০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জি-২০ বৈঠক: দিল্লি আসছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রী কিন গ্যাং

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 66

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার জি-২০ বৈঠক। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রী কিন গ্যাং। বিদেশ মন্ত্রীর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এই প্রথম ভারতের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে।

শেষবার ২০১৯ সালে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে ভারতে এসেছিলেন চিনের তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ি। তার পর থেকে চিনের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে আসেননি।

এই সফরের কথা ঘোষণা করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, আসন্ন জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত। আর এ নিয়ে বেজিং যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে জানান তিনি। অন্যান্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সারতেই গ্যাংয়ের এই ভারত সফর বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

জি ২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া বাড়ানোর উদ্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রীদের এক বৈঠক বসছে। ওই বৈঠকে জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ একাধিক দেশের বিদেশ মন্ত্রীকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান।

বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠকে চিনের বিদেশ মন্ত্রীর যোগদান নিশ্চিত হলেও অনিশ্চিত জাপানের বিদেশ মন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির হাজির থাকা। দেশে সংসদে জরুরি কাজ চলার কারণে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি নাও যোগ দিতে পারেন বলে জাপানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বিদেশ মন্ত্রীরও বৈঠক রয়েছে।

২০২২ এর ১৬ নভেম্বর বালিতে দু’দিনের জি ২০ শীর্ষ বৈঠক শেষ হয়। ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল সভাপতির দায়িত্ব। ১ ডিসেম্বর থেকে জি ২০ দেশসমূহের মিলিত গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ভারত। নয়া দায়িত্ব হাতে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিল এই দায়িত্ব প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে গর্বের ও সম্মানের।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জি-২০ বৈঠক: দিল্লি আসছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রী কিন গ্যাং

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার জি-২০ বৈঠক। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন চিনা বিদেশ মন্ত্রী কিন গ্যাং। বিদেশ মন্ত্রীর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে এই প্রথম ভারতের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে।

শেষবার ২০১৯ সালে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করতে ভারতে এসেছিলেন চিনের তৎকালীন বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ইয়ি। তার পর থেকে চিনের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে আসেননি।

এই সফরের কথা ঘোষণা করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, আসন্ন জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত। আর এ নিয়ে বেজিং যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে জানান তিনি। অন্যান্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সারতেই গ্যাংয়ের এই ভারত সফর বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

জি ২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বোঝাপড়া বাড়ানোর উদ্দেশে আগামী বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রীদের এক বৈঠক বসছে। ওই বৈঠকে জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ একাধিক দেশের বিদেশ মন্ত্রীকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি পাকিস্তান।

বিদেশ মন্ত্রীর বৈঠকে চিনের বিদেশ মন্ত্রীর যোগদান নিশ্চিত হলেও অনিশ্চিত জাপানের বিদেশ মন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির হাজির থাকা। দেশে সংসদে জরুরি কাজ চলার কারণে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি নাও যোগ দিতে পারেন বলে জাপানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। আগামী শুক্রবার কোয়াডভুক্ত দেশগুলির বিদেশ মন্ত্রীরও বৈঠক রয়েছে।

২০২২ এর ১৬ নভেম্বর বালিতে দু’দিনের জি ২০ শীর্ষ বৈঠক শেষ হয়। ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল সভাপতির দায়িত্ব। ১ ডিসেম্বর থেকে জি ২০ দেশসমূহের মিলিত গোষ্ঠীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে ভারত। নয়া দায়িত্ব হাতে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিল এই দায়িত্ব প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে গর্বের ও সম্মানের।