১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় সচেতনতার বার্তা দিয়ে মেডিকেল কর্মী সহ পুলিশ-প্রশাসনকে স্যালুট জানালো ‘গ্রুভস’

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার
  • / 26

বিপাশা চক্রবর্তী, কলকাতাঃ সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন অসুখে আক্রান্ত। যার নাম করোনা ভাইরাস। সকলেই আজ এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। বর্তমান সময়ে মানুষ একজোট হয়ে লড়াইয়ে শামিল। জীবনযুদ্ধে মানুষ কখনও ক্লান্ত, কখনও নীরব, আবার কখনও সঙ্গীবিহীন। আবার কখনও অবসাদ ধেয়ে এসেছে। এই বিরুদ্ধ পরিবেশে মানুষের পাশে দাঁড়াল ‘গ্রুভস’। শহর কলকাতার বুকে সম্পূর্ণ পাশ্চাত্যের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে গড়ে উঠেছে একটি ইন্দো- ওয়েস্টার্ন মিউজিক ব্যান্ড গ্রুভস। মহামারীতে একসঙ্গে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়ে গ্রুভস-এর নিবেদন, ‘’সারা বিশ্বের বুকে আজ এটাই যন্ত্রণা”। গানের কথায় রয়েছে সচেতনতার বার্তা।

করোনায় সচেতনতার বার্তা দিয়ে মেডিকেল কর্মী সহ পুলিশ-প্রশাসনকে স্যালুট জানালো ‘গ্রুভস’

ইন্দো- ওয়েস্টার্ন  মিউজিক ব্যান্ড গ্রুভস-এর শিল্পীদের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ ভালো নেই। তবু আমাদের সকলকে ভালো থাকতেই হবে। জীবন তো থেমে থাকার নাম নয়। এই গানের মাধ্যমেই সচেতনতার বার্তা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই আমাদের সামান্যতম নিবেদন।

গ্রুভস-এর অন্যতম শিল্পী তিতলি চ্যাটার্জি জানালেন, মাত্র তিনজন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ব্যান্ডটি। আমি ছাড়া এখানে রয়েছেন রায়া চ্যাটার্জি ও সুদীপ ঘোষ। সুদীপদাকে ছাড়া গ্রুভস অচল। একেবারে দুটি ভিন্ন ধরনের ইন্স্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে আমাদের গান। আমি বাজাই কীটার এবং রায়া বাজান স্যাম্পেল প্যাড।  গান ও ইন্স্ট্রুমেন্টের পাশাপাশি নাচেও রায়া বেশ দক্ষতা অর্জন করেছেন। কিবোর্ড বাজান সুদীপদা।

সম্পূর্ণ বিদেশি এই দুটি ইন্স্ট্রুমেন্টের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের প্রথম পরিচয় ঘটিয়েছে এই ব্যান্ডটি।

তিতলি আরও জানান, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর সুদীপ’দার হাত ধরেই এই ব্যান্ডটির পথচলা শুরু হয়। এই ব্যান্ডটির  নিজস্ব বেশ কিছু গান রয়েছে-

” অনলাইন শপিং”

“মিউজিক মেকার”

“মেসী দ্য লেজেন্ড” ( আনরিলিজ্ড)

“খেলা হবে”

“করোনা দ্য পেন্ডেমিক”

“বার্সেলোনা থেকে”

“ও রিপোর্টার”

এই গানগুলির কনসেপ্ট সম্পূর্ণ ইউনিক। ব্যান্ডটি পাশ্চাত্য সঙ্গীত থেকে শুরু করে হিন্দি, বাংলা, মাটির গান, গজ্ল সব ধরনের গানই সাবলীলভাবে পরিবেশন করে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বুকে এই ব্যান্ডটিই  প্রথম, যারা সঙ্গীতের এত ধরনের ধারাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা ঘরে বসে চুপচাপ থাকতে পারিনি। অধিকাংশ মানুষই কোনও না কোনও ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমরাও সেই পথে শামিল হয়েছি।

তিতলি জানান, করোনাযুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রাতারাতিই আমরা তৈরি করে ফেলি ‘সারা বিশ্বের বুকে আজ এটাই যন্ত্রণা”। গানের মাধ্যমে আমরা যদি মানুষকে একটু সচেতন করতে পারি, সেটাই ভালো লাগবে।

রায়ার কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই করোনা মহামারী যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তার থেকে কিভাবে মানুষ রক্ষা পাবে সেই বার্তা বহন  করছে এই গানের কথাগুলি।  শুধু এখানেই শেষ নয়,  গানটির মাধ্যমে এই ব্যান্ডটি স্যালুট জানিয়েছে সারা পৃথিবীর ডক্টরস্ ও পুলিশ সহ সমস্ত মেডিকেল কর্মীদের।

গ্রুভস-এর অন্যতম শিল্পী সুদীপ ঘোষ জানান, লড়াই সবাই করছে। আমরাও সেই পথে শামিল। এই পরিস্থিতিতে গানের মাধ্যমে যদি, সকলের কাছে একটু ভালোলাগার সঙ্গে সচেতনতা পৌঁছে দিতে পারি, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করোনায় সচেতনতার বার্তা দিয়ে মেডিকেল কর্মী সহ পুলিশ-প্রশাসনকে স্যালুট জানালো ‘গ্রুভস’

