০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের মুদ্রার রেকর্ড দরপতন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 114

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অভ্যন্তরীণ নানা সংকট ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এতে করে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশটিতে মিলছে ৫ লক্ষেরও বেশি রিয়াল। যা ইরানি মুদ্রার ইতিহাসে সর্বনিম্ন পতন। ইরানের এখন মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশ। ব্যাপক এই মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হওয়া ইরানিরা এখন তাদের সঞ্চয়ের জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। এতে করে তারা মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য শক্তিশালী মুদ্রা বা সোনা কিনছে। এর ফলে ইরানি রিয়ালের আরও দরপতন হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর বিশ্ববাজারে ইরানের তেল রফতানি অনেকটাই সীমিত হয়ে গেছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির অর্থনীতি। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমাণু আলোচনাও থমকে আছে যা ইরানের ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক প্রত্যাশার আরও অবনতি ঘটিয়েছে।  গত ছয় মাসে ইরানের মুদ্রার মূল্য প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সহজ করতে এবং দাফতরিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে তারা নতুন একটি ফরেইন এক্সচেঞ্জ কেন্দ্র খুলছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানের মুদ্রার রেকর্ড দরপতন

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: অভ্যন্তরীণ নানা সংকট ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানের মুদ্রা রিয়ালের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এতে করে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশটিতে মিলছে ৫ লক্ষেরও বেশি রিয়াল। যা ইরানি মুদ্রার ইতিহাসে সর্বনিম্ন পতন। ইরানের এখন মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশ। ব্যাপক এই মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হওয়া ইরানিরা এখন তাদের সঞ্চয়ের জন্য নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। এতে করে তারা মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য শক্তিশালী মুদ্রা বা সোনা কিনছে। এর ফলে ইরানি রিয়ালের আরও দরপতন হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এরপর বিশ্ববাজারে ইরানের তেল রফতানি অনেকটাই সীমিত হয়ে গেছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির অর্থনীতি। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমাণু আলোচনাও থমকে আছে যা ইরানের ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক প্রত্যাশার আরও অবনতি ঘটিয়েছে।  গত ছয় মাসে ইরানের মুদ্রার মূল্য প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এদিকে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ সহজ করতে এবং দাফতরিক লেনদেনের পরিমাণ বাড়াতে তারা নতুন একটি ফরেইন এক্সচেঞ্জ কেন্দ্র খুলছে।