হুক্কা বার চালুর নির্দেশ আপাতত বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ

- আপডেট : ১ মার্চ ২০২৩, বুধবার
- / 37
পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে হুক্কা বার সংক্রান্ত মামলা। কলকাতা এবং বিধাননগরের হুক্কাবারগুলি চালু রাখার ব্যাপারে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত বহাল রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এই বিষয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ রায় তে জানিয়েছে, ‘যেহেতু এই বিষয়ে রাজ্যের কোনও আইন নেই, তাই কলকাতা এবং বিধাননগরের কোনও হুক্কাবার বন্ধ রাখা যাবে না’। নতুন আইন না এনে কোনও হুক্কাবার বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা পুরসভা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, ‘ তিন সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা পুরসভাকে এই ব্যাপারে পেপারবুক জমা দিতে হবে’। ৬ সপ্তাহ পর মামলাটি শুনানির জন্য আসবে বলে জানা গেছে। কলকাতা ও বিধাননগর এলাকার সব হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল পুরসভা। পুলিশকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে হস্তক্ষেপ দাবি করেন রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন।
মামলার শুনানিতে আগেই হুক্কাবার চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।প্রথমে কলকাতা পুরসভা ও পরে বিধাননগর পুরসভার তরফে এলাকার সব হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম গত ডিসেম্বরে বলেছিলেন, ‘ শহরের সব রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যাতে হুক্কাবার বন্ধ করে।’ এর পাশাপাশি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন ফিরহাদ হাকিম। একই নীতি নেয় বিধাননগর পুরসভাও। দুটি পুরসভার নির্দেশের পরই ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ রেস্টুরেন্টের তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাকারীদের দাবি, ২০০৩ সালে ‘কেন্দ্রীয় টোব্যাকো আইন’ মেনে বার চালানো হয়। তাই পুলিশ ও পুরসভা কীভাবে হুক্কাবার বন্ধ করতে পারে? হুক্কায় ভেষজ তামাক ব্যবহার করা হয়। পুরসভার সিদ্ধান্ত বদল না হলে বহু রেস্তোরাঁ ক্ষতির মুখে পড়বে’। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপাতত বহাল রইলো সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ। ছয় সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।