১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর পর তিনবার! তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল, মৃত কমপক্ষে ৬

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 79

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সাত বছর আগের আতঙ্ক ফিরে এল নেপালে। ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধুলিসাৎ হয়েছিল নেপাল। সেই বিভীষিকায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ফের মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা।

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত মোট তিনবার কম্পন অনুভূত হয়। সবচেয়ে জোরালো কম্পনটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৬। নেপালের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে। অন্যদিকে এদিন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে নতুন করে ভূমিকম্প হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড, জারি সুনামির সতর্কতা

নেপালের যে এলাকাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে, সেখানে সেনা নামানো হয়েছে। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লিখেছেন, “আমি সমস্ত প্রশাসনিক দফতর, এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছি আহত এবং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সহযোগিতা করতে।”

আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, সুনামির আশঙ্কা

দ্য ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার অফ নেপাল-এর দাবি, পর পর তিন বার কেঁপে উঠেছে নেপাল। ভূমিকম্পের জেরে বাড়ি ধসে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এনসিএস অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি নেপালের পিথোরাগড় থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। মধ্যরাত ২.১২ নাগাদ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬, কেঁপে ওঠে দ্যোতি এলাকা। এর কিছুক্ষণ পরে ৩.১৫ নাগাদ একটি হালকা আফটার শক হয়। ফের ভোর ৬.২৭ নাগাদ কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। কম্পনের তীব্রতায় দোতি জেলায় একটি বাড়ি ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মারা গেছে ৬ জন। তবে মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা সহ দুই জন শিশু আছে।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভোররাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, জারি সুনামি সতর্কতা

দোতির মুখ্য জেলা আধিকারিক কল্পনা শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধস নেমেছে। বহু বাড়ি-ঘরদোর ভেঙে পড়েছে।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের দক্ষিণ-পূর্ব ২০৫ কিলোমিটার, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের উত্তরে ২৬৬ কিলোমিটার, উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৮৫ কিলোমিটার এবং উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৯০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল অবস্থান করছে।

জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের একাংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় দিল্লি-এনসিআর সহ নয়ডায় বহু বাসিন্দা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে। তবে কম্পনের ঘটনায় উত্তরাখণ্ড থেকে কোনও হতাহত সহ বড়সড় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পর পর তিনবার! তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল, মৃত কমপক্ষে ৬

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সাত বছর আগের আতঙ্ক ফিরে এল নেপালে। ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধুলিসাৎ হয়েছিল নেপাল। সেই বিভীষিকায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ফের মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা।

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত মোট তিনবার কম্পন অনুভূত হয়। সবচেয়ে জোরালো কম্পনটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৬। নেপালের পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন স্থানে। অন্যদিকে এদিন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে নতুন করে ভূমিকম্প হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড, জারি সুনামির সতর্কতা

নেপালের যে এলাকাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে, সেখানে সেনা নামানো হয়েছে। ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লিখেছেন, “আমি সমস্ত প্রশাসনিক দফতর, এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছি আহত এবং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকম সহযোগিতা করতে।”

আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, সুনামির আশঙ্কা

দ্য ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার অফ নেপাল-এর দাবি, পর পর তিন বার কেঁপে উঠেছে নেপাল। ভূমিকম্পের জেরে বাড়ি ধসে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এনসিএস অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রটি নেপালের পিথোরাগড় থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ছিল। মধ্যরাত ২.১২ নাগাদ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬, কেঁপে ওঠে দ্যোতি এলাকা। এর কিছুক্ষণ পরে ৩.১৫ নাগাদ একটি হালকা আফটার শক হয়। ফের ভোর ৬.২৭ নাগাদ কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। কম্পনের তীব্রতায় দোতি জেলায় একটি বাড়ি ভেঙে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মারা গেছে ৬ জন। তবে মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা সহ দুই জন শিশু আছে।

আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভোররাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, জারি সুনামি সতর্কতা

দোতির মুখ্য জেলা আধিকারিক কল্পনা শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ধস নেমেছে। বহু বাড়ি-ঘরদোর ভেঙে পড়েছে।

ভারতের উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের দক্ষিণ-পূর্ব ২০৫ কিলোমিটার, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের উত্তরে ২৬৬ কিলোমিটার, উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৮৫ কিলোমিটার এবং উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৯০ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল অবস্থান করছে।

জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতের একাংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় দিল্লি-এনসিআর সহ নয়ডায় বহু বাসিন্দা ঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে। তবে কম্পনের ঘটনায় উত্তরাখণ্ড থেকে কোনও হতাহত সহ বড়সড় ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।