২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নৃশংস হত্যার পর দেহ ৩২ টুকরো! বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার ছেলে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 79

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: খুনের পর ফের দেহ কেটে কুচোনোর ঘটনা ঘটল কর্নাটকে বাগালকোটে। বাবাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে। বাবাকে খুনের পর দেহ ৩২ টুকরোর অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশকে এই খুনের নৃশংসতার স্বীকারোক্তি করেছে অভিযুক্ত ছেলে।

শ্রদ্ধা ওয়াকার ঘটনার খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিচার চলছে আদালতে। তার মধ্যে ফের এই দেহ কেটে টুকরো করার ঘটনা মানুষের মধ্যে ক্রমশই আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতেই এই ধরনের নৃশংসতার আশ্রয় নিচ্ছে অভিযুক্তরা। তবে কি কারণে একজন ছেলে তার বাবাকে খুন করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের ধর্মস্থলা মন্দিরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ, ২৫ বছর পর মুখ খুললেন দলিত সাফাইকর্মী

এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ৩২ টুকরো করার পর কুয়োর মধ্যে ফেলা হয়েছে দেহগুলি। অভিযুক্তের নাম বিঠালা। অভিযোগ, গত ৬ ডিসেম্বর বাবা পরশুরাম কুলালিকে (৫২) রাগের বশে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বিঠালা। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিল সে। মাকে নিয়ে দাদা আলাদা থাকেন। বাবা পরশুরামের সঙ্গে থাকতেন বিঠালা। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরশুরামের নেশা করার অভ্যাস ছিল। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় এসে বাড়িতে অশান্তি করত। এক রকম তিতিবিরক্তি হয়ে স্বামীকে ছেড়ে বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যান পরশুরামের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েই কর্নাটকে গণধর্ষকদের শোভাযাত্রা

তার পর থেকে ছোট ছেলে বিঠালাই বাবার দেখাশোনা করতেন। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। রাতে বাড়ি ফিরে এসে বিঠালাকে গালিগালাজ করতেন পরশুরাম। দিনের পর দিন একই ঘটনা চলতে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বিঠালা। ক্রমশই অশান্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। ৬ নভেম্বর অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।

আরও পড়ুন: নিখোঁজ পদ্মশ্রী প্রাপক বিজ্ঞানীর দেহ নদী থেকে উদ্ধার

অভিযোগ, তার পরই বিঠালা একটা লোহার রড নিয়ে পরশুরামকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। তাতেই মৃত্যু হয় পরশুরামের। দেহ লোপাটের জন্য তার পর পরশুরামের দেহ ৩২ টুকরো করেন বিঠালা। তার পর সেই টুকরোগুলি বাগালকোটের বাইরে মুধোলে একটি কুয়োয় ফেলে দিয়ে আসেন। পরশুরামের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাঁরা পরশুরামের বড়ছেলে এবং স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তার পরই বিঠালার নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগ পেয়ে বিঠালাকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখানেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন বিঠালা।

পরশুরামের দেহের টুকরোগুলি যেখানে ফেলা হয়েছিল, সেই কুয়ো থেকে দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও মেলেনি। তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নৃশংস হত্যার পর দেহ ৩২ টুকরো! বাবাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার ছেলে

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: খুনের পর ফের দেহ কেটে কুচোনোর ঘটনা ঘটল কর্নাটকে বাগালকোটে। বাবাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলে। বাবাকে খুনের পর দেহ ৩২ টুকরোর অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশকে এই খুনের নৃশংসতার স্বীকারোক্তি করেছে অভিযুক্ত ছেলে।

শ্রদ্ধা ওয়াকার ঘটনার খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিচার চলছে আদালতে। তার মধ্যে ফের এই দেহ কেটে টুকরো করার ঘটনা মানুষের মধ্যে ক্রমশই আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতেই এই ধরনের নৃশংসতার আশ্রয় নিচ্ছে অভিযুক্তরা। তবে কি কারণে একজন ছেলে তার বাবাকে খুন করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: কর্নাটকের ধর্মস্থলা মন্দিরে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ, ২৫ বছর পর মুখ খুললেন দলিত সাফাইকর্মী

এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ৩২ টুকরো করার পর কুয়োর মধ্যে ফেলা হয়েছে দেহগুলি। অভিযুক্তের নাম বিঠালা। অভিযোগ, গত ৬ ডিসেম্বর বাবা পরশুরাম কুলালিকে (৫২) রাগের বশে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে বিঠালা। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিল সে। মাকে নিয়ে দাদা আলাদা থাকেন। বাবা পরশুরামের সঙ্গে থাকতেন বিঠালা। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরশুরামের নেশা করার অভ্যাস ছিল। প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় এসে বাড়িতে অশান্তি করত। এক রকম তিতিবিরক্তি হয়ে স্বামীকে ছেড়ে বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যান পরশুরামের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েই কর্নাটকে গণধর্ষকদের শোভাযাত্রা

তার পর থেকে ছোট ছেলে বিঠালাই বাবার দেখাশোনা করতেন। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। রাতে বাড়ি ফিরে এসে বিঠালাকে গালিগালাজ করতেন পরশুরাম। দিনের পর দিন একই ঘটনা চলতে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বিঠালা। ক্রমশই অশান্তির মাত্রা বাড়তে থাকে। ৬ নভেম্বর অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।

আরও পড়ুন: নিখোঁজ পদ্মশ্রী প্রাপক বিজ্ঞানীর দেহ নদী থেকে উদ্ধার

অভিযোগ, তার পরই বিঠালা একটা লোহার রড নিয়ে পরশুরামকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। তাতেই মৃত্যু হয় পরশুরামের। দেহ লোপাটের জন্য তার পর পরশুরামের দেহ ৩২ টুকরো করেন বিঠালা। তার পর সেই টুকরোগুলি বাগালকোটের বাইরে মুধোলে একটি কুয়োয় ফেলে দিয়ে আসেন। পরশুরামের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাঁরা পরশুরামের বড়ছেলে এবং স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তার পরই বিঠালার নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। সেই অভিযোগ পেয়ে বিঠালাকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখানেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন বিঠালা।

পরশুরামের দেহের টুকরোগুলি যেখানে ফেলা হয়েছিল, সেই কুয়ো থেকে দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও মেলেনি। তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে।