২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্রোট হামলায় ভেঙে যায় উসমানীয় স্থাপনা মোস্টার সেতু ধ্বংসের ২৯তম বার্ষিকী পালিত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 49

হাইলাইটস: ১৯৯৩ সালের ৮ নভেম্বর। বসনিয়ার মোস্টার সেতু লক্ষ্য করে কামান দাগে ক্রোট বাহিনী। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ নেরেৎভা নদীর পানিতে ভেঙে পড়ে উসমানীয় স্থপতিদের হাতে তৈরি ঐতিহাসিক মোস্টার সেতু। ২০০৪ সালে তুরস্কের সহায়তায় পুননির্মিত হয় সেতুটি।

 

আরও পড়ুন: জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়াতেই বেপরোয়া পাকিস্তান, কাশ্মীরে অতর্কিত গোলাবর্ষণ

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিম বলকানে অবস্থিত উসমানীয় সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন মোস্টার সেতু ধ্বংসের ২৯তম বার্ষিকী পালন করল বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা।

আরও পড়ুন: আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সাড়ম্বরে পালিত বেলুড় মঠ সহ অন্যত্র

১৯৯২-১৯৯৫ সালের বসনীয় যুদ্ধে ক্রোট বাহিনীর হামলায় সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। এরপর সেতুটি পুনরায় নির্মিত হয় ২০০৪ সালের জুনে। সেই থেকেই সেতুটি নানা ধর্মের ও জাতের মানুষের মিলনসেতু হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস পালিত হল দক্ষিণ দিনাজপুরে

 

১৯৯৩ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখ ক্রোট বাহিনীর কামানের গোলার আঘাত সইতে না পেরে নভেম্বরের ৯ তারিখ সেতুটি নেরেৎভা নদীতে ভেঙে পড়ে। বর্তমানে এই সেতুটি শহরের দুই অংশকে যুক্ত করার পাশাপাশি বসনীয় ও ক্রোটদের সহাবস্থানের ছবি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে।

প্রবাদপ্রতিম উসমানীয় স্থপতি মিমার সিনানের ছাত্র মিমার হায়রুদ্দিন এই সেতুটির নকশা তৈরি করেন এবং সেতুটির নির্মাণ ১৫৬৬ সাল নাগাদ শেষ হয়।

 

আগ্রাসী ক্রোটদের হামলায় সেতুটি ধ্বংস হওয়ার পর অনেক দেশই এ নিয়ে সরব হয়েছিল। অবশেষে ২০০৪ সালে তুরস্কের সহায়তায় বসনিয়ায় সেতুটি পুনর্নির্মিত হয়।

প্রযুক্তিবিদ ও স্থপতিরা উসমানীয় স্থাপনাটিকে তার পুরনো চেহারা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ও অনেকাংশে সফল হন। ২০০৫ সালে মোস্টার শহরের পাশাপাশি মোস্টার সেতুটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ক্রোট হামলায় ভেঙে যায় উসমানীয় স্থাপনা মোস্টার সেতু ধ্বংসের ২৯তম বার্ষিকী পালিত

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

হাইলাইটস: ১৯৯৩ সালের ৮ নভেম্বর। বসনিয়ার মোস্টার সেতু লক্ষ্য করে কামান দাগে ক্রোট বাহিনী। পরদিন অর্থাৎ ৯ তারিখ নেরেৎভা নদীর পানিতে ভেঙে পড়ে উসমানীয় স্থপতিদের হাতে তৈরি ঐতিহাসিক মোস্টার সেতু। ২০০৪ সালে তুরস্কের সহায়তায় পুননির্মিত হয় সেতুটি।

 

আরও পড়ুন: জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়াতেই বেপরোয়া পাকিস্তান, কাশ্মীরে অতর্কিত গোলাবর্ষণ

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিম বলকানে অবস্থিত উসমানীয় সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন মোস্টার সেতু ধ্বংসের ২৯তম বার্ষিকী পালন করল বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা।

আরও পড়ুন: আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস সাড়ম্বরে পালিত বেলুড় মঠ সহ অন্যত্র

১৯৯২-১৯৯৫ সালের বসনীয় যুদ্ধে ক্রোট বাহিনীর হামলায় সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। এরপর সেতুটি পুনরায় নির্মিত হয় ২০০৪ সালের জুনে। সেই থেকেই সেতুটি নানা ধর্মের ও জাতের মানুষের মিলনসেতু হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস পালিত হল দক্ষিণ দিনাজপুরে

 

১৯৯৩ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখ ক্রোট বাহিনীর কামানের গোলার আঘাত সইতে না পেরে নভেম্বরের ৯ তারিখ সেতুটি নেরেৎভা নদীতে ভেঙে পড়ে। বর্তমানে এই সেতুটি শহরের দুই অংশকে যুক্ত করার পাশাপাশি বসনীয় ও ক্রোটদের সহাবস্থানের ছবি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে।

প্রবাদপ্রতিম উসমানীয় স্থপতি মিমার সিনানের ছাত্র মিমার হায়রুদ্দিন এই সেতুটির নকশা তৈরি করেন এবং সেতুটির নির্মাণ ১৫৬৬ সাল নাগাদ শেষ হয়।

 

আগ্রাসী ক্রোটদের হামলায় সেতুটি ধ্বংস হওয়ার পর অনেক দেশই এ নিয়ে সরব হয়েছিল। অবশেষে ২০০৪ সালে তুরস্কের সহায়তায় বসনিয়ায় সেতুটি পুনর্নির্মিত হয়।

প্রযুক্তিবিদ ও স্থপতিরা উসমানীয় স্থাপনাটিকে তার পুরনো চেহারা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ও অনেকাংশে সফল হন। ২০০৫ সালে মোস্টার শহরের পাশাপাশি মোস্টার সেতুটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।