৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবী সা.-এর পয়গামকে সকলের মধ্যে তুলে ধরতে হবে… মহাজাতি সদনে রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্সে বিশিষ্টরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 9

বক্তব্য রাখছেন (বাঁদিক থেকে) ক্কারী ফজলুর রহমান, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, আহমদ হাসান ইমরান ও শেখ জাকি মাদানি

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার মহাজাতি সদনে রবিবার অনুষ্ঠিত হল রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্স। এর আয়োজক ছিল রাজ্য জমিয়তে আহলে হাদিস এবং আলহুদা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। রাসূল-ই-রহমত অর্থাৎ দয়া ও করুনার রাসূল এই কনফারেন্সের উদ্দেশ্য ছিল দুটি।

এক বর্তমানে যেভাবে হযরত মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে তার অপনোদন করা এবং অন্যদিকে মুসলিমদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে রাসূলের উম্মত হিসেবে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সকলের কাছে প্রকৃত ইসলাম ও রাসূলের শিক্ষাকে তুলে ধরা। আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা শেখ জাকি আহমদ মাদানি। এই রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্সকে খেতাব করেন মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, ক্বারি ফজলুর রহমান, আহমদ হাসান ইমরান, শেখ খুরশিদ আলম মাদানি, শেখ আবু তালিব রহমানি, আবদুল আজিজ, সাদাফ মাসুম, হায়দার আলি প্রমুখ।

মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি বলেন,  আমাদেরকে আল্লাহর নবীর জীবন ও আদর্শকে মানতে হবে। নারীদের প্রতি তিনি যে ব্যবস্থাপনা দিয়েছেন, তা মেনে চললে সমাজ সঠিকভাবে চলবে। তিনি কুরআন শিক্ষার উপর জোর দেন। বলেন, প্রতি সপ্তাহে কুরআন বোঝার জন্য কুরআনে মজলিশ করা প্রয়োজন।

আহমদ হাসান ইমরান বলেন, নবী মুহাম্মদ সা.-কে যদি আমরা দুনিয়ায় সবকিছুর উপরে ভালো না বাসি তাহলে আমরা ঈমানদার হতে পারব না। তাই আমাদের নবীর শিক্ষা প্রচারের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। উম্মুল মুমেনীন খাদিজা রা. , আয়েশা রা. ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ইসলামের প্রথম শহিদ ও একজন নারী। প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরলে অমুসলিমরা অবশ্যই আকৃষ্ট হবেন। কাতারে তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের ‘ঘরে ঘরে মুহাম্মদ সা.’ এই  অভিযান চালাতে হবে। তবেই দুনিয়া ও আখেরাতে আমরা কামিয়াব হতে পারব।

মহাজাতি সদনের সব আসন ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। মহিলারাও এই কনফারেন্সে বিরাট সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নবী সা.-এর পয়গামকে সকলের মধ্যে তুলে ধরতে হবে… মহাজাতি সদনে রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্সে বিশিষ্টরা

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার মহাজাতি সদনে রবিবার অনুষ্ঠিত হল রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্স। এর আয়োজক ছিল রাজ্য জমিয়তে আহলে হাদিস এবং আলহুদা এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। রাসূল-ই-রহমত অর্থাৎ দয়া ও করুনার রাসূল এই কনফারেন্সের উদ্দেশ্য ছিল দুটি।

এক বর্তমানে যেভাবে হযরত মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে তার অপনোদন করা এবং অন্যদিকে মুসলিমদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে রাসূলের উম্মত হিসেবে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সকলের কাছে প্রকৃত ইসলাম ও রাসূলের শিক্ষাকে তুলে ধরা। আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন মাওলানা শেখ জাকি আহমদ মাদানি। এই রাসূল-ই-রহমত কনফারেন্সকে খেতাব করেন মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, ক্বারি ফজলুর রহমান, আহমদ হাসান ইমরান, শেখ খুরশিদ আলম মাদানি, শেখ আবু তালিব রহমানি, আবদুল আজিজ, সাদাফ মাসুম, হায়দার আলি প্রমুখ।

মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি বলেন,  আমাদেরকে আল্লাহর নবীর জীবন ও আদর্শকে মানতে হবে। নারীদের প্রতি তিনি যে ব্যবস্থাপনা দিয়েছেন, তা মেনে চললে সমাজ সঠিকভাবে চলবে। তিনি কুরআন শিক্ষার উপর জোর দেন। বলেন, প্রতি সপ্তাহে কুরআন বোঝার জন্য কুরআনে মজলিশ করা প্রয়োজন।

আহমদ হাসান ইমরান বলেন, নবী মুহাম্মদ সা.-কে যদি আমরা দুনিয়ায় সবকিছুর উপরে ভালো না বাসি তাহলে আমরা ঈমানদার হতে পারব না। তাই আমাদের নবীর শিক্ষা প্রচারের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। উম্মুল মুমেনীন খাদিজা রা. , আয়েশা রা. ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ইসলামের প্রথম শহিদ ও একজন নারী। প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরলে অমুসলিমরা অবশ্যই আকৃষ্ট হবেন। কাতারে তাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের ‘ঘরে ঘরে মুহাম্মদ সা.’ এই  অভিযান চালাতে হবে। তবেই দুনিয়া ও আখেরাতে আমরা কামিয়াব হতে পারব।

মহাজাতি সদনের সব আসন ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। মহিলারাও এই কনফারেন্সে বিরাট সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন।