গাজা, ২৯ এপ্রিল: গাজার রাফাহ শহরে ইসরাইলি হামলা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরাইল রাফাহ শহরে হামলা অব্যহত এবং জোরদার করলে ব্যাপক নিহত ও আহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা ইসরাইলকে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা থেকে বিরত রাখতে পারে।’ এই হামলা রুখতে না পারলে ফিলিস্তিনিদের জীবনে নেমে আসবে ব্যাপক সংকট। গাজা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবেন তারা বলেও জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইল বেশ কিছুদিন থেকেই রাফাহতে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। সেমত সোমবার ভোরে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে বিমান হামলায় চালাল ইসরাইলি সেনা। ওই অঞ্চলের তিনটি বাড়িতে হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আহতদের রাফাহ শহরের কুয়েতি ও মুহাম্মদ ইউসেফ এল-নাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এর আগে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (WEF) ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করেছিলেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস। সোমবার ফের একবার মার্কিন হস্তক্ষেপের দাবি জানালেন তিনি। মাহমুদ আব্বাস বলেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করছি ইসরাইলকে রাফাহ অভিযান বন্ধ করতে বলুন। কারণ আমেরিকাই একমাত্র দেশ যে ইসরাইলকে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পারে।” উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “রাফাহতে ছোট পরিসরে হামলা হলেও এখানকার ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। তখন ফিলিস্তিনি জনগণের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটবে।”