২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মরুভূমির প্রথম গম আসছে বাজারে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 124

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মরুভূমিতে গম চাষ। অসাধ্যকে সাধন করল আমির শাহির সরকার। শারজায় তৈরি হল বিশাল গম খেত। এক সময় এই প্রকল্প কল্পনাতীত বলে মনে হলেও এখন সেটা বাস্তব পরিণতি পেয়েছে। মরুর বুকে সবুজের সমারোহ দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসছে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে,  ধূসর মরুভূমি পরিণত হয়েছে সবুজ মরুদ্যানে। কয়েক বছর আগেও মালিহার এই মরুভূমি প্রাণহীন, বিরান ছিল। আজ তা সবুজে ছেয়ে গেছে। আরবের ছোট্ট শহর শারজার মালিহাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছে গম চাষ। কমপক্ষে ৪০০ হেক্টর জমি জুড়ে এই চাষ করা হচ্ছে, যা ৫০০ ফুটবল গ্রাউন্ডের সমান।

  Courtesy: Youtube

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি-কন্নড় প্রথম ফিচার ফিল্ম, উপত্যকায় সিনেশিল্প পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশা

এই প্রসঙ্গে শারজা শাসক ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশেমি জানিয়েছেন চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে মরুভূমির প্রথম গম আসতে চলেছে বাজারে। গুণগত মানের দিকে কোনও  অংশে পিছিয়ে থাকবে না মরুভূমি দেশের এই গম। এমনকি এখন থেকেই  মরুভূমির এই গমখেত দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।

গম চাষ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মরুভূমিতে পানি ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এই অসাধ্যকে সাধন করার জন্য  আমরা তিনটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।

মরুভূমির প্রথম গম আসছে বাজারে

আরও পড়ুন: এই টিপসগুলো খেয়াল রাখুন, তাহলেই কিনতে পারবেন মিষ্টি তরমুজ

প্রথমত, চাষের মাটিতে পানির পরিমাণ মাপার জন্য একরকম সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছিল।দ্বিতীয়ত আবহাওয়া স্টেশনের ব্যবহার। যা তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রতা, ও বৃষ্টির পূর্বাভাষের কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বলতে পারে। এবং বৃষ্টির পূর্বাভাষ পেলে খামার পানি সংরক্ষণের জন্য সেচ বন্ধ করে দেয়। তৃতীয়ত স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার। যা  মাঠ পর্যবেক্ষণ এবং ফসলের অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে শারজার শাসক ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশেমি প্রথম মাটিতে বীজ ছড়িয়েছিলেন। তিনি এই গম চাষ প্রকল্পের কথা প্রথম ঘোষণা করেন।  আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১৭০০ টন গম উৎপাদন করবে তারা বলে আশা করছেন  গমচাষিরা। মার্চ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ফসল কাটা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই এই গম বাজারে আসতে চলেছে।

স্থানীয় বাজার সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এই গম সরবরাহ করা হবে বলেই খবর। এই গম নিয়ে স্থানীয় বাজারে এখন থেকেই শুরু হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। খোঁজ নিচ্ছেন অন্যান্য মরুভূমি অঞ্চলের মানুষরাও। শারজার এই সাফল্য তাদের প্রেরণা যোগাবে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মরুভূমির প্রথম গম আসছে বাজারে

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মরুভূমিতে গম চাষ। অসাধ্যকে সাধন করল আমির শাহির সরকার। শারজায় তৈরি হল বিশাল গম খেত। এক সময় এই প্রকল্প কল্পনাতীত বলে মনে হলেও এখন সেটা বাস্তব পরিণতি পেয়েছে। মরুর বুকে সবুজের সমারোহ দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসছে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে,  ধূসর মরুভূমি পরিণত হয়েছে সবুজ মরুদ্যানে। কয়েক বছর আগেও মালিহার এই মরুভূমি প্রাণহীন, বিরান ছিল। আজ তা সবুজে ছেয়ে গেছে। আরবের ছোট্ট শহর শারজার মালিহাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছে গম চাষ। কমপক্ষে ৪০০ হেক্টর জমি জুড়ে এই চাষ করা হচ্ছে, যা ৫০০ ফুটবল গ্রাউন্ডের সমান।

  Courtesy: Youtube

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি-কন্নড় প্রথম ফিচার ফিল্ম, উপত্যকায় সিনেশিল্প পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশা

এই প্রসঙ্গে শারজা শাসক ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশেমি জানিয়েছেন চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে মরুভূমির প্রথম গম আসতে চলেছে বাজারে। গুণগত মানের দিকে কোনও  অংশে পিছিয়ে থাকবে না মরুভূমি দেশের এই গম। এমনকি এখন থেকেই  মরুভূমির এই গমখেত দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।

গম চাষ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মরুভূমিতে পানি ও আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এই অসাধ্যকে সাধন করার জন্য  আমরা তিনটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।

মরুভূমির প্রথম গম আসছে বাজারে

আরও পড়ুন: এই টিপসগুলো খেয়াল রাখুন, তাহলেই কিনতে পারবেন মিষ্টি তরমুজ

প্রথমত, চাষের মাটিতে পানির পরিমাণ মাপার জন্য একরকম সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছিল।দ্বিতীয়ত আবহাওয়া স্টেশনের ব্যবহার। যা তাপমাত্রা, বাতাসের আদ্রতা, ও বৃষ্টির পূর্বাভাষের কথা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বলতে পারে। এবং বৃষ্টির পূর্বাভাষ পেলে খামার পানি সংরক্ষণের জন্য সেচ বন্ধ করে দেয়। তৃতীয়ত স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার। যা  মাঠ পর্যবেক্ষণ এবং ফসলের অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে শারজার শাসক ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাশেমি প্রথম মাটিতে বীজ ছড়িয়েছিলেন। তিনি এই গম চাষ প্রকল্পের কথা প্রথম ঘোষণা করেন।  আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১৭০০ টন গম উৎপাদন করবে তারা বলে আশা করছেন  গমচাষিরা। মার্চ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ফসল কাটা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই এই গম বাজারে আসতে চলেছে।

স্থানীয় বাজার সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এই গম সরবরাহ করা হবে বলেই খবর। এই গম নিয়ে স্থানীয় বাজারে এখন থেকেই শুরু হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। খোঁজ নিচ্ছেন অন্যান্য মরুভূমি অঞ্চলের মানুষরাও। শারজার এই সাফল্য তাদের প্রেরণা যোগাবে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন