেন দেওয়া হবে।’ এই দাবিতে তারা আরও সমাবেশ ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আরও উদ্বেগের বিষয়; জার্মানির শীর্ষ পোলিং এজেন্সি সম্প্রতি সারাদেশে রাজনৈতিক মতামতের সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে এএফডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির আভাস মিলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন; জার্মানদের অনুভূতি দিন-দিন বদলাচ্ছে। আর এর সবচেয়ে বড় কার হল দেশটির অর্থনৈতিক পতন।