পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চার দিন ধরে পাঞ্জাব পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি সে রাজ্যের পুলিশ। অমৃতপালকে পুলিশ এখনও খুঁজতে অপরাগ জেনে মঙ্গলবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট পাঞ্জাব পুলিশকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করে। একই সঙ্গে অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানের একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।
অমৃতপাল প্রসঙ্গে পঞ্জাব সরকারের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, আপনাদের কাছে ৮০ হাজার পুলিশ আছে। তারা কী করছিল? অমৃতপাল সিং কীভাবে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চায় আদালত।
খালিস্তানি নেতা ও ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ প্রধানের বিরুদ্ধে শনিবার থেকে অভিযান শুরু করেছে পঞ্জাবের পুলিশ। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অমৃতপালের ১২০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে পঞ্জাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি নিজেকে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের অনুসারী বলে দাবি করেন। এমনকি অমৃতের সমর্থকরা তাঁকে ‘ভিন্দ্রানওয়ালে টু পয়েন্ট জিরো’ বলে ডাকেন। ভিন্দ্রানওয়ালের মতো অমৃতও শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন।
পঞ্জাব পুলিশ তাঁর গতিবিধিকে সন্দেহজনক বললেও তাঁর পরিবার বলছে অন্য কথা। তাঁদের মতে, অমৃতকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কৌর ও পরিবারের অন্যান্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও তাঁদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতপাল সিংকে শেষবার দেখা গেছে জলন্ধরে। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মোটরসাইকেলে চেপে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলে যান।
পুলিশের মতে, অমৃতপাল সিং একটি গুরুদোয়ারায় ঢুকে নিজের ভোল পাল্টেছেন। চিরাচরিত পোশাক ছেড়ে প্যান্ট-শার্ট পরে তাঁর ব্যবহৃত কির্পানটিও সেখানে রেখে যান অমৃত। তাঁর তিনজন বন্ধুর সহায়তায় তিনি ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে মত পুলিশের। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।