আপডেট : ২০ অগাস্ট ২০২১, শুক্রবার

বিপাশা চক্রবর্তী, কলকাতাঃ সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন অসুখে আক্রান্ত। যার নাম করোনা ভাইরাস। সকলেই আজ এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। বর্তমান সময়ে মানুষ একজোট হয়ে লড়াইয়ে শামিল। জীবনযুদ্ধে মানুষ কখনও ক্লান্ত, কখনও নীরব, আবার কখনও সঙ্গীবিহীন। আবার কখনও অবসাদ ধেয়ে এসেছে। এই বিরুদ্ধ পরিবেশে মানুষের পাশে দাঁড়াল ‘গ্রুভস’। শহর কলকাতার বুকে সম্পূর্ণ পাশ্চাত্যের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে গড়ে উঠেছে একটি ইন্দো- ওয়েস্টার্ন মিউজিক ব্যান্ড গ্রুভস। মহামারীতে একসঙ্গে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়ে গ্রুভস-এর নিবেদন, ‘’সারা বিশ্বের বুকে আজ এটাই যন্ত্রণা”। গানের কথায় রয়েছে সচেতনতার বার্তা।

করোনায় সচেতনতার বার্তা দিয়ে মেডিকেল কর্মী সহ পুলিশ-প্রশাসনকে স্যালুট জানালো ‘গ্রুভস’

ইন্দো- ওয়েস্টার্ন  মিউজিক ব্যান্ড গ্রুভস-এর শিল্পীদের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ ভালো নেই। তবু আমাদের সকলকে ভালো থাকতেই হবে। জীবন তো থেমে থাকার নাম নয়। এই গানের মাধ্যমেই সচেতনতার বার্তা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এই আমাদের সামান্যতম নিবেদন।

গ্রুভস-এর অন্যতম শিল্পী তিতলি চ্যাটার্জি জানালেন, মাত্র তিনজন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ব্যান্ডটি। আমি ছাড়া এখানে রয়েছেন রায়া চ্যাটার্জি ও সুদীপ ঘোষ। সুদীপদাকে ছাড়া গ্রুভস অচল। একেবারে দুটি ভিন্ন ধরনের ইন্স্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে আমাদের গান। আমি বাজাই কীটার এবং রায়া বাজান স্যাম্পেল প্যাড।  গান ও ইন্স্ট্রুমেন্টের পাশাপাশি নাচেও রায়া বেশ দক্ষতা অর্জন করেছেন। কিবোর্ড বাজান সুদীপদা।

সম্পূর্ণ বিদেশি এই দুটি ইন্স্ট্রুমেন্টের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের প্রথম পরিচয় ঘটিয়েছে এই ব্যান্ডটি।

তিতলি আরও জানান, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর সুদীপ’দার হাত ধরেই এই ব্যান্ডটির পথচলা শুরু হয়। এই ব্যান্ডটির  নিজস্ব বেশ কিছু গান রয়েছে-

” অনলাইন শপিং”

“মিউজিক মেকার”

“মেসী দ্য লেজেন্ড” ( আনরিলিজ্ড)

“খেলা হবে”

“করোনা দ্য পেন্ডেমিক”

“বার্সেলোনা থেকে”

“ও রিপোর্টার”

এই গানগুলির কনসেপ্ট সম্পূর্ণ ইউনিক। ব্যান্ডটি পাশ্চাত্য সঙ্গীত থেকে শুরু করে হিন্দি, বাংলা, মাটির গান, গজ্ল সব ধরনের গানই সাবলীলভাবে পরিবেশন করে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বুকে এই ব্যান্ডটিই  প্রথম, যারা সঙ্গীতের এত ধরনের ধারাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে। করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা ঘরে বসে চুপচাপ থাকতে পারিনি। অধিকাংশ মানুষই কোনও না কোনও ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আমরাও সেই পথে শামিল হয়েছি।

তিতলি জানান, করোনাযুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে রাতারাতিই আমরা তৈরি করে ফেলি ‘সারা বিশ্বের বুকে আজ এটাই যন্ত্রণা”। গানের মাধ্যমে আমরা যদি মানুষকে একটু সচেতন করতে পারি, সেটাই ভালো লাগবে।

রায়ার কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই করোনা মহামারী যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তার থেকে কিভাবে মানুষ রক্ষা পাবে সেই বার্তা বহন  করছে এই গানের কথাগুলি।  শুধু এখানেই শেষ নয়,  গানটির মাধ্যমে এই ব্যান্ডটি স্যালুট জানিয়েছে সারা পৃথিবীর ডক্টরস্ ও পুলিশ সহ সমস্ত মেডিকেল কর্মীদের।

গ্রুভস-এর অন্যতম শিল্পী সুদীপ ঘোষ জানান, লড়াই সবাই করছে। আমরাও সেই পথে শামিল। এই পরিস্থিতিতে গানের মাধ্যমে যদি, সকলের কাছে একটু ভালোলাগার সঙ্গে সচেতনতা পৌঁছে দিতে পারি, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।