জ্ঞানভাপীর মতো সার্ভের দাবি, মালালি মসজিদে পরিচালনা কমিটির আপত্তি খারিজ আদালতে

- আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
- / 15
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভারত জুড়ে দিন-দিন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি উসকানিমূলক আচরণ বেড়েই চলেছে। বারাণসীর জ্ঞানভাপী মসজিদ নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনা না কমতেই এবার কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুর একটি মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক উসকে উঠেছে। কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুর মালালি জুম্মা মসজিদের নীচে মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে বলে রাজ্যটির একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের দাবির মুখে এই উত্তেজনা তৈরি হয়।
হিন্দু সংগঠন বলছে, মালালি জুম্মা মসজিদ মেরামত করার সময় তার ভিত থেকে ‘মন্দিরের মতো একটি কাঠামো’ বেরিয়ে এসেছে। এ নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, যতদিন পর্যন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় ততদিন মসজিদে মেরামত কাজ বন্ধ রাখা হোক। এর বিরুদ্ধে মামলা করে মসজিদ কমিটি।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির মসজিদের সার্ভে বা সমীক্ষার দাবিতে করা আবেদন খারিজ করার জন্য আবেদন জানায়। কিন্তু আদালত পিটিশনটি বাতিল করে দিয়েছে। মামলার শুনানি করা তৃতীয় অতিরিক্ত দেওয়ানী আদালত তার রায়ে আরও বলেছে, মামলাটি দেওয়ানি আদালতে বিচার করা যেতে পারে। মালালি মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দ্বারা দায়ের করা একটি পিটিশনকে চ্যালেঞ্জ করে এটি বাতিল করার আবেদন করেছিল।
মসজিদ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আরও দাবি করেছে যে, মালালি মসজিদ ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এই বিষয়ে যেকোনও বিরোধ উঠলে তা অবশ্যই ওয়াকফ-সম্পর্কিত আদালতে শুনানি হবে। তবে আদালত এসব যুক্তি খারিজ করে দেয়। জ্ঞানভাপী মসজিদের আদলে কোর্ট কমিশনার নিয়োগের দাবিতে ভিএইচপির আবেদনের শুনানি ৮ জানুয়ারি, ২০২৩-এ নেওয়া হবে। রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ভিএইচপি। এর নেতা শরণ পাম্পওয়েল বলেছেন, মসজিদ কমিটি সম্মত হলে সমস্যাটি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা যেতে পারে। বিতর্কিত মসজিদের জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণের জন্য বিষয়টি আইনগতভাবে অনুসরণ করা হবে। রাজ্য পুলিশ সংবেদনশীল এই উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ঘটনাস্থল কর্নাটকের গঞ্জিমঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে রয়েছে মালালি মার্কেট মসজিদ। এই মসজিদের অন্দরেই হিন্দু মন্দিরের মতো একটি স্থাপত্য নির্মাণ উঠে এসেছে বলে দাবি জানাচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদি গোষ্ঠী।
এ দিকে, দক্ষিণ কান্নাড়া কমিশনারেটের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে যে, সেখানে ইমারত যেমন আছে তেমনভাবেই রাখা হবে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্ট্যাটাসকো বজায় থাকবে। আপাতত প্রশাসনের তরফে জমির ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। এলাকায় শান্তির পরিস্থিতি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। যাবতীয় দাবিদাওয়া প্রশাসন খতিয়ে দেখবে বলে জানানো হয়েছে।